০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৯:৫০:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতি
বাংলাদেশে বিনিয়োগে বড় বাধা অন্যায্য কর দুর্নীতি আমলাতন্ত্র
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-১০-২০২৫
বাংলাদেশে বিনিয়োগে বড় বাধা অন্যায্য কর দুর্নীতি আমলাতন্ত্র স্টেট ডিপার্টমেন্টের লোগো


নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ পরিষেবা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা থাকলেও অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রতা, বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর অন্যায্য করের বোঝা এবং দুর্নীতি বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে গত ২৬ সেপ্টেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ২০২৫ সালে বিবৃতিতে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টা বাস্তবায়নের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া মেধাসম্পদ (আইপিআর) এবং শ্রম অধিকার ইস্যুতে বিধিবিধান বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যকর উদ্যোগ নেই। সরকার মেধাসম্পদ সংরক্ষণে যথেষ্ট সম্পদ বরাদ্দ করছে না। যদিও বাংলাদেশ গত দশকে তৈরি পোশাক কারখানার অগ্নি ও ভবন নিরাপত্তায় উন্নতি করেছে। তবে শ্রমিকরা সংগঠিত হওয়া এবং যৌথ দরকষাকষিতে তাদের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে আইনি বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। 

২০২৪ সালে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং উচ্চ আমদানির ফলে বাংলাদেশের ব্যালেন্স অব পেমেন্ট ভারসাম্যে উল্লেখযোগ্য ঘাটতি দেখা দেয়। মোট বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ২০২১ সালের আগস্টে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের সর্বোচ্চ থেকে ২০২৪ সালে ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে, ২০২৫ সালের মার্চ মাসে তা সামান্য পুনরুদ্ধারের ফলে ২০ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে। অন্তর্বর্তী সরকার বিদেশি বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করে, শেখ হাসিনা আমলের এমন দুটি পদ্ধতি অপসারণের জন্য কাজ করছে। এগুলো হলো-রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রদেয় বৈদেশিক মুদ্রার পরিশোধ বিলম্ব করা এবং বাংলাদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা স্থানান্তরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের প্রয়োজনীয়তা। 

ব্যাংকিং কেলেঙ্কারির কারণে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি দেখা দেয়। বেশ কয়েকটি প্রথম সারির ব্যাংক আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে বড় অঙ্কের ও সন্দেহজনক ঋত দেয়, যারা পরবর্তী সময়ে ঋতখেলাপি হয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে খেলাপি ঋত বেড়ে ২৮ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার হয়। অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে এ খাতকে সামঞ্জস্য করার জন্য ব্যাংকিং খাতের সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। 

শেয়ার করুন