৩০ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ১১:০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬


নিউইয়র্কের উপত্যকায় বাংলাদেশি শিল্পীদের রংতুলির উৎসব
তোফাজ্জল লিটন
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৭-২০২৩
নিউইয়র্কের উপত্যকায় বাংলাদেশি শিল্পীদের রংতুলির উৎসব অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা


সমতল থেকে বারশো ফুট উঁচুতে কেটস্কিল পাহাড়ের উপত্যকায় এক বাড়ির নাম পার্বতী। ডটার অব মাউন্টেইন। এই বাড়ি থেকে দাঁড়িয়ে যতদূর চোখ যায় সবুজ আর সবুজ। দূরে ঢেউয়ের মতো পাহাড়। আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীরা জড়ো হয়েছেন সেখানে। ছিলেন কানাডার বাংলাদেশি শিল্পীরাও। বাংলাদেশি-আমেরিকান আর্টিস্ট ফোরাম আয়োজিত নবম আর্টক্যাম্পে ৪৫ জন চিত্রশিল্পী অংশগ্রহণ করেন। অংশ নিয়েছেন মূলধারার শিল্পীরাও। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের রাজধানী আলবেনির ক্যাটস্কিল পাহাড়ে হয়ে গেল দুই দিনব্যাপী রং আর তুলির উৎসব। আয়োজনের প্রথম দিন ৮ জুলাই শনিবার নিউইয়র্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামসহ আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন দুই শতাধিক। 

বাংলাদেশি আমেরিকান আর্টিস্ট ফোরামের সভাপতি আর্থার আজাদ বলেন, আমরা প্রতি বছর এ আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করি। মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে ছবি আঁকার এ আয়োজন শিল্পচর্চার জন্য যেমন, তেমনি সবাই মিলে আনন্দ উদ্্যাপন করার জন্যও। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারায় বাংলাদেশি শিল্পীদের চিত্রকর্মের নিয়মিত প্রদর্শনী করব। আমাদের শিল্পচর্চা আরো বেগবান হবে।

অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে ড. মনিরুল ইসলাম বলেন, এমন আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এবং আমেরিকার সম্পর্ক আরো সুন্দর হবে। এমন রঙের উৎসব আমি খুব কম দেখেছি। যেসব শিল্পী এখানে জড়ো হয়েছেন তাদের অমিয় সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের শিল্পীদের চিত্রকর্ম মূলধারায় প্রদর্শনের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার সহায়তা করবে।

বাংলাদেশি আমেরিকান আর্টিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, চিতই পিঠা-ভর্তা, বারবিকিউ, খাসির মাংস নিজেরা রান্না করে খেয়েছেন সবাই। শুধু চিত্রশিল্পী নয়, কবি, আবৃত্তিকার, অভিনেতাসহ সংস্কৃতিকর্মীরা এ আয়োজনে নানাভাবে অংশ নিয়েছেন। হয়েছে সংস্কৃতি অনুষ্ঠান। শিশুদের জন্য ছিলো খেলাধুলা এবং চিত্রাঙ্কনের পৃথক আয়োজন। এমন উৎসব শিল্পীদের অনুপ্রাণিত করে। ১৫ বছর আগে ১০-১২ জন শিল্পী নিয়ে ক্যাম্প শুরু হলেও আজ আড়াইশ মানুষ একত্রিত হয়েছি শিল্পের তাগিদে। সামনে আরো বড় আকারের আয়োজন হবে বলে আশা করছি। 

নবম আর্ট ক্যাম্পের আহ্বায়ক সালমা কানিজ বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা চারুকলায় পড়েছেন, এখন আমেরিকায় বসবাস করছেন, এ আয়োজন তাদের নিয়ে, সবার পরিবার নিয়ে। সবাই মিলে হয়ে উঠেছে আরেকটি নতুন পরিবার। ক্যাম্পে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের সাবেক ডীন মতলুব আলী, শিল্পী তাজুল ইমাম, খুরশিদ আলম শাহীন এবং কনসাল জেনারেল মনিরুল ইসলামকে। ক্যাম্পে শিল্পীরা নানা মাধ্যমে এঁকেছেন, নানা বিষয়কে এঁকেছেন। খোলা আকাশের নিচে সেসব ছবি প্রদর্শিত হয়েছে। অংশগ্রহণকারী চিত্রশিল্পীদের মধ্যে ছিলেন শামীম সুব্রান, সালমা কানিজ, আর্থার আজাদ, বিশ্বজিৎ চৌধুরী, ওয়াহিদ আজাদ, সৈয়দ এ রহমান, বশিরুল হক, মাহমুদুল হাসান রোকন, কায়সার কামাল জুয়েল, জেবুন্নেসা হেলেন, আলমা ফেরদৌসী লিয়া, কানিজ হুসনা আকবরী, জুলফিকার তারিক, রুদ্র জাহাঙ্গীর, ফারহানা ইয়াসমিন, সরকার হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

শেয়ার করুন