০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৯:২২:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


দেশকে শরীফ নুরুল আম্বিয়া
এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০১-২০২৪
এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না শরীফ নুরুল আম্বিয়া/ফাইল ছবি


বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেছেন, অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচনের আকাংখা অস্বীকার করে যে নির্বাচন ৭ জানুয়ারি হয়েছে তা জাতীয় নির্বাচনের মর্যাদা ও গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। ২০১৪ এবং ২০১৮ সনের মত বিতর্কিত আর একটি নির্বাচন হল মাত্র। আমেরিকা থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সাথে সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছে পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়ে গেলো। এ নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ব্যক্তি বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছে। এপ্রসঙ্গে বাংলাদেশ জাসদ নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে ইতোমধ্যেই বলেছেন, দেশে-বিদেশে এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না, জনগণ শান্তিপূর্ণ ভোট বর্জনের ডাকে সাড়া দিয়েছেন। দলটির পক্ষ থেকে ওই বিবৃতিতে বলা হয়, তথাকথিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। “৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন বিগত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের সাথে সংযুক্ত আরেকটি বিতর্কিত নির্বাচন মাত্র। এই নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের মর্যাদা পাবে না। দেশের সাধারণ ভোটাররা এই ভোটকে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং ভোট বর্জনের ডাকে সাড়া দিয়ে জনগণ নির্বাচন বর্জন করেছে। নির্বাচন কমিশন অধিক ভোটারের ভোটদানের মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করছে। এই মিথ্যাচার নির্বাচনের নৈতিক ভিত্তি প্রদান করবে না। বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধানের দেয়া এ বিবৃতি দেন। তবে এর পর আমেরিকা থেকে প্রকাশিত দেশ পত্রিকার পক্ষ থেকে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আরো বিস্তারিত প্রতিক্রিয় নিতে বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়ার সাথে কথা হয। পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো। 

দেশ: নির্বাচন তো হয়েই গেলো। এখন কি করবেন? কি করার আছে আপনাদের? মানে রাজনৈতিক দলগুলোর? 

শরীফ নুরুল আম্বিয়া: অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচনের আকাংখা অস্বীকার করে যে নির্বাচন হয়েছে তা জাতীয় নির্বাচনের মর্যাদা ও গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। ২০১৪ এবং ২০১৮ সনের মত বিতর্কিত আর একটি নির্বাচন হল মাত্র। জনগণের সামান্য অংশই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, শান্তিপূর্ণ বর্জনের ডাকে জনগণ সাড়া দিয়ে ভোটদানে বিরত থেকেছে। নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান, গণতন্ত্র ও জবাবদিহিতামূলক শাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন জোরদার হওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। দেশের সমস্যা সমাধানে নির্বাচন-উত্তর সরকারের পক্ষে নেতৃত্ব দেয়ার সক্ষমতা থাকবে বলে মনে করি না। 

দেশ: নির্বাচন স্থগিত বলেন বা রুখে দিতে সরকার বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন কি ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করেন?

শরীফ নুরুল আম্বিয়া: আমার মনে হয় সরকারি দল ক্ষমতা ধরে রাখার খেলায় নিজেরা লেজেগোবরে অবস্থায় পড়েছে। তারা দলীয় গঠনতান্ত্রিক শৃঙ্খলা নষ্ট করেছে, অনেক সহযোগীদের বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে, সংসদে বিরোধী দল গঠনে জটিল সমস্যায় পড়ছে। এই সংসদের বিলুপ্তি যত তাড়াতাড়ি হবে ততই তাদের জন্য এবং সকলের জন্য মঙ্গল হবে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জনগণের প্রতি বিশ্বস্ত গণতান্ত্রিক শক্তি বেরিয়ে আসবে।

দেশ: এতে করে কি মনে হয় না জনগণ সরকারের পক্ষেই আছে? বা সরকার এখনো জনপ্রিয়? সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন ককর্মকাণ্ডে জনগণ খুশি। তাই বিরোধী দলের কথায় তারা কান দেয়নি। 

শরীফ নুরুল আম্বিয়া: এই তথাকথিত নির্বাচন ক্ষমতাসীনদের জনগণ থেকে আরো দূরে ঠেলে দেবে। উন্নয়ন যা হয়েছে তা কতটুকু নিজেদের স্বার্থে আর কতটুকু দেশের স্বার্থে তার পর্যালোচনা বিশেষজ্ঞরা করেছেন, মিডিয়াতে তা পাওয়া যাচ্ছে। উন্নয়নের ঋণ পরিশোধের দায় জনগণকেই বহন করতে হবে। ক্ষমতাসীনদের লুণ্ঠন, সম্পদ পাচার, দলবাজি, চাঁদাবাজি ও স্বেচ্ছাচারিতায় জনগণ অতিষ্ঠ্য। ভোটকেন্দ্রগুলোতে সামান্য ভোটার উপস্থিতির চিত্র থেকেই সরকারের জনপ্রিয়তার অবস্থা বোঝা যায়। 

দেশ: জনগণ তো প্রতিবাদে ফেটে পড়ছে না?

শরীফ নুরুল আম্বিয়া: আমরা আশাকরি আন্দোলন সফল হওয়ার সকল শর্ত পূরণ করে অচিরেই জনগণ সাফল্য অর্জন করবে। জনগণ রাষ্ট্রকে একটা গণতান্ত্রিক ভিত্তির উপর দেখতে চায়। জনগণ সেই স্বপ্ন পূরণের দিকেই এগিয়ে যাবে। সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষে জনগণের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

শেয়ার করুন