বিদেশের মাটিতে প্রবাসী বাংলাদেশীরা নানাভাবে ভূমিকা রেখে চলেছেন। বিশ্বব্যাপী নিজ দেশের সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেওয়া ও খেলাধুলাতেও তাদের ভূমিকা কম নয়। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে হয়ে গেলো ফুটবল টুর্নামেন্ট।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা ওজনপার্কে ‘ভিলেজ কাপ-২০২৪’ নামে টুর্নামেন্টের আয়োজন করে বিয়ানীবাজার সামাজিক সাংস্কৃতিক সমিতি ইউএসএ। আনন্দঘন ও উত্তেজনাপূর্ণ এই ফুটবল ম্যাচে গ্র্যান্ড স্পন্সর ছিল ইউর ড্রিম হোম কেয়ার।
ইউর ড্রিম হোম কেয়ার বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সামাজিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করে থাকে। বাঙালি তরুণদের উৎসাহ দিতে তাদের নানা কার্যক্রমেও সহযোগিতা করে প্রতিষ্ঠানটি। এরই ধারাবাহিকতায় বিয়ানীবাজার স্পোর্টিং ক্লাবের ‘ভিলেজ কাপ-২০২৪ টুর্নামেন্টে এর পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতা করে ইউর ড্রিম হোম কেয়ার। সহযোগিতায় আরও ছিলেন কুইন্স ডেমোক্র্যাটিক লিডার অ্যাট লার্জ অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী।
ফুটবল ম্যাচটি উপভোগ করতে নিউইয়র্কের দূরদূরান্ত থেকে প্রবাসীরা ছুটে আসেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউর ড্রিম হোম কেয়ারের সিইও ও প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম এ আজিজ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ডেমোক্রেটিক ডিস্ট্রিক লিডার অ্যাট লার্জ অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী!
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন ইউর ড্রিম হোম কেয়ারের ডাইরেক্টর এমডি মোর্শেদ মামুন, বিয়ানীবাজার সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ সোসাইটির বর্তমান সভাপতি আব্দুর রব মিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম ,বিয়ানীবাজার সমিতির উপদেষ্টা মুজাহিদুল ইসলাম, বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য গওহর তুলি চৌধুরী, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিম। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্যানেলের প্রার্থীরা।
ভিলেজ কাপের আয়োজক ও খেলোয়াড়সহ উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে এম এ আজিজ বলেন, আজকে আমি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে গর্বিত। কারণ আমি আপনাদের ভাই, আপনাদেরই একজন। আমি এই ওজন পার্কের বাসিন্দা। আপনাদের যেকোনো প্রয়োজনে আমি পাশে থাকব।
অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী বলেন, প্রবাসে এটি একটি ব্যতিক্রম আয়োজন। খেলাধুলার মাধ্যমে অনেক খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকা যায়। এর মাধ্যমে যুব এবং তরুণ সমাজের মধ্যে ভালো কাজের স্পৃহা বাড়ে। শুধু তাই নয় এর মাধ্যমে বাঙ্গালীদের মাঝে একটি সম্পর্ক তৈরি হয়। আমি এর আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই।
খেলা উপলক্ষে সকলকে অনুপ্রাণিত করতে নৈশভোজে মেজবানির আয়োজন করা হয়, যেটি স্পনসর করেন ইউর ড্রিম হোম কেয়ার এবং অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী।
এবারের টুর্নামেন্টে ১৭টি দল অংশ নেয়। এতে চ্যাম্পিয়ন হয় গ্রেটার ঘুঙ্গাদিয়া একাদশ, রানার্সআপ হয় বৈরাগী বাজার। নির্ধারিত সময়ে খেলা গোলশূন্য ড্র ছিলো। পরে টওাইব্রেকারে গ্রেটার ঘুঙ্গাদিয়া একাদশ ৬-৫ গোলে বৈরাগী বাজারকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়।