বক্তব্য রাখছেন ড. সিদ্দিকুর রহমান
বাংলাদেশে এখন কী কোন সরকার রয়েছে? অবৈধ দখলদার সরকার দেশ চালাচ্ছে। সংবিধানের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে দখলদাররা জোরপূর্বক দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরের ২২ তারিখে সেই দখলদার সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মূহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে আসছেন। আমরা যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে সেই অবৈধ সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে যুক্তরাষ্ট্রের মানিতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। গত ১২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিভিক বক্তব্য পাঠ করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সোলায়মান আলী, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুল আমিন বাবু, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুল হামিদ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির সদস্য শাহানারা রহমান, সাদেকুল বদরুজ্জামান পান্না, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি রুফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এমদাদ চৌধুরী, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মিয়াম যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কিবরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র যুব লীগের আহ্বায়ক তারিকুল হায়দার চৌধুরী, যুবলীগ নেতা সেবুল মিয়া, আশরাফ আলী, বাহার খন্দকার সবুজ, সায়েরা রহমান, মোর্শেদা জামান, কৃষিবিদ আশরাফুজ্জামান, আজিমুল রহমান সাবু, কামরুজ্জামান হীরা, শাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল, হেলাল মিয়া, যুক্তরাষ্ট্র মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ শাহনাজ, মাসুদ হায়দার, মোহাম্মদ চিশতি প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দুস সামাদ আজাদ বলেন, গত ৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে ও ৩০ লক্ষ শহিদের রক্তে রঞ্জিত অর্জিত স্বাধীনতা অস্বীকার করে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে হাতিয়ার হিসেবে অসাংবিধানিকভাবে জোরপূর্বক অন্তর্বর্তীকালীন দখলদার সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস দেশে নৈরাজ্য ও পৈশাচিক হত্যাকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন । গত ১১ সেপেস্বরও পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে দুইজনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ড. ইউনূস এযাবৎ ৫ হাজারের বেশি পুলিশ-ছাত্র-সংখ্যালঘু-সাধারণ মানুষ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে হত্যা এবং আনুমানিক ১০ হাজার নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারে করেছে বা মামলা দায়ের করেছে। তিনি বলেন, দেশের জনগণ শান্তিতে বসবাস করতে পারছে না অনির্বাচিত অবৈধ দখলদার সরকারের দমননীতি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণে। দেশে এখন আইন বিচার বলে কিছুই নেই।
তিনি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর মতো ড. ইউনূস জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন এবং সর্বোচ্চ ব্যাংক সুদের সফল ব্যবসায়ীদের একজন!। দেশ পরিচালনার কোনো ধরনের দক্ষতা তার নেই। নিজেই বলেছেন ছাত্ররা তাকে নিয়োগ দিয়ে তাই স্বাভাবিকভাবে জনগণের কাছে তার কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
তিনি আরো বলেন, দেশের প্রচলিত আইন ভঙ্গ করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে স্কুলের শিক্ষকদের ছাত্রদের মাধ্যমে পদত্যাগ করানোর ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনের অবস্থা আরো করুণ। তিনি আরো বলেন, ড. ইউনূস বাংলাদেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে জনগণের ম্যান্ডেট না নিয়ে অবৈধভাবে ছাত্রদের নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণ করার যে কোনো মানদ-ে আইনগত বৈধতা নেই। যদি প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আসেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, অঙ্গসংগঠনের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ ২২ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টা জেএফকে বিমানবন্দরে ও ২৭ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা জাতিসংঘের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করবে।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাধিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্মিবান্ধব নেত্রী। তিনি যে কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পারেন। নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতা তানভীরের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে এটা কারা প্রচার করেছে, তা নিয়ে আমরা কাজ করছি। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুল আমিন বাবু বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ব্রাসেলসের আরেক নেতার ফোনালাপ নিয়ে বলেন, আমাকে ফোনে পাওয়া যায় না, এটা ঠিক নয়, আমার নেতৃত্বেই এখন আন্দোলন সংগ্রাম চলছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের দলের মধ্যে কিছু লোক আছে তারা এমনভাবে মিথ্যা কথা বলে যা সত্যকেও হার মানায়।
