০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার, ০৯:২১:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


পাচারের টাকা ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক সংস্থাকে চিঠি
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-১০-২০২৩
পাচারের টাকা ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক সংস্থাকে চিঠি


পাচারের টাকা ফিরিয়ে আনতে বিদেশি রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থাকে চিঠি পাঠালো রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। গত ১৫ অক্টোর রোববার বাংলাদেশে অবস্থিত দূতাবাস এবং সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের কাছে পাচারের টাকা ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতা করতে লিখিত আহবান জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার হওয়া ১০ দেশসহ মোট ২০টির মতো দেশের দূতাবাসে এবং অর্থপাচার ও দুর্নীতি নিয়ে কাজ করা কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের কাছে পাচারের টাকা ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতা চেয়ে আহবান জানিয়ে ইলেকট্রনিক মেইলের মাধ্যমে এই চিঠিগুলো পাঠানো হয়। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলননের জাতীয় নির্বাহী কমিটি  মিডিয়া ও প্রচার সমন্বয়ক, সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন এতথ্য জানিয়েছেন। 

এতে বলা হয়, ওই  চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিভিন্ন দেশের অবৈধ অর্থ পাচার এবং আত্মসাৎ নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান আমেরিকার ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্সটিটিউট ২০১৩, ২০১৫ এবং ২০১৮ সালে দেশের সম্ভাব্য পাচার নিয়ে তিনটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। তাদের হিসাবে ২০০৬ থেকে ২০১৫ এই ১০ বছরে প্রায় ৬২ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে বলে তারা অনুমান করেছিল। সেই হিসাব অনুযায়ী এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২৩ নাগাদ প্রতি বছর আমাদের দেশ থেকে ১৪ বিলিয়ন ডলার পাচার হওয়ার কথা। দেশে একটা ’ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’ আছে। যাদের দেশের পাচার বন্ধে কাজ করার কথা, তারা ২০১৮ সালের রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির তথ্য জি.এফ.আই.-কে সরবরাহ করা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে জি.এফ.আই থেকে আর কোনো হিসাব পাওয়া যায়নি।

চিঠিতে আরও বলা হয়, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম বিভিন্ন রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিগণ বেশ জোরেশোরে ভোটাধিকার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসনসহ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ব্যপকভাবে উদ্বেগ ও তৎপরতা দেখিয়েছেন। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাদের এইরকম উদ্বেগ প্রকাশকে সাধুবাদ জানায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। পাশাপাশি সেইসকল বন্ধুরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদেরকে জানানো হয়, বাংলাদেশের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হতে না পারা, মানবাধিকার কেড়ে নেয়ার প্রশ্নহীন ক্ষমতা, আইনের শাসনের নামে আইন দিয়েই জুলুম করাসহ যত ধরনের অন্যায়-অবিচার হয় সেসবের যতগুলো কারণ আছে তারমধ্যে প্রধানতম কারণ হচ্ছে রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে অবাধ লুটপাট ও পাচারের সুযোগ। আর এসব অন্যায় সংগঠিত হচ্ছে একদল সংঘবদ্ধ মাফিয়াদের হাত দিয়ে। এদের অবাধ লুটপাট ও পাচারের পথে যেনো বাধা না আসে সে জন্যই তারা বাংলাদেশে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হতে দেয় না। বাংলাদেশকে মাফিয়াদের হাত থেকে উদ্বার করে জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতেই কাজ করছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।

শেয়ার করুন