৩০ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৬:৪১:৩৭ পূর্বাহ্ন


বিয়ানীবাজারবাসীর প্রতিবাদ সভায় বক্তারা
মামলা প্রত্যাহার করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-১০-২০২৫
মামলা প্রত্যাহার করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখছেন আব্দুর রাজ্জাক


মিথ্যা অভিযোগে মামলা করে নির্বাচন স্থগিত, ব্রঙ্কস ভোট কেন্দ্র বন্ধ করে ব্রঙ্কসবাসীর ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে গত ২৭ অক্টোবর ওজনপার্কে বিয়ানীবাজারবাসীর এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ফারুক আহমেদ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আসলাম আহমদ। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা তাদের বক্তব্যে কোর্টে মিথ্যাচার করে সংগঠনের ঐতিহ্যকে ম্লান করে নির্বাচনমুখী উৎসব ও মানুষের আবেগে কুঠারাঘাত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। সেই সাথে মামলাকারীদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবাদ সভায় মামলার পিটিশনারদের মিথ্যাচারের প্রমাণ উপস্থাপনে বলা হয়- ৬ অক্টোবরের ২০২৫ (মামলা নম্বর ৭২৯৯৪৫/২০২৫) পিটিশনার আব্দুল মান্নানকে সভাপতি, রেজাউল আলম অপুকে সেক্রেটারি উল্লেখ করে ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার সহযোগে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে ভোটার তালিকা প্রণয়নের কথা বলা হয়। অন্য জায়গায় আব্দুল মান্নানের নাম নেই। অপরদিকে মামলার এক জায়গায় মান্নান- দুখু পরিষদ উল্লেখ না করে শুধু দুখু পরিষদ উল্লেখ করা হয়েছে। আব্দুল মান্নানকে পরিষদ থেকে নাম বাদ দেয়ার কারণ কী- পিটিশনারদের প্রতি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়া হয়। মামলার পিটিশনারদের উদ্দেশ্যে বলেন, অপু ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছে। সে কিভাবে সেক্রেটারি পদে থাকবে? ভোটার নিবন্ধনে ডাবল ভোট এবং রং ভোটের কথা বলতে গিয়ে বলা হয় ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ তফসিল ঘোষণার সময় পিটিশনাররা পর্যবেক্ষণ করেন যে ভোটার তালিকায় ডাবল ভোট, ট্রিপল ভোট এবং রং ভোট রয়েছে। প্রতিবাদ সভায় প্রশ্ন রাখা হয় কিভাবে ৫ মিনিটের মধ্যে ৮ হাজারের উপর ভোটার পর্যবেক্ষণ করে ভুল দেখা হলো? কেন তারা কমিশনকে সেসময় ভোটার তালিকায় ক্রুটির কথা বলেননি। 

৫ জন বাদীর একজনকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়, ৯৭ সালের নির্বাচনে মামলা, ২০০০ সালের অভিষেক বন্ধ করা নিয়ে মামলার কথা বিয়ানীবাজারের মানুষ ভুলে যায়নি। প্রতিবাদ সভায় ঘোষণা করা হয়, ব্রঙ্কস ভোট কেন্দ্র থাকবে। এর কোন ব্যত্যয় হবে না। 

আমাদের দাবি হলো স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, মিথ্যাচার দিয়ে বিয়ানীবাজারের সুনাম যেন ক্ষুণ্ন করা না হয়। ভোটকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার মানুষের অধিকার বঞ্চিত করা যাবে না। তারা বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ভোটার তালিকায় অনিয়ম দেখা দিলে প্রথমে কার্যকরি পরিষদের নিকট সমস্যা উত্থাপন করা, কার্যকরি পরিষদ অপারগ হলে উপদেষ্টাদের সাথে আলোচনা। তা না হলে চূড়ান্ত ফয়সালা সাধারণ সভায়। তা না করে সংগঠনকে কোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রতিবাদ সভায় মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়।

প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন ফারুক আহমেদ। বক্তব্য রাখেন বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ এ আলীম, হাছান খান, খালেদ খান। মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক মতলুব রহিম নুনই, আব্দুল হক মনিয়া, বাহার উদ্দিন।

শেয়ার করুন