৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ১০:১৯:০০ অপরাহ্ন


স্টেট ডিপার্টমেন্ট, নিউইয়র্ক পুলিশ ও মেয়রকে চিঠি
কনস্যুলেটে হামলাকারী দুষ্কৃতকারীরা শনাক্ত : তদন্ত শুরু
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৮-২০২৫
কনস্যুলেটে হামলাকারী দুষ্কৃতকারীরা শনাক্ত : তদন্ত শুরু কনস্যুলেটের ভাঙা দরজা


নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিসের দরজা লাথি দিয়ে ভেঙে ফেলা, প্রধান অতিথি তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে সরাসারি আক্রমণ করার হ্রিংস মনোভাব, কনস্যুলেট অফিসে ডিম নিক্ষেপ, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী, সরকারবিরোধী স্লোগান দেওয়া যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। বিভিন্ন ভিডিও ও স্থিরচিত্র দেখে চিহ্নিত এসব দুষ্কৃতকারীর নাম স্টেট ডিপার্টমেন্ট, নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট, নিউইয়র্ক সিটির মেয়র অফিসে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিউইয়র্ক বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোজাম্মেল হক। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ঢাকায় অবস্থিত ওয়াশিংটন বাংলাদেশ দূতাবাস, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস ও ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। তিনি বলেন, আমরা এসব দুষ্কৃতকারীকে গ্রেফতার এবং উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের দাবি জানাচ্ছি। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ কনস্যুলেটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। তিনি জানান, দুষ্কৃতকারীদের নাম দেওয়ার পর পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতার করা হবে এবং আইনের আওয়তায় এনে শাস্তি দেওয়া হবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে কনসাল জেনারেল বলেন, এ ঘটনার পর আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

আরেক প্রশ্নের জবাবে কন্স্যাল জেনারেল বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ২০ নেতার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। নিউইয়র্ক সিটির মেয়র অফিসের ইন্টারন্যাশনাল কমিশনের কাছেও কন্স্যুলেট অফিসে ২৫ আগস্ট সোমবারের হামলার অভিযোগ এনে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। 

অভিযোগে বলা হয়, আওয়ামী লীগের হামলায় ‘ডিপ্লোমেটিক ইমিউনিটি’ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘিত হয়েছে। হাইকমিশন, দূতাবাস ও কনস্যুলেট নিয়ে ভিয়েনা কনভেনশনের আন্তর্জাতিক আইনে নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর। বাংলাদেশ এ আইনের আলোকে কন্স্যুলেটে হামলার তদন্ত ও বিচার দাবি করছে। মেয়র অফিস ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর অভিযোগপ্রাপ্তির পরপরই বাংলাদেশ কন্স্যুলেট অফিসে যোগাযোগ করেছে। একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, ভিডিও ক্লিপসহ প্রায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের দরজা-জানালা ভাঙচুর করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এর নেতৃত্ব দেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইবাদুর রহমান চৌধুরীসহ প্রায় ৫০ নেতাকর্মী।

গত ২৪ আগস্ট বাংলাদেশ সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম কনস্যুলেটে প্রবেশ করার সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা মাহফুজ আলমকে লক্ষ্য করে ডিমও ছোড়েন। এরপরই কনস্যুলেটের দরজা-জানালা ভাঙচুর শুরু হয়। সেই সঙ্গে রাস্তায় থাকা কনসু্যুলেটের গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করে এবং কনসাল জেনারেলের রুমকে লক্ষ্য করে ডিম এবং পাথর নিক্ষেপ করে।

