৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০১:০৯:১৭ অপরাহ্ন


অভিবাসী ঠেকাতে বর্ডারে অতিরিক্ত ১০ হাজার এজেন্ট নিয়োগ নিয়োগের ঘোষণা ট্রাম্পের
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-১০-২০২৪
অভিবাসী ঠেকাতে বর্ডারে অতিরিক্ত ১০ হাজার এজেন্ট নিয়োগ নিয়োগের ঘোষণা ট্রাম্পের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প


রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ১৩ অক্টোবর রবিবার অ্যারিজোনার প্রিসকট ভ্যালিতে প্রচারাভিযানের সময় ঘোষণা দিয়েছেন তিনি পুনরায় নির্বাচিত হলে অতিরিক্ত ১০ হাজার বর্ডার পেট্রোল এজেন্ট নিয়োগ করবেন। অভিবাসন ইস্যুতে কমলা হ্যারিসের ওপর তার আক্রমণ জোরদার করার সঙ্গেই তিনি এই ঘোষণা দেন। অ্যারিজোনার সমাবেশে ট্রাম্প আরো বলেন, কংগ্রেসের মাধ্যমে তিনি বর্ডার পেট্রোল এজেন্টদের বেতন ১০ ভাগ বাড়ানোর জন্য এবং ১০ হাজার ডলার সাইনিং ও রিটেনশন বোনাসের অর্থায়ন নিশ্চিত করবেন।

সম্প্রতি ট্রাম্প অভিবাসন ইস্যুতে তার অবস্থান আরো কঠোর করেছেন। গত ১১ অক্টোবর শুক্রবার, তিনি বলেছেন, কোনো অভিবাসী যদি কোনো মার্কিন নাগরিককে হত্যা করে, তবে তার মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত। গত মাসে, তিনি অবৈধ অভিবাসীদের যারা সহিংস অপরাধ করেছে, তাদের দানব, শীতল রক্তের খুনি এবং নীচ প্রাণী বলে উল্লেখ করেছেন। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, অভিবাসীরা অপরাধ করে না, যে হারে জন্ম নেওয়া আমেরিকানরা করে। সমালোচকরা বলছেন, ট্রাম্পের বক্তব্য বর্ণবাদী ধারণাগুলিকে আরো জোরালো করে তুলছে।

ট্রাম্প পূর্বে একটি দ্বিদলীয় সীমান্ত নিরাপত্তা বিল ব্যর্থ করতে সাহায্য করেছিলেন, যা ১ হাজার ৫০০ অতিরিক্ত কাস্টমস এবং বর্ডার পেট্রোল এজেন্ট এবং ১ হাজার ৬০০ আশ্রয় অফিসার নিয়োগের জন্য অর্থায়ন করতো। বর্তমানে প্রায় ২০ হাজার মার্কিন বর্ডার পেট্রোল অফিসার রয়েছে। কমলা হ্যারিস এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ট্রাম্পকে দ্বিদলীয় বিলটি ব্যর্থ করার জন্য সমালোচনা করেছেন। তারা অভিযোগ করেছেন যে তিনি রাজনৈতিক সুবিধার জন্য এটি নষ্ট করেছেন। হ্যারিস তার পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন, ‘আমেরিকার ভাঙা অভিবাসন ব্যবস্থা’ ঠিক করার জন্য এবং ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করে বলেছেন, তিনি অভিবাসীদের আমেরিকান জীবনে প্রভাব নিয়ে ‘ভয় ও বিভেদের আগুন জ্বালাচ্ছেন।’ কমলা হ্যারিস মাদক ফেন্টানিলকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধ করার জন্য অগ্রাধিকার দিয়েছেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের অতিরিক্ত সীমান্ত পেট্রোল এজেন্ট নিয়োগের প্রতিশ্রুতি এবং কঠোর শাস্তিমূলক নীতি তার সমর্থকদের মধ্যে জনপ্রিয় হতে পারে, তবে সমালোচকরা বলছেন, এটি বর্ণবাদী এবং বিভাজনকে উসকে দেয়। এর পাশাপাশি, অভিবাসন বিষয়ক গবেষণাগুলোও তার দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক, যা অভিবাসীদের অপরাধ প্রবণতা নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা তুলে ধরে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিসের সমালোচনার মধ্যেও ট্রাম্প তার অবস্থানে অবিচল রয়েছেন, যা অভিবাসন ইস্যুকে মার্কিন রাজনীতিতে আরো বিতর্কিত করে তুলেছে।

শেয়ার করুন