০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৯:২২:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


৭ লাখ আমেরিকান বিদেশে থেকে সোশ্যাল সিকিউরিটি পেনশন ভোগ করছেন
৩৬৭ জন সোশ্যাল সিকিউরিটি পেনশন সুবিধা নিচ্ছেন বাংলাদেশ থেকে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-১১-২০২৪
৩৬৭ জন সোশ্যাল সিকিউরিটি পেনশন সুবিধা নিচ্ছেন বাংলাদেশ থেকে


অনেক আমেরিকান অবসরকালীন সময় যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বিদেশে বসবাসের স্বপ্ন দেখেন। বাংলাদেশি আমেরিকান অবসর জীবনে আরো আরামদায়ক জীবনযাপন করতে আপন জন্মভূমি বাংলাদেশে বসবাস করতে চিন্তা করেন। একজন মার্কিন নাগরিক যখন সোশ্যাল সিকিউরিটি অবসরকালীন সুবিধার জন্য যোগ্য হলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বাহিরে যতদিন ইচ্ছা, ততদিন সুবিধাগুলো গ্রহণ করতে পারবেন। এই সময়ের কোনো সীমা নেই। সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এসএসএ) আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত ৭ লাখ ৩ হাজার ৮৬৫ আমেরিকান, যারা যুক্তরাষ্ট্রের বাহিরে বসবাস করছেন, তারা সোশ্যাল সিকিউরিটি পেনশন সুবিধা উপভোগ করছেন। বিদেশে বসবাসকারী এই সুবিধাপ্রাপ্তদের মধ্যে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ৩৬৭ জন বাংলাদেশি আমেরিকান সোশ্যাল সিকিউরিটি অবসর সুবিধা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসের মুখপাত্র অ্যান ক্লিফটন দেশকে জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান এই সুবিধাপ্রাপ্তদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত, জীবিত না থাকলে তাদের স্বজন, এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত। তাদের জন্য সোশ্যাল সিকিউরিটির নীতিমালা অনুসারে তারা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে বসবাস করলেও তাদের সুবিধা অব্যাহত থাকবে। 

সোশ্যাল সিকিউরিটি প্রশাসন হলো যুক্তরাষ্ট্রের একটি সরকারি প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রাম আমেরিকান কর্মীদের এবং তাদের পরিবারের জন্য অবসর, অক্ষমতা এবং মৃত্যুর কারণে অর্থনৈতিক সুরক্ষা প্রদান করে। এটি ১৯৩৫ সালে সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অধীনে প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। গ্রেট ডিপ্রেশনের সময় আমেরিকানদের অর্থনৈতিক দুর্দশা মোকাবিলা করার জন্য এটি চালু করা হয়েছিল। আজ এই প্রোগ্রামটি লাখ লাখ আমেরিকান নাগরিকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা জাল হিসেবে কাজ করছে, যারা অবসরগ্রহণের পর অক্ষমতা বা পরিবারের প্রধান উপার্জনকারীর মৃত্যু হলে এটি তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আয় সৃষ্টি করে। বর্তমানে সোশ্যাল সিকিউরিটি প্রতি মাসে প্রায় ৬৮ মিলিয়ন আমেরিকান নাগরিককে সুবিধা প্রদান করে। ২০২৪ সালে সোশ্যাল সিকিউরিটি প্রশাসন মোট প্রায় ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার বেনিফিট পেমেন্ট প্রদান করবে। 

সোশ্যাল সিকিউরিটি শুধু যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী আমেরিকান নাগরিকদের জন্য নয়, বরং বিদেশে বসবাসরত তাদের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা ব্যবস্থা। বাংলাদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি আমেরিকানদের জন্য এই সুবিধাগুলো একটি বিশাল সহায়ক ভূমিকা পালন করে, যা তাদের অবসরকালীন জীবনে আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। সোশ্যাল সিকিউরিটির মাধ্যমে, আমেরিকানরা পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে বসবাস করলেও তাদের আর্থিক সুরক্ষা বজায় রাখতে সক্ষম হয়, যা এ প্রোগ্রামের বৈশ্বিক প্রভাব এবং গুরুত্বকে আরো জোরালোভাবে প্রতিষ্ঠিত করে।

শেয়ার করুন