২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৮:২২:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী অনুমোদনে প্রজ্ঞা-আত্মা’র অভিনন্দন, দ্রুত গেজেট প্রকাশের দাবি বাংলাদেশের মাটি স্পর্শ করলেন তারেক রহমান ফুজি ফিফথ স্টেশন ইতিহাস গড়ে বিচারপতি হলেন বাংলাদেশি আমেরিকান সোমা হাদির খুনিদের শাস্তির দাবিতে স্মারকলিপি ও গায়েবানা জানাজা মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্যাংচুয়ারি ক্যাম্পাস’ ঘোষণার দাবি শিক্ষার্থীদের কিউনি ও সুইনি ছাত্রছাত্রীদের জন্য এক্সেলসিয়র স্কলারশিপ ২০২৬-এর আবেদন প্রক্রিয়া শুরু তৃতীয় দেশে ফেরত পাঠানোর যুক্তিতে আশ্রয় আবেদন বাতিলের উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রে ন্যাচারালাইজড নাগরিকত্ব বাতিলের নতুন নির্দেশনা ট্রাম্পের নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ৩৯ দেশ


চীন বাংলাদেশে ঐক্য, সার্বভৌমত্ব, স্থিতিশীলতা এবং অব্যাহত উন্নয়ন দেখতে চায়
দেশ অনলাইন
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০২-২০২৫
চীন বাংলাদেশে ঐক্য, সার্বভৌমত্ব, স্থিতিশীলতা এবং অব্যাহত উন্নয়ন দেখতে চায়


চীন বাংলাদেশে ঐক্য, সার্বভৌমত্ব, স্থিতিশীলতা এবং অব্যাহত উন্নয়ন দেখতে চায়। বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন মঙ্গলবার এ কথা বলেছেন।

তিনি বলেছেন, সংস্কার সম্পর্কিত বিষয়গুলো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে দূতাবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে চলমান সংস্কার উদ্যোগ... আমি আপনাদের বলছি এটা সত্যিই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, বেইজিং সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। তিনি ডিজিটাল অর্থনীতি, সবুজ অর্থনীতি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কৃষি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো উদীয়মান খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন।

বেইজিং চীনা উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ ও তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে উৎসাহিত করছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে চলতি বছর উভয় দেশ বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।

তিনি বলেন, চীন এই বার্ষিকীকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার, কৌশলগত যোগাযোগ আরও গভীর, ব্যবহারিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ এবং উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতার প্রসারে একটি নতুন মাইলফলক হিসেবে ব্যবহার করতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।

তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, চীন-বাংলাদেশ ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে একটি নতুন স্তরে নিয়ে যাওয়া এবং পরবর্তী ৫০ বছরের সুবর্ণ সম্পর্কের সূচনা করা।’

ঋণ ইস্যুতে, রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, চীন কোনো শর্ত যুক্ত করে না এবং চীনের সহযোগিতায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহু যুগান্তকারী প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও চীন কৌশলগত অংশীদার হিসেবে একে অপরকে সমর্থন করে যাচ্ছে।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সময় থেকে ৩০টি চীনা উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে প্রায় ২৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের চুক্তি করেছে।

তিনি আরও বলেন, চীন বাংলাদেশে বৃহত্তম বিনিয়োগকারী এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও ঘোষণা দেন, চীন এ বছরের মে মাস থেকে বাংলাদেশ থেকে আম ও কাঁঠাল আমদানি শুরু করবে, যা দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে ভূমিকা রাখবে।

শেয়ার করুন