প্রবাসী বাংলাদেশি ও মিডিয়া কর্মীদের সঙ্গে তথ্য উপদেষ্টার মতবিনিময়ের আয়োজন করেছিল কনসাল জেনারেল অফিস। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তুজাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী সমর্থক নেতাকর্মীরা রোববার বিকাল ৫টা থেকেই কুইন্সের অ্যাস্টোরিয়াস্থ কনসাল জেনারেল অফিসের সামনে অবস্থান নেন। তারা বাংলাদেশ সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের উচ্ছৃঙ্খল কিছু নেতাকর্মী মিছিল করতে করতে কনস্যুলেটের ভেতর ঢোকার চেষ্টা করে। সিকিউরিটি গার্ড ও অফিস স্টাফদের বাধায় তারা ভেতরে ঢ়ুকতে ব্যর্থ হয়। ক্ষুব্ধ হয়ে দরজা লাথি মারে। কনস্যুলেটের প্রধান ফটকের কাচের দরজা ভেঙে যায়। কনস্যুলেটের ওয়ালে তথ্য উপদেষ্টার বিরুদ্ধে বানানো পোস্টার সেঁটে দেয়া হয়। অনেকেই প্রশ্ন করেছেন- কীভাবে? বিক্ষোভ অতীতেও হয়েছে। কিন্তু কনস্যুলেটের দরজার সামনে কেন? আগে তো বিক্ষোভ হতো রাস্তার অন্য পাড়ে। এবার কেন কনস্যুলেটের সামনে? নিশ্চিয় এটা কনস্যুলেটে থাকা আওয়ামী ভূতদের আছর? সোজাকথা ভেতরেও আওয়ামী লীগ এবং বাইরেও আওয়ামী লীগ। অনুষ্ঠানে কেন আওয়ামী লীগারদের দাওয়াত দেয়া হয়? যার মধ্যে রয়েছে প্রেসের আইডি নিয়ে আওয়ামী লীগের দুষ্কৃতকারী!

নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ দ্রুত বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং ২ জনকে আটক করে। পরে অবশ্য পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়। নিউইয়র্ক কনস্যুলেট অফিস নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ঘটনার সময় স্বয়ং সরকারের উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। ডিপ্লোমেটিক ইমিউনিটির বিষয়টিও জড়িত। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কনস্যুলেট যোগাযোগ রাখছে। একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থা ইতোমধ্যেই তদন্তে নেমেছে, সংগ্রহ করছে ভিডিও ফুটেজ।

কনস্যুলেটের বাইরে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ চলে বিকাল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। এ সময় কনস্যুলেটের ভেতর প্রবাসী বাংলাদেশি ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করছিলেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তুজা। সভাপতিত্ব করছিলেন কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। রাতে তথ্য উপদেষ্টা পুলিশ প্রহরায় কনস্যুলেট অফিস ত্যাগ করেন। রাষ্ট্রীয় সফরে মাহফুজ আলম আগামী ২৭ আগস্ট পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করবেন।

মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, আগামী নির্বাচনে যারাই ক্ষমতায় আসুক তাদের জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থেকে জুলাই সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। সংস্কার, বিচার আর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

জুলাই অভ্যুত্থান প্রসঙ্গে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, অনেক ত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে ৫ আগস্ট হাসিনার পতন হয়েছে। পরবর্তীতে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে নতুন সরকার গঠন করা হয়েছে। জুলাই ঘোষণার মাধ্যমে সব রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গৃহীত হওয়ার পর এখন জুলাই সনদ নিয়ে কাজ চলছে।

তথ্য উপদেষ্টা জুলাই আন্দোলনে প্রবাসীদের অংশগ্রহণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদে প্রবাসীদের অবদান উল্লেখ থাকবে। আমি কোনো রাজনৈতিক দলের অংশীজন নই। আমরা চাই ভবিষ্যতে যারাই ক্ষমতায় আসুক তারা জুলাই চেতনাকে ধারণ করে দেশ পরিচালনা করবেন। দুর্নীতিমুক্ত, জবাবদিহিমূলক হবে রাষ্ট্র। নিজের রাজনৈতিক চেতনার চেয়েও দেশকে প্রাধান্য দিতে হবে। সবার ঊর্ধ্বে দেশকে এবং দেশের জনগণকে যেন আমরা রাখি।’

বক্তব্যের পর উপদেষ্টা মাহফুজ আলম উন্মুক্ত প্রশ্ন আহ্বান করেন। বাংলাদেশে ভারতীয় টেলিভিশন অথবা গণমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়ার আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো কিছু বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে নই। আমি সব সময় বিকল্প ভালোর কথা বলে এসেছি। আমি আওয়ামী লীগের কোনো কিছুও বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে নই।’

