২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ৬:৩৪:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর জাতীয় শোক দিবসে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০৮-২০২৩
জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর জাতীয় শোক দিবসে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ জ্যাকসন এলাকাবাসীর তবারক বিতরণ


জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী একটি ব্যতিক্রমী সংগঠন। এই সংগঠনের সব মতাদর্শের মানুষ রয়েছে। রয়েছে যারা আওয়ামী লীগ করেন তারা, যারা বিএনপি করেন তারা, যারা জাতীয় পার্টি করেন তারাসহ অন্য দলের সমর্থকরাও। এখানে মতের অমিল থাকতে পারে, কিন্তু সাংগঠনিক স্বার্থে সবাই এক এবং অভিন্ন। যে কারণে তাদের পক্ষেই সম্ভব অসম্ভকে সম্ভব করা। হিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতি পরিহার করে সৌহার্দ্য সম্প্রীতির রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা। তাদের স্লোগানই আমরা হিংসা রাজনীতি চাই না, সম্প্রীতির রাজনীতি চাই। আমরা বিদ্বেষের রাজনীতি চাই না, সৌহার্দ্যরে সম্প্রীতির রাজনীতি চাই, প্রতিশোধের রাজনীতি চাই না, ভ্রাতৃত্বের রাজনীতি চাই, বিভক্তির রাজনীতি নয়, মৈত্রীর রাজনীতি চাই। আমরা মিলেমিশে সোনার বাংলাদেশকেই উপস্থাপন করতে চাই। 

জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী অন্য বছরের মতো এবারও মিলিমিশে একই আমব্রেলার নিচে এসে পালন করলো জাতীয় শোক দিবস। তবে অন্য বছরের তুলনায় এবারের আয়োজনটি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। এবার আয়োজন করা হয় অনেক বড় আকারে। স্থাপন করা হয় বিশাল আকারের স্ক্রিন বোর্ড। যার মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিব ভাষণটি প্রচার করা হয়। দেশি-বিদেশিরা একনজরে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ দেখেছেন। কেউবা শ্রদ্ধায় অবনত হয়েছেন। অনুষ্ঠানটি গত ১৫ আগস্ট বিকালে জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন রেস্টুরেন্টের সামনে অনুষ্ঠিত হয়।

একযুগেরও বেশি সময় ধরে তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে আসছে। অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক এবং এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর নিজামুল হকের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব সোহেল গাজীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সভাপতি শাকিল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলম নমি, চেয়ারপারসন মামুন মিয়াজি, ডা. এনামুল হক, লেখক হুমায়ুন কবীর ঢালি, আশরাফুল আলম খোকন, সিরাজুল হক কামাল, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম প্রমুখ।

সহযোগিতায় ছিলেন যুগ্ম-আহ্বায়ক মোহাম্মদ এ আজাদ, মিয়া মোহাম্মদ দুলাল, আব্দুল মালেবক, আব্দুল হামিদ, শাহ নেওয়াজ, যুগ্ম-সদস্য সচিব হাজি এনাম, মাহবুবুর রহমান ডিউক খান, চেয়ারপারসন বিপ্লব সাহা, তত্ত্বাবধানে শাহ জে চৌধুরী, প্রধান সমন্বয়কারী মইনুল ইসলাম, প্রধান পৃষ্ঠপোষক আসেফ বারী টুটুল, পৃষ্ঠপোষক নূরুল আজিম, ফাহাদ সোলায়মান, তারেক হাসান খান, জেড আর চৌধুরী লিটু, আহসান হাবিব। আরো ছিলেন মোহাম্মদ মানিক বাবু, এম রহমান, কবির চৌধুরী জসী, সংগঠনিক সম্পাদক আফতাব জনি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকরাম হোসেন বিপ্লব, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আলমগীর খান আলম, ক্রীড়া সম্পাদক ইফতি খান টিপু। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এম আজিজ, হারুণ ভুইয়া, দেবাশীষ দাস বাবলু, মনসুর চৌধুরী, নূরুজ্জামান সর্দার, হাসান জিলানী, মহিউদ্দিন দেওয়ান, জয়নাল আবেদীন, মহসিন ননী, কামরুজ্জামান কামরুল, মনসুর চৌধুরী, মোহাম্মদ পিয়ার, একএম ফজলুল হক, শাহ জে চৌধুরী, বিপ্লব সাহা, রহিমুজ্জামান রহিম, কবির রতন, ফজলু মিয়া, কাজী তোফায়েল ইসলাম প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানকে সফল এবং সার্থক করার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মীর নিজামুল হক, শাকিল মিয়া এবং মোহাম্মদ আলম নমি।

দোয়া পরিচালনার এরপর থেকেই বিতরণ করা হয় খাবার। হাজার হাজার মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার সংগ্রহ করেন। উল্লেখ্য, অন্যবারের তুলনায় এবারের আয়োজনটি ছিল বৃহৎ এবং বিশাল। বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খাবার বিতরণ করা হয়।

শেয়ার করুন