২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৫:৫২:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে সরব রাজনীতির মাঠ
মাসউদুর রহমান
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-১০-২০২২
তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে সরব রাজনীতির মাঠ


বর্তমান নির্বাচন কমিশনই কী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করবেন, ভোট কী ইভিএমে হবে- এগুলো নিয়ে এখন আলোচনা নেই। হঠাৎ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। বর্তমান সরকারের মেয়াদ আরো ১৪ মাস। অর্থাৎ এক বছরের বেশি সময়। অথচ এ মুহূর্তে চারদিকেই আলোচনা তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী মন্ত্রীদের মুখে এটা খুব বেশি উচ্চারিত হচ্ছে। বিএনপির দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার। কিন্তু এ মুহূর্তে তারাও এ ব্যাপারে বলছেন না কিছুই। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের অন্তত দুই-তিন প্রভাবশালী মন্ত্রী সম্প্রতি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কথা বলছেন। তারা বলছেন এটা এখন আর সংবিধানে নেই। ফলে এ প্রক্রিয়া আর ফিরে আসবে না। 




আওয়ামী লীগ ও জোট গত দুই টার্মের মতো নির্বাচন চায় 

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়কে ফিরতে রাজি না হওয়ার প্রধান যে কারণ তাহলো- তত্ত্বাবধায়ক এলেই সদ্য ক্ষমতাচ্যুতদের ওপরই দমনপীড়নটা বেশি চালায়। যেহেতু টানা ক্ষমতায়- ভুলত্রুটিটা তাদেরই চলে আসে সর্বাগ্রে। বিএনপির তো সে তুলনায় তাদের দাবি অনুসারে ৩৫ লাখ মামলা তাদের নেতাকর্মীর ওপর গুম-খুনেরও অভিযোগ। ফলে তত্ত্বাবধায়ক এলে আর কী, নির্যাতনের খড়গ তো বিদ্যমানই। ফলে কিছুটা রেহাই পাবে তারা বটে। সমস্যায় পড়বে ক্ষমতাসীন বা বর্তমান ক্ষমতাসীন দল। এতে যারাই ক্ষমতায় থাকে তারা তত্ত্বাবধায়কের অধীনে সহসাই নির্বাচন দিতে চায় না। 

এছাড়াও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অনেক ফায়দা। বিগত দুইবারে (দশম ও একাদশ) তারই প্রতিফলন ঘটেছে। ফলে সেভাবে না হোক তার চেয়ে ভালো করলেও কর্তৃত্বটা কিছুটা হলেও থাকবে। এটা হওয়ার কথা, না বললেও এ আনুকূল্য তারা পাবেন। এতে তাদের আবারো ক্ষমতায় আসা কিছুটা সহজতর হয়ে যাবে। ফলে এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবে না তারা। এ জন্যই বিরোধী মত বা অন্য যে কেউই তত্ত্বাবধায়কে মত দিক না কেন, সেটা খ-নে আপ্রাণ চেষ্টা ক্ষমতাসীনদের। এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি সরকারের প্রভাবশালী তিন মন্ত্রী তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে ক্লিয়ার বক্তব্য দেন।   





তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে ওবায়দুল কাদের 

গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সরকারের পদত্যাগ চাওয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন করে তার উদ্দেশে বলেন, ‘সরকার কেন পদত্যাগ করবে? আর কার কাছে পদত্যাগ করবে?’ 

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন ও জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া সরকার পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ যখন রাজপথে নামবে জনগণকে সঙ্গে নিয়েই নামবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি মীমাংসিত ইস্যু, এ নিয়ে মাতামাতি করে কোনো লাভ নেই বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ও অর্জনের সঙ্গে এদেশের জনগণ রয়েছে,  কাজেই অগণতান্ত্রিক পথে বিএনপির ক্ষমতা দখলের খোয়াব অচিরেই ভেঙে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনায় সভায় একই প্রসঙ্গে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চিন্তা মাথা থেকে নামিয়ে ফেলতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ফখরুল সাহেব তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূত মাথা থেকে নামান। সোজা কথা, সোজা পথে আসুন, নির্বাচনে আসুন। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো বাংলাদেশেও নির্বাচন হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় কাদের এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। মূল দায়িত্ব পালন করবে নির্বাচন কমিশন। সরকারের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাও নির্বাচন কমিশনের অধীন থাকবে। সরকার না থাকলে কারা চালাবে দেশ? একইসঙ্গে বিএনপির আন্দোলনের কর্মসূচির জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘কত গণআন্দোলন করলেন। এখন বলছেন, গণআন্দোলন করবেন। ১৩ বছর চলে গেল দেখতে দেখতে, আন্দোলন হবে কোন বছর?’





