লক্ষাধিক বাংলাদেশি অভিবাসীদের শহর নিউইয়র্কে বর্তমানে অনেক বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের পরিচালনায় বিবিধ ব্যবসা বাণিজ্যসহ নানা সেবাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে সন্তোষজনক হারে। বিশেষ করে দেশ থেকে আসা প্রবীণ পিতা-মাতার সেবাদানে সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান হোম কেয়ার এবং ডে কেয়ার জাতীয় সেবানির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশি বিজনেসম্যানরা অনেক এগিয়ে। এছাড়া গ্রোসারি, ফার্মেসি পরিচালনাসহ জনসেবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ইন্স্যুরেন্স সেবা, এমনকি স্পেশাল বিদ্যালয়গুলিতে ভর্তি হতে ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীর তৈরি করে দেবার প্রতিষ্ঠান টিউটোরিয়াল সেন্টারসহ নারী ও পুরুষদের ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ দানকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা নিউইয়র্কের পাঁচ বরোতে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এক্ষেত্রে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য কিম্বা সেবার সঠিক বিবরণ নিয়ে জনসম্মুখে আসতে ব্যর্থ হচ্ছেন। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান আশানুরূপ ব্যবসা বা মুনাফা না করতে হতাশ মনোভাব প্রদর্শন করলেন এই প্রতিনিধির কাছে। ব্যবসাতে লক্ষ লক্ষ ডলার বিনিয়োগ করে যখন জমজমাট ব্যবসার আশা করেন তখন দেখা গেলো দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ক্রেতা বা সেবা নিতে ইচ্ছুকদের দেখা মিলছে না। অথচ বিপরীতে অনেক অনভিজ্ঞ ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানে ক্রেতার ভিড় সামলাতে হাফডজন কর্মচারি ব্যস্ত। অনেকে নিজ ভাগ্যকে দোষারূপ করে, হায় হায় করে দিন কাটাচ্ছেন। সে রূপ হতাশ ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের মালিকদের মুখে বিজয়ীর হাসি ফুটিয়ে তুলতে ব্যবসা বৃদ্ধির অন্যতম হাতিয়ার প্রচারের মূলমন্ত্র ব্যাপক ডিজিটাল প্রচার। যেমন টিভি ও ফেসবুকে আকর্ষণীয় টিভি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পণ্য বা সেবার খবর দ্রুত কাস্টমারদের নিকট পৌঁছে দিয়ে অভাবনীয় ব্যবসায়িক সফলতা আনতে তিন যুগের মিডিয়ার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক হাসান ইমাম চৌধুরী। দেশ-বিদেশের কোটি কোটি টেলিভিশন দর্শকসহ সারা দুনিয়াজুড়ে বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশিদের কাছে প্রিয় হাসান ইমাম চৌধুরীকে বেশিরভাগ দর্শক চিনেন টিংকু চৌধুরী বলে। ৬ বছর পূর্বে আমেরিকায় বসবাস শুরু করে নিউইয়র্কের স্থানীয় জনপ্রিয় টেলিভিশনে খণ্ডকালীন কাজ শুরু করেন। টিংকু চৌধুরী তিন বা চার বছর ধরে নিউইয়র্ক এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশি অভিবাসীদের যাপিত জীবনের সুখ-দুঃখের কাহিনিসহ পারিবারিক ও সামাজিক সফলতার গল্প অবলম্বনে তৈরি আওয়ার কমিউনিটি শিরোনামে একটি ধারাবাহিক টেলিভিশন সিরিজ দেখানো শুরু করেন। যা অল্পদিনে ভীষণ জনপ্রিয়তা পেয়ে যায়। এরূপ সামাজিক সিরিজ চিত্রের প্রচার নিউইয়র্কে ছিলো প্রথম। যা অল্পদিনে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান বলে স্বীকৃতি পায়। বাংলাদেশে ডিজিটাল যুগের প্রথম দিকের টেলিভিশন বাংলাভিশনে বিপুল জনপ্রিয়তা পাওয়া বাংলার পথে অনুষ্ঠানের সফল রূপকার ও উপস্থাপক ছিলেন টিংকু চৌধুরী। যে কোন সময়ে চ্যালেঞ্জ গ্রহণের মানসিকতার একজন টিংকু চৌধুরী মিডিয়া ও প্রচারের যে শাখায় হাত দিয়েছেন সেখানেই পেয়েছেন অভাবনীয় সফলতা। বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল চ্যানেল আই এর প্রথম মিনিটের সম্প্রচার পর্বে ছিলেন একজন সফল গ্রাফিক এবং ট্যাকলিক্যাল বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা। গত ত্রিশ বছরের গ্রাফিক ডিজাইনসহ দর্শক নন্দিত অনুষ্ঠান তৈরির অভিজ্ঞতা সম্পন্ন টিংকু চৌধুরী বর্তমানে নিউইয়র্কের ব্যবসা জগতে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন তৈরিতে সফল এবং অভিজ্ঞতার আলোকে আলোকিত একটি নাম। মাত্র এক বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত প্রচারে প্রসার নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বর্তমানে বেশ কয়টি সফল এবং সেরা কাজের আত্মতৃপ্তি নিয়ে চলা টিংকু চৌধুরী। ইদানীংকালে বিপুল জনপ্রিয় বেশকয়টি ডিজিটাল বিজ্ঞাপন তৈরির সফল পরিকল্পনাকারী এবং পরিচালক টিংকু চৌধুরীর অন্যতম কাজ হলো স্থানীয় একটি টেলিভিশনে সর্বাধিক প্রচারিত বিজ্ঞাপন ‘মাছওয়ালা’। দর্শকদের মেজাজ বুঝে চরিত্র নির্বাচন ও আকর্ষণীয় সংলাপে যুক্ত ছিলো দারুণ চিত্র গ্রহণ। অভাবনীয় সফলতা পাওয়া বিজ্ঞাপন মাছওয়ালার কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন নিউইয়র্কের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক মহলের জনপ্রিয় মুখ লেখক ও গীতিকার ইশতিয়াক রূপু। প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে মূল চরিত্র ইশতিয়াক রূপু ঠাট্টা ছলে জানান, স্থানীয় জনপ্রিয় টেলিভিশনের প্রচারিত সফল এই বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়ে আমি বিপাকে আছি। চলার পথে কিম্বা বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে সমজদার দর্শকদের নানা প্রশ্নের মুখামুখি হতে হচ্ছে প্রায়শ। বর্তমানে নিউইয়র্কের বিজ্ঞাপন জগতে জনপ্রিয় ও সফল নির্মাতা টিংকু চৌধুরী কর্তৃক এই সময়ে প্রায় ডজনখানেক ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের কাজ চলছে। পাশাপাশি নিউইয়র্কের শীর্ষ স্থানীয় প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীরা আধুনিক এবং ক্রেতাদের নিকট শতভাগ আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন তৈরির আগ্রহ নিয়ে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন। প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে প্রচারে প্রসার নামের বিজ্ঞাপন প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার টিংকু চৌধুরী যে কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য সেরা ও সফল বিজ্ঞাপন তৈরি করে দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।