০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ৬:৩৬:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


মাকসুদ-মাসুদ পরিষদের ১৩ জনের শপথ গ্রহণ
চট্টগ্রাম সমিতি এখন কার
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-১১-২০২৪
চট্টগ্রাম সমিতি এখন কার শপথ নিচ্ছেন মাকসুদ-মাসুদ প্যানেলের প্রার্থীদের শপথ গ্রহণ


গত ২০ অক্টোবর রবিবার উত্তর আমেরিকার অন্যতম বৃহৎ সংগঠন চট্টগ্রাম সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের রাতেই ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী সভাপতি কোষাধ্যক্ষসহ মাকসুদ-মাসুদ পরিষদের ১৩ জন এবং অপর পরিষদ থেকে সাধারণ সম্পাদকসহ ৬ জন জয়ী হয়। কিন্তু ফলাফল ঘোষণার ৬ দিন পর সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অন্য একটি ফলাফল ঘোষণা করা হয় যা শুরু থেকে মাকসুদ-মাসুদ পরিষদ প্রত্যাখ্যান করে আসছে। ফলে সংগঠনটিতে পুনরায় সমস্যা সৃষ্টি হয়, নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে শপথ দেয়ার জন্য নির্বাচিতদের মধ্য থেকে কাউকে কাউকে গত ৩ নভেম্বর স্বাক্ষর বিহীন একটি নোটিশ প্রদান করেন এবং ঐ দিন দুপুরেই শপথ দেয়ার জন্য ভবনে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়ে পাশে অন্য একটি ভবনের সামনে সিকিউরিটি ও পুলিশের সহায়তায় ফুটপাতে কয়েকজনকে শপথ পাঠ করান যা পুরো কমিউনিটিতে হাস্যরসে পরিণত হয়। 

অন্যদিকে নির্বাচনের দিন মেশিন প্রদত্ত ফলাফল অনুযায়ী মাকসুদ মাসুদ পরিষদের জয়ী ১৩ জন গত ৮ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় সংগঠনের কার্যালয়ে শপথ নেন! তাদের অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের কাছে শপথের জন্য অনুরোধ করলেও তারা কোন রকম সহযোগিতা না করায় অন্তবর্তী কালীন কমিটির সিনিয়র সদস্য ও সাবেক সাধারন সম্পাদক মেহেবুবর রহমান বাদল মাকসুদ মাসুদ পরিষদের ১৩ জনকে শপথ পাঠ করান। যারা এই শপথ নিয়ে ভিন্ন মত পোষণ করছেন তাদের উদ্দেশ্যে মাকসুদ-মাসুদ পরিষদের বক্তব্য হচ্ছে চট্টগ্রাম সমিতির অতীত অনেক উদাহরণ আছে যেখানে নির্বাচন কমিশন ছাড়াও এমনকি শপথবিহীন ব্যক্তিও শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন, সম্প্রতি উদাহরণ অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির শপথ। সংগঠনের বিশেষ প্রয়োজনে যেকোন শপথপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচিতদের শপথ পাঠ করাতে পারেন এখানে সংগঠনের গঠনতান্ত্রিক কোন ব্যত্যয় ঘটেনি! 

শপথ নেয়ার পর সভাপতি মাকসুদ চৌধুরী, সিনিয়র সহ সভাপতি মো: মোক্তাদির বিল্লাহ, যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল ভুঁইয়া ও কোষাধ্যক্ষ মো: সুমন উদ্দীন অনতিবিলম্বে নির্বাচিতদের হাতে সংগঠনের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন । তারা আরো বলেন, সংগঠনকে সংকট থেকে দূর করার এক মাত্র উপায় হচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করা। অন্যথায় ভবিষ্যতে যেকোন বড় ক্ষতির জন্য অন্তর্বর্তীকালীন কমিটিই দায়ী থাকবে।

এখন চট্টগ্রাম সমিতির শপথ নেয়া কমিটির সংখ্যা দুইটি। এই অবস্থায় অনেকেই প্রশ্ন করেছেন চট্টগ্রাম সমিতি তুমি এখন কার। দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পর নির্বাচন হলো। কিন্তু সমস্যার কোন সমাধান হলো না। সমস্যা যেখানে ছিলো সেখানেই রয়ে গেল। অর্থাৎ যে লাউ সেই কদু।

শেয়ার করুন