আইনমন্ত্রী আনিসুল হক 

গত ২৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরে আসার সম্ভাবনা নাকচ করেছেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের অন্যতম প্রভাবশালী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আন্তর্জাতিক নৌ-দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ আইনের শাসন বিশ্বাস করে, বাংলাদেশের জনগণ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতকে বিশ্বাস করে সম্মান করে শ্রদ্ধা করে। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে কনসেপ্ট, সেটাকে অবৈধ ঘোষণা করেছে, সেখানে আর ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নাই।





কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক 

একইদিন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, বাংলাদেশে কাজ করা বিশ্বের সব দেশের রাষ্ট্রদূত মিলে বললেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে না। 

মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা চাই, বিএনপিসহ ছোট বড় সব দলই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে শেষ দিন পর্যন্ত আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাব। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আপনারা নির্বাচনে যাবেন না, এমন উসকানি কেউ যেন না দেয়। এটা আমেরিকার অ্যাম্বাসেডর হোক আর যে কোনো দেশের অ্যাম্বাসেডর হোক কিংবা সকল অ্যাম্বাসেডর মিলে বললেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না।





কেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় বিএনপি ও তাদের সমমনারা 

বিএনপি ও তাদের জোট নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি সেই ২০১৩ থেকেই। দলীয় সরকারের অধীনে তথা, বর্তমান সরকারের অধীনে দুই দুটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৮। ২০১৪ সনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবীতে শেষ মুহূর্তে নির্বাচন (দশম জাতীয়) বর্জনের ফলে ৩০০ আসনের ওই নির্বাচনের আগের দিনই দেড় শতাধিক তথা, ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাস করে আওয়ামী লীগ ও তাদের জোট প্রার্থীরা। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ১২৭, জাতীয় পার্টির ২০, জাসদ ৩, ওয়াকার্স পার্টি ২, জেপির একজন রয়েছেন। পরে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনটা হয়ে যায় পানসে। শুধুই অনুষ্ঠানের জন্য আনুষ্ঠানিকতা হয় বিরোধীদের ডাকা হরতাল অবরোধের মধ্যে। ফলে ফাইনাল রেজাল্ট দাঁড়ায় আওয়ামী লীগ লাভ করে ২৩৪ আসন। জাতীয় পার্টি ৩৪, ওয়ার্কাস পাটি ৬, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ৫, তরিকত ফেডারেশন ২, জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) ২, ন্যাশনাল ফ্রন্ট ১,  ও স্বতন্ত্র লাভ করে ১৬ আসন। নির্বাচনের দিন জালভোট ও সংহিংসতায় ২১ জন নিহত হয় বলে বিদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পায়। 

এরপর ২০১৮ সনের নির্বাচনের ঘটনা আরো করুণ। বিরোধীদলের অভিযোগ নির্বাচনের ভোট আগের দিন রাতেই সম্পন্ন হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ওই নির্বাচন বিরোধীদল গ্রহণ করেনি। এরপর থেকেই বিএনপির আন্দোলনের মূল ইস্যু তত্ত্বাবধায়ক এবং ওই সিস্টেমে না হলে তারা নির্বাচন বর্জন করেই যাবে বলে হুমকি দেয়। 

একইসঙ্গে যেহেতু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নয়নসহযোগী বা দাতাদেশসমূহ সব দলের অংশগ্রহণে একটি স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে আসছে- তাতে বিএনপি ও তাদের জোটে থাকা অন্যদলও আরো শক্ত হয়েছে। বিএনপি তাদের দাবি না মানলে নির্বাচনেই যাবে না বলে ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। ফলে বিএনপির ওই ইস্যুটা এখন আরো অনেক জোরালো দাবিতে পরিণত। 





তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে মির্জা ফখরুল 

মির্জা ফখরুল শুক্রবারও (৩০ সেপ্টেম্বর) বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না। তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া এদেশে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ কোনদিনও ক্ষমতায় যেতে পারবেনা। এ কারণেই তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারে এতো ভয়।’

নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে হতে হবে জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনের আগে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন হতে হবে।’ এছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলে তিনি করা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। ফখরুল বলেন, ‘আমাদের সময় তত্ত্বাবধায়ক হয়েছে, আপনাদের সময় বাধা কোথায়। আমাদের নেত্রী আপনাদের দাবি মেনে নিয়েছিলেন কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এটি জনগণের দাবি। সেজন্য আপনাদেরও জনগণের দাবি মেনে নিতে হবে।’





নির্বাচন কমিশন কী করছে 

নতুন নির্বাচন কমিশন হাবিবুল আউয়াল দায়িত্ব নেয়ার পরপরই গত জুলাইয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসে। সেখানে বিএনপি সব বিরোধী মতের দলগুলো অংশ নেয়নি সংলাপে। ইসির সঙ্গে জুলাই মাসে সংলাপে সরাসরি ইভিএমের পক্ষে বলেছিল মাত্র চারটি দল। কিন্তু কর্মপরিকল্পনায় ইসি বলেছে, পক্ষে ১৭টি দল। ইসি বলছে, জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত সংলাপে অংশ নেয়া ২৯টি দল ইভিএম নিয়ে মতামত দিয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি দল কোনো না কোনোভাবে ইভিএমের পক্ষে ছিল।

যে ১৭টি দলকে ইভিএমের পক্ষে বলছে ইসি, তার মধ্যে তিনটি দল সরাসরি ইভিএমের বিপক্ষে। একটি দল ইভিএম নিয়ে মতামত দেয়নি। ৯টি দল ইভিএম নিয়ে বিভিন্ন শর্তের কথা বলেছে। এদের মধ্যে ২২টি রাজনৈতিক দল ইভিএম নিয়ে মতামত দেয়। যেখানে ৯টি দল ইভিএম ব্যবহারের সরাসরি বিরোধিতা করে। পাঁচটি দল ইভিএম নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে। কেবল আওয়ামী লীগসহ চারটি দল আগামী নির্বাচনে ইভিএমে ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছে। পরে রাজনৈতিক দল, সাবেক কমিশনার, বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্ট জনের মতামত নিয়ে  দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ দেড়শ আসনে ইভিএমের ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপরই ইভিএম কেনা সংক্রান্ত প্রকল্পে হাত দেয় নির্বাচন কমিশন। 

যদিও সুশীলসমাজের ৩৯ জন নাগরিক এ ইভিএমে যে কারচুপিও হয়, স্বচ্ছ নির্বাচন করা যায় না সে মত রেখেছেন। কিন্তু হাবিবুল আউয়াল কমিশন থেমে নেই। গত ১৯ সপ্টেম্বের নির্বাচন কমশিনরে এক বৈঠকে এ প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে ইসি সচবি মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, নতুন ইভিএম কেনা, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব কমিশন অনুমোদন করেছেন। এ প্রকল্পের আওতায় প্রায় দুই লাখ ইভিএম কেনা হবে। এ ছাড়া ইভিএম সংরক্ষণ জনবল তৈরি ও প্রশিক্ষণের খরচ প্রকল্প থেকে ব্যয় করা হবে। 





মিশেল ব্যাচেলেট ও উন্নয়ন সহযোগী দেশ 

বাংলাদেশে সফর করে যাওয়া জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য সহিংসতার আভাসে উদ্বেগ প্রকাশ করে সব দলকে মাঠে রাজনীতি করার অধিকারের দিকে দৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন। 

এ ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশসমূহের বাংলাদেশে অবস্থান করা রাষ্ট্রদূতরাও একই ব্যাপারে একাট্টা। ফলে এ ব্যাপারে একটা প্রচণ্ড চাপ এখন ক্ষমতাসীনদের ওপর। সব মিলিয়ে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনটাকে কেন্দ্র করে ক্রমশ জোরালো হচ্ছে সেই বিএনপির দাবি করা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু। যেহেতু এখনো বাকি ১৪ মাস। ফলে এর মধ্যে এ দাবি ক্রমশ আরো জোরালো হবে একইসঙ্গে সরকার পক্ষও চেষ্টা করে যাবে তাদের অধীনেই নির্বাচন হলে সেটা নিরপেক্ষ হবে না এমনকি পূর্বের ন্যায় নির্বাচন হবে না সেই বিষয়টি। রাজনীতির মাঠ এই এক ইস্যুতেই এখন উত্তপ্ত হতে থাকবে এটা আর বলার কী!

শেয়ার করুন