জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে ক্যাথি হকুল
নিউইয়র্কে পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্ম এবং মানুষের বসবাস। এখানে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সকল মানুষের সকল অধিকার এবং জীবনের নিরাপত্তা প্রদান করা। আমরা এখানে কোন ধরনের হিংসাত্মক কার্যকলাপ সহ্য করবো না। হিংসাত্মক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স অব্যাহত থাকবে। নিউইয়র্কে বাংলাদেশি পরিচালনাধীন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার অডিটোরিয়ামে মুসলিম কমিউনিটি নেতাদের উদ্দেশে বক্তব্যদানকালে এসব কথা বলেন নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হকুল। ক্যাথি হকুল বলেন, নিউইয়র্ক স্টেটের মানুষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই ২৫ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছি। এই অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপত্তা ইস্যুতে সব কমিউনিটির মানুষকে এক সঙ্গে কাজ আমি এবং আমার প্রশাসন কাজ করতে চাই।
এ সময় গভর্নর কমিউনিটির কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করার জন্য তিনি জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার কর্তৃপকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এই সেন্টার শুধু ধর্মীয় কাজের মধ্যেই এর কার্যকলাপ সীমাবদ্ধ রাখেনি। এই মুসলিম সেন্টার শিশু-কিশোর, যুবকদের নিয়ে কাজ করছে। বিশেষ করে তরুণরা যাতে বিপথগামী না হয় সেজন্য আপনারা কাজ করছেন।
বাংলাদেশি মুসলিম কমিউনিটিকে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রথমবার বাংলাদেশি মুসলিম সেন্টারে এসে বলেন, আপনাদের প্রতি আমার সমর্থন ও সহায়তা অব্যাহত থাকবে। জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ফার্মাসিস্ট জাহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন সেন্টারের প্রেসিডেন্ট ডা. সিদ্দিকুর রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের সেক্রেটারি আফতাব মান্নান। এই আয়োজনে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ইমাম মওলানা শামসে আলী।
শুভেচ্ছা বক্তৃতায় জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের প্রেসিডেন্ট ডাক্তার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এতো ব্যস্ত কর্মসূচির মধ্যেও একদিনের নোটিশে গভর্নর আমাদের মাঝে এসেছেন, এতে আমরা ধন্য। তিনি মুসলিম কমিউনিটির প থেকে নিউইয়র্ক স্টেট গভর্নর ক্যাথি হকুলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি গভর্নরকে পবিত্র রমজান মাসের শুভেচ্ছাও জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন ডেমোক্রেট নেত্রী এলিজাবেথ ক্রাউলি, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ফার্মাসিস্ট জাহিদুর রহমান। অনুষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের যুগ্ম-সম্পাদক ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর চৌধুরী। এ সময় জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।