২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০২:০৬:১৯ অপরাহ্ন


নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে - শরীফ নুরুল আম্বিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০৭-২০২২
নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে - শরীফ নুরুল আম্বিয়া বাংলাদেশ জাসদের উদ্যোগে গতকাল তোপখানা রোডস্থ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা অনুষ্ঠান/ছবি সংগৃহীত


বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেছেন, দেশ এখন কঠিন সময় অতিক্রম করছে। সমাজে রাজনৈতিক ও সামাজিক ভারসাম্য বলে কিছু নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন, জনগনের কাছে জবাবদিহিতা ও সচ্ছতা প্রায় নির্বাসিত। যতই দিন যাচ্ছে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। ২০১৮ সনের কলঙ্কময় নির্বাচনের মত পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোন চেষ্টা আমাদের ভবিষ্যত অন্ধকারে ঠেলে দেবে। চলমান সংকট সকল রাজনৈতিক দলের সংগে আলোচনা করেই নিষ্পত্তি করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। আমাদের গনতন্ত্রে ফিরতে হবে। প্রতিপক্ষ মোকাবেলা করতে গিয়ে গনতন্ত্র নির্বাসন দেয়া চলবে না।


মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কম্যান্ডার, সিপাহী জনতার অভ্যুত্থানের নায়ক, শহীদ কর্নেল আবু তাহের (বীর উত্তম) কে ঠান্ডা মাথায় হত্যার দিনটি স্মরণে বাংলাদেশ জাসদের উদ্যোগে গতকাল তোপখানা রোডস্থ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ নুরুল আম্বিয়া। সভায় বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান সহ আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গনফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মহসীন মন্টু, ঐক্য ন্যাপের প্রেসিডিয়ামের সদস্য এ,এ,এস,এম,সবুর । অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডাকসুর সাবেক জিএস ডাঃ মুশতাক হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক জোট এর সাধারন সম্পাদক বাদল খান, স্থায়ী কমিটির সদস্য ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করিম সিকদার, মনজুর আহমেদ মনজু, স্থায়ী কমিটির সদস্য নাসিরুল হক নওয়াব, আনোয়ারুল ইসলাম বাবু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবদুস সালাম খোকন, পূর্বের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দিন, যুবজোট নেতা সাইদুর রহমান, ছাত্রলীগ বিসিএল সভাপতি গৌতম শীল।


শরীফ নুরুল আম্বিয়া আরো বলেন, ,দেশের আর্থিক অবস্থা শ্রীলঙ্কার মত না হলেও ঝুঁকিমুক্ত নয়। উন্নয়নের প্রচারে সংগে বাস্তবতার ফারাক অনেক। উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ নিয়ে এখন লোডশেডিং চলছে। কয়েকবছর ধরে আলোচনা হলেও উৎপাদন ও সরবরাহে সমন্বয় নাই। সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানী নীতি লুটেরাদের জন্য করা হয়েছে। চলমান শিক্ষাব্যবস্থায় অসাম্প্রদায়িক নজরদার নাই। শিক্ষাব্যবস্থায় ভালো ভবিষ্যতের কোন প্রতিফলন নেই।

 তিনি বলেন, কর্নেল তাহের একজন বিপ্লবী ছিলেন। জনসমর্থন ও রাজনৈতিক প্রস্তুতির ঘাটতির জন্য ৭ নভেম্বর ’৭৫ সনের অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়েছে। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের রাজনীতি করতে হবে।  শরীফ নুরুল আম্বিয়া আরো বলেন,


সম্প্রতি নড়াইলের মীর্যাপুরে ও লোহাগড়ায় যে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে তা দেশের জন্য লজ্জাজনক। সরকার ও সরকারি দল এঘটনার দায় এড়াতে পারে না। সাম্প্রদায়িক জংগিসন্ত্রাস বিরোধী যে ১৪ দলীয় জোট গড়ে উঠেছিল, এখন সেইসব সাম্প্রদায়িক খেলোয়াড় মাঠে রেখেই আওয়ামীলীগ ক্ষমতার রাজনীতি সক্রিয় রেখেছে। এই কৌশল অব্যাহতভাবে জাতিকে বিভক্ত করছে, সমাজের সম্প্রীতি ও শান্তি নস্যাৎ করে চলেছে।

সাম্প্রদায়িক কর্মকান্ডে সরকারি মহল সম্পৃক্ত নেই একথা মানুষ এখন বিশ্বাস করে না। দেশের স্বার্থে সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী দৃঢ় অবস্থান এখন সময়ের দাবী। তিনি বলেন, যে স্বপ্ন নিয়ে এদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, সেই মানুষ আজ রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত। জনগনের সেই গনতান্ত্রিক অধিকার অর্জনের লড়াই সংগ্রাম করতে হবে। ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ জনগনের অধিকার ও স্বপ্ন পূরনের পথ থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছে। সাম্য ও মানবিক মর্যাদা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষে দেশবাসীকে নতুনভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।"


শেয়ার করুন