০২ মে ২০১২, বৃহস্পতিবার, ৬:০৮:৩৬ অপরাহ্ন


কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন
বদিউল আলম বললেন কুসিক নির্বাচন নিয়ে অনেক প্রশ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৭-২০২২
বদিউল আলম বললেন কুসিক নির্বাচন নিয়ে অনেক প্রশ্ন বদিউল আলম মজুমদার/ফাইল ছবি


নাগরিক সংগঠন সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন নিয়ে অনেক প্রশ্ন। এসবপ্রশ্নের উত্তর জাতি জানতে চায়। জনগণকে তুলে ধরতে হবে।

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের তথ্যের বিশ্লেষণ উপস্থাপনের লক্ষ্যে সুজন-এর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন। গত ১৫ জুন অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের তথ্যের বিশ্লেষণ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তুলে ধরেছে নাগরিক সংগঠন সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক। এতে সুজন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য রোবায়েত ফেরদৌস এবং সুজন জাতীয় কমিটির সদস্য একরাম হোসেন সুজন-এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকারও উপস্থিত ছিলেন।

সুজন স¤পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। কমিশনের দায়বদ্ধতা কেবল জনগণের কাছে। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সুসংগঠিত করাই কমিশনের কাজ। সুজনও এলক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন তার সক্ষমতা প্রদর্শন করে বিধি বিধান প্রয়োগের মাধ্যমে। কুমিল্লাতে তারা সে সক্ষমতা দেখাতে পারেনি। কিছু চুনোপুঁটির ক্ষেত্রে সক্ষমতা দেখালেও রাঘববোয়ালদের ক্ষেত্রে দেখাতে পারেনি। কমিশনাররা তাদের শপথ অনুযায়ী কর্তব্য পালন করছেন কি না তা একটি বড় প্রশ্ন।  

তিনি আরও বলেন, কুমিল¬া নির্বাচনে ইভিএম নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহৃত হয়েছিল ৬টি আসনে আর ২৯৪টি আসনে নির্বাচন হয়েছিল পেপার ব্যালটে। নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী ২৯৪ আসনে যেখানে পেপারব্যালটে ভোট হয়েছে, সেখানে ভোট পড়েছে ৮১ শতাংশ। অন্যদিকে যে ছয় আসনে ইভিএমে ভোট হয়েছে সেখানে ভোট পড়েছিল ৫১ শতাংশ। অর্থাৎ ৩০ শতাংশ পার্থক্য, তার মানে যেখানে পেপার ব্যালটে ভোট হয়েছে সেখানে কারসাজি করা হয়েছে, না হয় যেখানে ইভিএমে ভোট হয়েছে, সেখানে মানুষকে ভোটাধিকার বঞ্চিত করা হয়েছে। ২০১২ সালে কুমিল্লা নির্বাচনে ব্যবহৃত বায়োমেট্রিক ইভিএমে ভোট পড়েছিল প্রায় ৭৫ শতাংশ,  ২০১৭ সালে পেপার ব্যালটে ভোট পড়েছিল ৬৪ শতাংশ। এবারে সেখানে ভোট পড়েছে ৫৯ শতাংশ। ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে, বায়োমেট্রিক ছাপ না মেলায় অনেকে বিরক্ত হয়ে চলে গেছে। এখানে ইভিএম মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।  ইভিএম যদি মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে, সেই ইভিএম ব্যবহারের যৌক্তিকতা কি?

অপরদিকে রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, কুমিল্লা নির্বাচন ছিল এই কমিশনের প্রথম পরীক্ষা। প্রথম পরীক্ষাতেই তারা অনেকগুলো প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ইভিএমে প্রিন্টআউট না থাকার কারণে পুনঃগণনার সুযোগ নেই। যারা ইভিএমে ভোট দিতে না পেরে ফেরত যান, তাদের জন্য বিকল্প ভোটের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। সরকারি লোকজন যদি সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে পদত্যাগ করার সাহস ও দৃঢ়তা দেখাতে হবে। কমিশন এই দৃঢ়তা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনের মূল অংশীদার রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়েও এখন আলাপ শুরু করতে হবে।

একরাম হোসেন বলেন, কুমিল্লা নির্বাচনে নাগরিকদের জন্য উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কয়েকটি কারণ আছে। একটি হলো সমাজকর্মীদের স্থলে ব্যবসায়ীরা অধিকহারে নির্বাচিত হচ্ছেন অপরটি হলো মামলা সংশ্লিস্টরও নির্বাচিত হচ্ছেন বেশি করে। খুনের মামলার আসামীও আছেন অনেকে।


শেয়ার করুন