০৬ মে ২০১২, সোমবার, ০৫:২৬:৪৮ পূর্বাহ্ন


প্রেসিডেন্ট বাইডেনের স্বাক্ষর
আবারো কংগ্রেসে বিতর্কিত নজরদারি বিল পাশ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৪-২০২৪
আবারো কংগ্রেসে বিতর্কিত নজরদারি বিল পাশ ফরেন ইন্টেলিজেন্স সার্ভিলেন্স অ্যাক্ট


আবারো মার্কিন কংগ্রেসে বিতর্কিত নজরদারি বিল পাশ হয়েছে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেই বিলে স্বাক্ষর করেছেন। ২০০১ সালে ৯/১১ এর নৃশংস হামলার পর এই ধরনের একটি বিল পাশ করা হয়েছিলো ইমিগ্র্যান্ট এবং মুসলিম কম্যুনিটির উপর নজরদারি করার জন্য। এবারো একই ধরনের বিল পাশ করা হয়েছে।

ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য থাকলেও এই বিতর্কিত নজরদারি বিলে তাদের মধ্যে কোন বিরোধ ছিলো না। বরং উভয় পক্ষের সর্বসম্মতিতে এই বিল পাশ করা হয়। যদিও ২/৩ জন বিরোধীতা করেছিলেন। উভয় দল হাউস ও সিনেটে চতুর্থ সংশোধনীর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে নজরদারি এবং ওয়ারেন্টবিহীন গ্রেফতার অব্যাহত রাখতে ফরেন ইন্টেলিজেন্স সার্ভিলেন্স অ্যাক্ট (এফ আইএসএ) এর ধারা ৭০২ কে পুনঃঅনুমোদিত করেছে। গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার চাপের মুখে এই বিতর্কিত আইন পাশ করা হয়। এক ফলে মার্কিন সরকার ওয়ারেন্ট ছাড়াই আমেরিকান ও বিদেশী নাগরিকদের উপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে এবং গ্রেফতার করতে পারবে। “রিফর্মিং ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড সিকিউরিং আমেরিকা অ্যাক্ট”-এ বিপজ্জনক অনেকগুলো বিষয় রয়েছে। যার মধ্যে জনসাধারণের টেলিফোন এক্সসেস, ই-মেইল এক্সসেস মার্কিন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে দিতে কোম্পানীগুলো বাধ্য থাকবে। অর্থাৎ টেলিফোনে আপনি কার সাথে, কী কথা বলছেন, ই-মেইলে কার সাথে কী লিখছেন তা তারা মনিটর করবে। কারো ব্যক্তি স্বাধীনতা বলে কিছু থাকবে না।

সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে যুক্তরাষ্ট্র্রের শীতল যুদ্বের সময় যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থে ১৯৭৮ সালে এই আইন প্রথম পাশ হয়েছিল। এই বিতর্কিত আইনটিতে সরকারকে ওয়ারেন্ট ছাড়াই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে আমেরিকান ও অ-আমেরিকানদের ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মার্কিন সিটিজেন ও ইমিগ্র্যান্টদের উপর নজরদারি, গ্রেফতারের ক্ষমতা দেয়া হয়। সেই সাথে সন্দেহজনক ব্যক্তি বা কোম্পানির তথ্য, কোম্পানির সম্পদ লেনদেনের তথ্য, ডাটা সেন্টারের তথ্য, কম্যুনিকেশন ইকুইপ্টমেন্ট অপারেটরদের তথ্য চাওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এফবিআইকে।

২০ এপ্রিল শনিবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন বিলতে স্বাক্ষর করে আইনে পরিণত করেছেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন, লিডার শুমার এবং লিডার ম্যাককনেল, স্পিকার জনসন এবং লিডার জেফ্রিস এবং আরও অনেককে তাদের নেতৃত্বের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, রিফর্মিং ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড সিকিউরিং আমেরিকা অ্যাক্ট যা বিদেশী গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের সাথে সম্পর্কিত।

মিসৌরির ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেসওম্যান কোরি বুশ এইচ আর ৭৮৮৮, রিফর্মিং ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড সিকিউরিং আমেরিকা অ্যাক্ট হাউসে পাসের পরে এক বিবৃতিতে বলেন, ইউএস গভর্নমেন্ট মার্কিন নাগরিকদের উপর গোয়েন্দাগিরি করতে এই আইন পাশ করেছে। মানুষের স্বাধীনতাকে হরণ করা হযেছে। তিনি বলেন, আমাদের সরকারের মার্কিন নাগরিকদের অবৈধভাবে নজরদারি করার দীর্ঘ এবং অন্ধকার ইতিহাস রয়েছে। এর ফলে কালো এবং বাদামী সম্প্রদায়, যুদ্ধ বিরোধী সম্প্রদায় এবং সামাজিক আন্দোলনকারীদের খেসারত দিতে হবে। আমি এই আইনের বিরুদ্ধে। যে কারণে আমি বিপক্ষে ভোট দিয়েছি। আমি সেন্ট লুইস এবং মার্কিনীদের নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তার রক্ষায় কাজ করে যাবো।

আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের সিনিয়র পলিসি কাউন্সিলর বলেন, “সিনেটররা এই নজরদারি বিলটি আমাদের নাগরিক স্বাধীনতার জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে। এটা হতাশাজনক এবং জঘন্য।”

শেয়ার করুন