২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৫:১৭:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


আন্দোলন দমাতে আবারো গুম, অভিযোগ রিজভীর
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-১১-২০২৩
আন্দোলন দমাতে আবারো গুম, অভিযোগ রিজভীর রুহুল কবীর রিজভী


এক দফা আন্দোলন দমাতে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধী নেতা-কর্মীদের নতুন করে আবারও গুম করছে বলে অভিযোগ করেছেন রুহুল কবির রিজভী। ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিঙে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘তিতুমীর কলেজের ছাত্র দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রফিক ও সাইফুল ইসলামকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়ে এখনো পর্যন্ত তাদেরকে খোঁজ দিচ্ছে না। এই যে তুলে নিয়ে যাওয়া, এই যে অদৃশ্য করা, গুম নতুন করে আবার শুরু হয়েছে।  কারণ নির্বাচন আসলেই-এই নির্বাচন একতরফা করতে হবে, এই নির্বাচন ভোটারবিহীন করতে হবে, এই নির্বাচন জনগণকে ভয় পাইয়ে দিতে হবে। এই ভয় পাইয়ে দেয়ার জন্য আবার নতুন করে অদৃশ্য করা আর গুম করার কর্মসূচি তারা (সরকার) শুরু করেছে।’ রিজভী বলেন, এই গুমের টার্গেটই করা হয়েছে তরুণদেরকে। এই তরুণরা আন্দোলন সংগ্রাম ভ্যানগার্ড তাদেরকেই টার্গেট করে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমি অভিলম্বে মাহমুদুল হাসান রফিক ও সাইফুল ইসলামকে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।

‘অবরোধ কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ’

রুহুল কবির রিজভী বলেন, সকলে শান্তিতে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের এই সংগ্রাম, আমাদের এই অবরোধ কর্মসূচি। এই কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ। আমাদের এই অবরোধ কর্মসূচি গণদাবির ওপর ভিত্তি করে। এটা নিছক বিএনপির কোনো দলীয় কর্মসূচি নয়। এটা সামগ্রিকভাবে গোটা জনগণ যে তার মালিকানা বঞ্চিত হয়েছে, যে গণতন্ত্রের জন্য দেশের মানুষ দীর্ঘদিন যত রক্ত ঝরিয়েছে তাদের ঋণ পরিশোধ করার জন্য বিএনপিসহ সমমনাজোটগুলো এই সংগ্রাম করছে এবং নানা রকমের রাষ্ট্রীয় উৎপীড়নের মুখেও তারা মাঠে আছেন। তিনি বলেন, আমি বিএনপিসহ জাতীয়তাবাদী শক্তির যত নেতা-কর্মীরা রয়েছেন এবং সমমনা দলগুলো যারা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করছেন তাদের প্রত্যেকের কাছে আমার আকুল আহ্বান, শত বাধা অতিক্রম করে যেমন কর্মসূচি পালন করে এসেছেন আবার এই কর্মসূচি পালন করবেন। জনগণকে সাথে নিয়ে পথে পথে বাধা দেবেন, মহসড়কের অবরোধ তৈরি করবেন শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করেই। তবে আমাদের বিরুদ্ধে নাশকতার নানা মহাপরিকল্পনা তারা (সরকার) করছে। আমরা রাস্তায় উপস্থিত হবো এবং সরকারের যে অশুভ নীল নকশা আমরা প্রতিহত করবো। এদেশের কোটি কোটি মানুষ আমাদের পক্ষে আছে, এদেশে যারা গণতন্ত্র চায়, যারা বাক স্বাধীনতা চায়, যারা নিজের ভোটটা পছন্দমতো ব্যাক্তিকে দিতে চায় তারা এই আন্দোলনের অবরোধ কর্মসূচির পক্ষে রয়েছে। সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি ও দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিএনপি ৮ নভেম্বর বুধবার ভোর ৬টা থেকে সারাদেশে ৪৮ ঘন্টার অবরোধ কর্মসূচি শুরু করবে।

‘হত্যালীলা চলছে ক্রমাগতভাবে’

রিজভী বলেন, গত ৫ নভেম্বর কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ চৌধুরীকে তার বাড়িতে পুলিশ-র‌্যাব ধরতে যায় এবং সেখানে ব্যাপক ভাংচুর করে এবং গোলাগুলি করে। এতে অনেক গ্রামবাসী আহত হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত জাকির হোসেন দুই-তিনদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে আজকে মারা গেছেন। আমি এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই হত্যা লীলা চলছে আজকে কয়েকদিন- ক্রমাগতভাবে। সরকারের সাজানো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তারা কোনো কিছু মানছে না। এখানে বিরোধী দলকে রাখা যাবে না, এখানে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধাচরণ করবে এদের কারো অস্তিত্ব থাকবে না-সেই শপথ নিয়ে নেমেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অথচ তাদের হাতে বন্দুক, তাদের হাতে টিয়ারগ্যাস, তাদের হাতে যে অন্যান্য অস্ত্র এটা কিন্তু কেনা হয়েছে আওয়ামী লীগের পয়সায় নয়, ওইসব কেনা হয়েছে জনগণের ট্যাক্সের পয়সায়। জনগণের বিরুদ্ধে সেই গুলি, সেই টিয়ারগ্যাস, শর্টগানের গুলি- সমস্ত কিছু জনগণের ট্যাক্সের পয়সায়। অথচ এসব অস্ত্র জনগণের দিকে তাক করতে গিয়ে একের পর এক শুধু মৃত্যুর মিছিল, মানুষের লাশের সারি তৈরি হচ্ছে।

শেয়ার করুন