২০ মে ২০১২, সোমবার, ০৩:৪৬:৩২ পূর্বাহ্ন


নিউইয়র্কে সেরা হালাল রেস্টুরেন্টের পুরস্কার পেলো বাংলাদেশি মালিকানাধীন ‘নূর থাই’
দেশ রিপোর্টার
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০৫-২০২৪
নিউইয়র্কে সেরা হালাল রেস্টুরেন্টের পুরস্কার পেলো বাংলাদেশি মালিকানাধীন ‘নূর থাই’ এওয়ার্ড গ্রহণ করছেন নূর থাই’র মালিকরা


নিউইয়র্কে সেরা হালাল রেস্টুরেন্টের পুরস্কার জিতেছে ভোজনপ্রিয়দের কাছে তুমুল জনপ্রিয় থাই ফিউশন ‘নূর থাই’। সম্প্রতি ভোক্তাদের মতামতের ভিত্তিতে কুইন্স চেম্বার অফ কমার্স পরিচালিত একটি প্রতিযোগিতায় নূর থাই এই সম্মানজনক পুরস্কারের প্রথম স্থান অর্জন করে। নূর থাই রেস্টুরেন্টের দুটি শাখা ইতিমধ্যে নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের সুস্বাদু ও সেরা মানের হালাল খাবার পরিবেশন করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে।

সবার কাছে জনপ্রিয় এই রেস্টুরেন্টটি এ বছরই সামারে অ্যাস্টোরিয়া এলাকায় হালাল কোরিয়ান বারবিকিউ এর আরেকটি শাখা উদ্বোধন করতে যাচ্ছে। যা হবে কোরিয়ান বারবিকিউ এর ক্ষেত্রে হালাল কোন রেস্টুরেন্টের অন্যতম সংযোজন। 

কুইন্স চেম্বার অফ কমার্স ‘সেরা হালাল রেস্টুরেন্ট’ নামে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে ভোজনপ্রিয়রা কুইন্সে তাদের প্রিয় হালাল রেস্টুরেন্টের জন্য ভোট দেয়। কুইন্স চেম্বার অফ কমার্স জানিয়েছে, এই প্রতিযোগিতায় দেড় হাজারেরও বেশি ভোজনরসিক ভোট দিয়ে তাদের মতামত জানিয়েছেন। 

বিজয়ী নূর থাই এর দুটি শাখাই সেরা রেস্টুরেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়। রেস্তোরাঁটির দুটি শাখা ৩১-০১ ৩৪ এভিনিউ, এস্টোরিয়া এবং ৬২-৩২ উডহ্যাভেন বুলেবার্ড-এর রেগো পার্কে অবস্থিত। 

কুইন্স চেম্বার অফ কমার্সের প্রেসিডেন্ট এবং সিইও টম গ্রেচ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ’কুইন্সে দেওয়া হালাল খাবারের বৈচিত্র্য নিউইয়র্কের পাশাপাশি স্টেটের বাইরের ভোজনপ্রিয়দের কুইন্স বরোতে টেনে নিয়ে আসে। এটি আমাদের জন্য আনন্দ ও সম্মানের।’

নুর থাই রেস্টুরেন্টের পরিচালনাকারী আমানি হসপিটালিটি গ্রুপের ডিরেক্টর এবং সিওও সাজ্জাদ হোসেন এই অর্জনের জন্য নিউইয়র্কের, বিশেষ করে কুইন্স বরোর ভোজনপ্রিয় মানুষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এই অর্জন আমাদের ব্যতিক্রমী গুণমান এবং আমাদের পরিবেশন করা প্রতিটি খাবারের সেরা স্বাদ নিশ্চিত করতে আমাদের দলের প্রতিটি সদস্যের প্রচেষ্টার প্রমাণ। আমরা আমাদের প্রতিভাবান শেফ, দক্ষ ওয়েটিং স্টাফ এবং পরিশ্রমী কিচেন স্টাফ টিমসহ নিবেদিত কর্মীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই, তাদের কঠোর পরিশ্রম এবং শ্রেষ্ঠত্বের প্রতি অবদান রাখার জন্য।”

সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ‘আমেরিকায় ধর্মীয় বাধ্যবাধকতার কারণে ইচ্ছা থাকলেও চাইনিজ বা থাই ফুড খেতে পারেন না অনেকে। হালাল খাওয়ার সুযোগ পাননা বলে অনেকে রেস্টুরেন্টে যাওয়া থেকে বিরত থাকেন। তাদের জন্যই মুসলিম শেফ দিয়ে মনোরম পরিবেশে হালাল চাইনিজ এবং হালাল থাই খাবার রেস্টুরেন্ট পরিচালিত হচ্ছে। সত্যিকারের হালাল চাইনিজ এবং থাই খাবারের স্বাদ পেতে চাইলে আমাদের বিকল্প কমই আছে নিউ ইয়র্ক সিটিতে। হালাল খাদ্য নিশ্চিত করে ভোজনপ্রিয়দের জন্য আমানি হসপিটালিটি গ্রুপের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন এর উদ্যোক্তারা।

সাজ্জাদ হোসাইন ছাড়াও আমানি হসপিটালিটি গ্রুপের অন্যতম উদ্যোক্তারা হলেন রাজীব হাসান, জসিম উল্লাহ ও আকমল হুসাইন। তাদের প্রত্যেকেই বিশ্বের বিভিন্ন স্বাদের জনপ্রিয় খাবার সেরা মান ও স্বাদ অটুট রেখে হালাল খাদ্য পরিবেশনে নতুন নতুন ধারণা নিয়ে কাজ করছেন।

শেয়ার করুন