০৮ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ০৫:১৬:১৩ অপরাহ্ন


জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-১০-২০২৫
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট আলী রীয়াজ


দীর্ঘদিন ধরেই জুলাই সনদ নিয়ে ঐকমত্য হওয়া নিয়ে নানা তর্ক-বিতর্ক। ছোট রাজনৈতিক দলগুলো বেশি সরব ছিল। তার একমত হলেও বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে বিস্তর ফারাক অবস্থা বিরাজ করায় এর ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দেহ বাড়ে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনটাও যথাসময়ে হবে কি না-সেটা নিয়েও প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ শেষের দিকে প্রায়। আগামী ১৫ অক্টোবরই তাদের মেয়াদ শেষ। এমনি মুহূর্তে বরফ গলেছে। প্রতিটা রাজনৈতিক দল জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ‘গণভোট’ নিয়ে ঐকমত্য হয়েছে। তবে এরপরও কবে নাগাদ বা কীভাবে এটা বাস্তবায়ন হবে এ নিয়ে কিছুটা বিতর্ক চলছে। এরই মধ্যে বিএনপি, এনসিপিসহ অনেক রাজনৈতিক দল এ ভোট জাতীয় নির্বাচনের দিন অতিরিক্ত একটা ব্যালটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত করার প্রস্তাব দিলেও জামায়াত এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। জামায়াত চাচ্ছে এটা নভেম্বরের শেষ বা ডিসেম্বরে আলাদাভাবে সম্পন্ন করা উচিত। এ ব্যাপারে দুপক্ষই মত রেখেছেন। 

এর আগে জুলাই সনদ ইস্যুতে গণভোটের পক্ষে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ৫ অক্টোবর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চতুর্থ দিনের আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, আজ জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এক ধরনের ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জনগণের সম্মতি অর্জনের জন্য গণভোটের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে। 

তিনি বলেন, দলীয় অবস্থান থেকে সরে এসে রাজনৈতিক দলগুলো একটি জায়গায় আসার জন্য সচেষ্ট হয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, এ বিষয়ে ইতোপূর্বে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের মতামত নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এখন অনেকে এ বিষয়ে কিছুটা সরে আসছেন। এজন্য দলগুলোকে ধন্যবাদ। আশা করি, একটি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জমা দিতে পারব। প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি আমরা ১৫ অক্টোবরের মধ্যে একটি মীমাংসায় আসতে পারবো। অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার বিষয়ে তিন-চতুর্থাংশ দলের কাছে নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। 

অনেকে নাম দিয়েছেন। অনেকে এখনো দেননি। দ্রুত নাম দিতে তিনি দলগুলোকে অনুরোধ করেন। ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আরো জানান, দু-একদিনের মধ্যে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আবারও বৈঠকে বসবে কমিশন। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, এলডিপি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি, আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

শেয়ার করুন