০৬ জুলাই ২০১২, শনিবার, ০১:১৫:৩৭ অপরাহ্ন


জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৬-২০২৪
জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন তবারক বিতরণ


জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশিদের প্রিয় জায়গা। নিউইয়র্কে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকাগুলোর তীর্থস্থান হচ্ছে জ্যাকসন হাইটস। সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে জ্যাকসন হাইটস। সেই জ্যাকসন হাইটসের কিছু ব্যবসায়ী, তরুণ সমাজ এবং আশপাশের লোকজনের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠাতা করা হয় জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী নামে একটি সংগঠন। এই সংগঠন তাদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করেছে তারা দেশে এবং প্রবাসে অনুকরণীয় এবং অনুসরণীয়। দেশপ্রেম এবং জাতীয় নেতাদের প্রতি তাদের সম্মান অটুট এবং অবিশ্বাস্য। বাংলাদেশে যেখানে রাজনীতি নিয়ে প্রতিহিংসা, সেখানেই জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী প্রতিষ্ঠাতা করেছে সৌহার্র্দ্য-সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত। তাদের স্লোগান-হিংসা নয়, সম্প্রীতি, বিদ্বেষ নয় সৌহার্দ্য, বিভক্তি নয় ঐক্য, ধ্বংস নয় উন্নয়ন। এই রাজনীতি যদি বাংলাদেশে হতো, তাহলে বাংলাদেশের চিত্রই পাল্টে যেত। এই অনুষ্ঠানের আয়োজনে সব দলের নেতাকর্মী-সমর্থকরা থাকেন এবং স্পন্সরও করে থাকেন। যে কারণে জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর অনুষ্ঠানে মানেই অনন্য-অসাধারণ। জয়তু জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী। জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে খুব বেশি অনুষ্ঠান করা হয় না। কিন্তু যে কয়েকটি অনুষ্ঠান করেন তা স্মরণে রাখার মতো।

জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রথমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী দলমত নির্বিশেষে ১৫ আগস্ট পালন করে আসছে। কয়েক বছর পরেই শুরু করে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী পালন। অনুষ্ঠান আয়োজনকে কেন্দ্র করে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। যদিও সংগঠনের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক সমস্ত কর্মকাণ্ডের সঙ্গেই থাকেন। প্রতি বছরই নেতাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। কয়েক হাজার মানুষের মধ্যে তবারক বিতরণ করা হয়। তারই ধারাবাহিতায় গত ৩০ মে পালন করা হয় শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদতবার্ষিকী। জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন রেস্টুরেন্টের সামনেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাদ জোহর এই অনুষ্ঠানের শুরু করা হয় দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে।

আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক দেওয়ান মনির, সদস্য সচিব আমানত হোসেন আমার এবং প্রধান সমন্বয়কারী সরওয়ার খান বাবুর নেতৃত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম আজিজ, বারী হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট আসেফ বারী টুটুল, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য আব্দুল লতিফ সম্রাট, জিল্লুর রহমান জিল্লু, গিয়াস আহমেদ, জেবিবিএর সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ সোলায়মান, জাতীয়তাবাদী ফোরামের সাবেক সভাপতি রাফেল তালুদার, ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা একেএম রফিকুল ইসলাম ডালিম, গোলাম ফারুক শাহীন, যুব দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবু সাইদ আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সাবেক সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী, বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাকসুদুল হক চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সাইফুর খান হারুণ, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি আহবাব চৌধুরী খোকন, সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ চৌধুরী, আশা হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট আকাশ রহমান, সারা হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট ডা. শাহজাদী পারভীন, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক, টপ টির প্রেসিডেন্ট সর্দার হক রনি, মামস রেস্টুরেন্টের লিটু চৌধুরী, ইশতিয়াক রুমি প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিলেন জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর সভাপতি শাকিল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক জেড আলম নমি, যুগ্ম-আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন সবুজ, আফতাব জনি, শামস জনি, কাজী আমিনুল ইসলাম স্বপন, আশরাফুজ্জামান আশরাফ, ইক্তারুজ্জামান রতন, সেলিম আহমেদ, সমন্বয়কারী রফিকুল ইসলাম ডালিম, ফারুক হোসেন মজুমদার, প্রফেসর মনিরুল ইসলাম খান, মফিজুর রহমান, জীবন শফিক, মাহবুবুর রহমান, হামিদুজ্জামান রকি, সার্বিক তত্ত্বাবধানে আবুল কাশেম, মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, এ জেড এম জাহাঙ্গীর হাসাইন, সাইফুল ইসলাম, সুলতান নাসির উদ্দিন রতন, নীরব হক। যুগ্ম সদস্য সচিব এ সিদ্দিক পাটোয়ারি, মনিরুল ইসলাম মনির, জাহাঙ্গীর আলম জয়, ইঞ্জিনিয়ার মাইন উদ্দিন, মোহাম্মদ এইচ উদ্দীন, ওয়াহিদুজ্জামান নিলু, এসএম ফরমান হোসেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মানিক বাবু, সহ-সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ দুলাল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আলমগীর খান আলম, সদস্য নিহার সিদ্দিকী, প্রধান উপদেষ্টা মীর নিজামুল হক, 

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জাতীয় নেতাদের সবারই সম্মান করা উচিত। কাউকে খাটো করে দেখার উপায় নেই। তিনি বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সুতরাং তার অবদানকে অস্বীকার করা যাবে না।

অনুষ্ঠানে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। দোয়া শেষে কয়েকটি গরু জবাই করে কয়েক শত মানুষের মধ্যে তবারক বিতরণ করা হয়। এছাড়াও প্রজেক্টরের মাধ্যমে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঐতিহাসিক স্বাধীনতার ঘোষণাসহ বিভিন্ন প্রমাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

শেয়ার করুন