০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০২:০৯:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


‘বগুড়ায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা সরকারের স্বৈারাচারী মনোভাব’
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৬-২০২৩
‘বগুড়ায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা সরকারের স্বৈারাচারী মনোভাব’


বগুড়ার মোকামতলায় রোডমার্চ শেষে ফেরার পথে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই সময় বহরের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছেন। সংবাদ সূত্রে জানা গেছে গত ৫ জুন সোমবার বিকেল ৫টার দিকে বগুড়ার শিবগঞ্জের মোকামতলার জয়পুরপাড়া রাস্তার মোড়ে সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারসহ ১৪ দফা দাবিতে জনসভার আয়োজন করা হয়। শান্তিপূর্ণ জনসভা শেষে ফেরার পথে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা রোডমার্চে অংশ নিতে ঢাকা থেকে আসা নেতাদের গাড়ি বহরে হামলা চালায়। এই সময় দুটি গাড়ির গ্লাস ভেঙে গেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ওইদিন (সোমবার) রাত সাড়ে ৮টায় বগুড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জোনায়েদ সাকি বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষে ফেরার পথে হামলা করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হামলায় ওসমান গনি, আইউব আলু, মনসুর রহমান, পাভেলসহ অন্তত: ছয় জন আহত হন। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

এদিকে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ গত ৫ জুন বগুড়ার মোকামতলা ও শহরের হোটেলে গণতন্ত্র মঞ্চের রোডমার্চে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর এবং নেতা-কর্মীদের আহত করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধাদান-হামলার ঘটনা প্রমাণ করে বর্তমান সরকার ও তার দলীয় লোকজন গণবিক্ষোভের ভয়ে কম্পমান হয়ে এ ধরনের হীন সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে, যা সরকারের স্বৈারাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।

বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাম জোটের কেন্দ্রীয় নেতা ও সিপিবি সভাপতি মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাসদ (মার্কসবাদীর) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি হামিদুল হক গত ৬ জুন মঙ্গলবার এ বিবৃতি দেন। 

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, শাসক দলের সন্ত্রাসীদের দ্বারা বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধাদান-হামলার ঘটনা প্রমাণ করে বর্তমান সরকার ও তার দলীয় লোকজন গণবিক্ষোভের ভয়ে কম্পমান হয়ে এ ধরনের হীন সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে, যা সরকারের স্বৈারাচারী মনোভাবের বহিপ্রকাশ। নেতৃবৃন্দ শাসক দলের সন্ত্রাসী হামলাকারীদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

অপর এক বিবৃতিতে বাম জোটের নেতৃবৃন্দ আরপিও সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা হ্রাস করার সরকারের চক্রান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা-মনোনয়নপত্র জমা, বাছাই, প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, ভোট গ্রহণ ও ফল ঘোষণাসহ গ্যাজেট প্রকাশ পর্যন্ত এই পুরো প্রক্রিয়া মিলেই ‘নির্বাচন’। ফলে এই পুরো সময়কালে নির্বাচনে অনিয়ম হলে প্রার্থীতা বাতিলসহ পুরো সংসদীয় আসনের নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা কমিশনের যা বর্তমান আরপিওতেও রয়েছে। কিন্তু গাইবান্ধা নির্বাচনের পর অত্যন্ত দূরভিসন্ধিমূলকভাবে সরকার ও ভোট ডাকাতির সংসদে অনিয়ম হলে পুরো সংসদীয় আসনের নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে শুধুমাত্র যে যে কেন্দ্রে অনিয়ম সেই কেন্দ্রের ভোট বাতিলের এবং ‘নির্বাচন’কে ‘পুলিং’ এর বিধান যুক্ত করে আরপিও সংশোধনের বিল সংসদে উত্থাপন করেছে। যা কমিশনের ক্ষমতা হ্রাস করবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ভোটের ফল ঘোষণা এমনকি গেজেট প্রকাশের পরও তদন্তসাপেক্ষে অনিয়ম ধরা পড়লে পুরো সংসদীয় আসনের ভোট বাতিল করার বিধান যুক্ত হওয়া উচিৎ।

শেয়ার করুন