০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ১০:১৩:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


যে কারণে বাসায় খালেদা জিয়া
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-০৬-২০২২
যে কারণে বাসায় খালেদা জিয়া


 হার্টে মাইল্ড স্ট্রোক করার পর হাসপাতালে নিয়ে রিং পরানো হলো। এরপরও আরো রিং পরানোর প্রয়োজনীয়তা থাকলেও একই সঙ্গে নয়। কিছুটা বিরতি দিয়ে বাকি চিকিৎসা। হাসপাতালের কেবিনে ছিলেন নীবিড় পর্যবেক্ষণে। কিন্তু সেখান থেকে বাসায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা হলো সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। তাড়াহুড়া করে তাকে বাসায় ফেরানোর কারণ দেশে করোনার আক্রমণ বেড়ে যাওয়া। খালেদা জিয়ার যে কন্ডিশন তাতে আরেকবার করোনা সংক্রামণ হওয়া মানে বড় ধরনের বিপদের মধ্যে পড়ে যাবেন তিনি।

এ জন্যই তাকে বাসায় নিরাপদ স্থানে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে যে পর্যবেক্ষণটা ছিল তার জন্য, সেটা বাসাতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসকরা। বলে রাখা ভাল,মাইল্ড স্ট্রোকে- রোগীর মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ সাময়িক বন্ধ হয়ে আবারও চালু হয়। এটি মূলত বড় ধরনের স্ট্রোকের পূর্ব লক্ষণ।

এদিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন গত ২৪ জুন, শুক্রবার সন্ধ্যায় ৬টায়। এখন গুলশানের ফিরোজাতেই তিনি নীবির পর্যবেক্ষণে। গত ২৪ জুন শুক্রবার বিকালে এভারকেয়ার হাসপাতালের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাখ্যা দেন তার মেডিকেল বোর্ড।  তারা স্পষ্ট জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া এখনও সুস্থ হননি।  হার্টের যে ঝুঁকি নিয়ে খালেদা জিয়া হাসপাতালে এসেছিলেন, সেটা এখন স্থিতিশীল আছে। কিন্তু তিনি এখনও সুস্থ নন। তবে দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে তাকে রাখা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই তাকে বাসায় রেখে চিকিৎসা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মেডিকেল বোর্ড প্রধান হৃদরোগে বিশেষজ্ঞ ডা. শাহবুদ্দিন তালুকদার এই সময় সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ভাল ফিল করছেন। কিন্তু এই মুহূর্তে তিনি (খালেদা জিয়া) কোভিডে আক্রান্ত হলে ক্রিটিক্যাল পজিশনে চলে যেতে পারেন। তাই তাকে আমরা বাসায় রেখে চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

প্রয়োজন হলে আবারও খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হবে। কারণ তার খাদ্যনালীর যে সমস্যা সেটা কী অবস্থায় সেটা পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ হয়নি। সেটা দেখার প্রয়োজনও রয়েছে। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা পারমিট করবে কি-না সেটা নিয়ে টেনশন আছে।  

তবে তার ফুসফুসে যে বিপদজ্জনক পানি চলে এসেছিল। পরে বিশেষ ইনজেকশন দিয়ে সেই পানি সরানো হয়। এখন তার হার্টে পানি নেই। তবে মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য জানিয়েছেন,‘ওনার সবগুলো জটিলতার চিকিৎসা এক সাথে করা প্রয়োজন। কিন্তু সেটা করতে হলে বা সুস্থ করতে হলে যা করা দরকার তা দেশে আমরা পুরোপুরি করতে পারছি না। সেই সক্ষমতা, মেডিকেল সেটআপ আমাদের এখানে নেই। তার পারফেক্ট চিকিৎসা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। এজন্য আমার আগেও বলেছি, এখনও বলছি তার সুষ্ঠু চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি। 

উল্লেখ্য, বেশি অসুস্থ বোধ করায় গত ১০ জুন মধ্যরাতে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালের ভর্তি করা হয়। পরদিন ১১ জুন এনজিওগ্রাম করা হলে তার হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। তার মধ্যে একটি ব্লক ছিল ৯৫ শতাংশ। পরে সেটিতে রিং পরানো হয়। হার্টে রিং পরানোর পর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়।


শেয়ার করুন