ওয়াশিংটন ডিসি থেকে অনুষ্ঠানে আসা বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তুজা বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, একটা দেশে রাজতন্ত্র চলছিল, সে দেশের রাজা ছিলেন, রাজার বোন ছিলেন, রাজার ছেলে-মেয়েরা রাজপুত্র ছিলেন। পুরো দেশটা তাদের ছিল। আপনারা ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে সেই রাজার পতন ঘটালেন, দেশ থেকে বিতাড়িত করলেন। এখন একটা ডিম নিক্ষেপ করবে, কটূক্তি করবে, মাহফুজ আলমের পতন চাইবে-এটাই তো স্বাভাবিক।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন নিউইয়র্কের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। তিনি প্রশ্ন-উত্তর পর্বেরও সমন্বয় করেন। রাত ১০টায় প্রশ্নোত্তর পর্ব নিয়ে কিছুটা হট্টগোল হয়।

নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় মিশনের ব্যাখ্যা 

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবসের প্রথমবার্ষিকী উপলক্ষে গত ২৪ আগস্ট বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, নিউইয়র্কে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রায় দেড় শতাধিক অতিথি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সার্বিক প্রস্তুতি ও নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে অনুষ্ঠানের পূর্বেই নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ কনস্যুলেটের আশেপাশে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করে। 

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে আয়োজিত মতবিনিময় সভাটি পণ্ড করার উদ্দেশ্যে এবং অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিকে সরাসরি আক্রমণ করার হিংস্র মনোভাব নিয়ে বিকাল ৫টা থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রস্থ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের সামনে অবস্থান নেয়। তারা বাংলাদেশ সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং অশ্লীল-অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা অনুষ্ঠানে আগত আমন্ত্রিত অতিথিদের ধাওয়া করে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে বাধা প্রদান করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা আরো নানাবিধ অপকৌশল অবলম্বন করে যার অংশ হিসেবে তারা অতিথিদের উদ্দেশ্যে ডিম নিক্ষেপ করে এবং অত্যন্ত ন্যক্কারজনকভাবে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের প্রবেশপথের পার্শ্ববর্তী অন্য একটি অফিসের (একই ভবনের) কাচের দরজায় আঘাত করে যার পরিপ্রেক্ষিতে ওই দরজায় ফাটল ধরে (ভিডিও সংযুক্ত)। পুলিশ দুষ্কৃতকারীদের এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজে বাধা দেয় এবং কয়েকজনকে আটক করে। দুষ্কৃতকারীদের এ ন্যক্কারজনক ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের স্থিরচিত্র ও ভিডিও ফুটেজ প্রমাণ হিসেবে ইতোমধ্যে পুলিশের হস্তগত হয়েছে এবং তারা এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে মর্মে আশ্বস্ত করেছে।

পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা প্রধান অতিথিকে হেনস্তা ও জীবননাশের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় পতাকাসহ কনস্যুলেট জেনারেলের চতুর্দিকে মধ্যরাত অবধি অবস্থান করে। তবে পুরো সময় নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশের উপস্থিতি লক্ষণীয় ছিল। 

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি যথাসময়ে কনস্যুলেট জেনারেলে গাড়িযোগে প্রবেশের জন্য নির্ধারিত পথে নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান। প্রাণবন্ত মতবিনিময়, আগত অতিথিবৃন্দের সঙ্গে কুশল বিনিময় এবং রাতের খাবার শেষে প্রধান অতিথি কোন ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ব্যতিরেকে নির্ধারিত গাড়িযোগে তার গন্তব্যে পৌঁছান। প্রধান অতিথি প্রস্থান করার পরে পুলিশ অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে। দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়ে কনস্যুলেট জেনারেল ইতোমধ্যে স্থানীয় পুলিশ, মেয়র এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের স্থানীয় অফিসে পত্র প্রেরণ করেছে। 

এখানে আরো উল্লেখ্য, প্রধান অতিথির অনুষ্ঠানে আগমন কিংবা প্রস্থানের সময় দুষ্কৃতকারীদের সঙ্গে উপদেষ্টার কোনো ধরনের সাক্ষাৎ বা দূরতম কোনো সংযোগ কিংবা সংশ্লেষও ঘটেনি। পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা শত চেষ্টা সত্ত্বেও তাদের অসাধু উদ্দেশ্য সাধন করতে পারেনি এবং এহেন কার্যে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নানাবিধ অপতথ্য এবং প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। এ ধরনের মিথ্যে তথ্য এবং প্রোপাগান্ডায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

শেয়ার করুন