০৩ মে ২০১২, শুক্রবার, ০৬:৪১:০৮ পূর্বাহ্ন


বিভক্তির আগুনে জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৯-২০২২
বিভক্তির আগুনে জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ


জাতিসংঘের ৭৭তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক আসছেন। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের কোন বিরোধ নেই। প্রাণের নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে তারা ঐক্যবদ্ধ কিন্তু গোল বেধেছে অন্য জায়গায়। এই পর্যন্ত যতবারই প্রধানমন্ত্রী আমেরিকায় এসেছেন ততবারই যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে বিভক্তি চরম আকার ধারণ করেছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কমিটি। তাদের প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রী নতুন কমিটি দেবেন। তাদের এই দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু তারা দাবিই করে যাচ্ছে কিন্তু প্রাপ্তির জায়গায় শুণ্য। এবারো একই খেলা শুরু হয়েছে। একটি সূত্রে জানা গেছে, এবারো প্রধানমন্ত্রীর কমিটি দেয়ার সম্ভাবনা কম। তারপরেও নেতাকর্মীদের সভা- সমাবেশ চলছে। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এখন মূলত কয়েকভাগে বিভক্ত। মূল দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, সহ সভাপতি শামসুদ্দিন আজাদ এবং প্রচার সম্পাদক দুলাল মিয়া এনাম। অন্য অংশের নেতৃত্বে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ড. প্রদীপ রঞ্জন কর, ডা. মাসুদুল হাসান, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, আব্দুর রহিম বাদশা, মঞ্জুর চৌধুরী। আরেকটি অংশের নেতৃত্বে রয়েছেন হিন্দাল কাদির বাপ্পাসহ আরো কয়েকজন।

গত সপ্তাহেই ভিন্ন ভিন্ন অংশগুলো ভিন্ন স্থানে সভার আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রীর সফর সফল করার নিয়ে এই অনুষ্ঠান ডাকা হলেও মূলত: এই সভাগুলোতে ছিলো একের প্রতি অন্যের ক্ষোভ এবং চৌদ্দ গোষ্ঠি উদ্ধার। এই অস্তস্থিকর পরিস্থিতিতে সাধারণ কর্মী এবং সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। তারা বলেন, আওয়ামী লীগের সর্বনাশ করার জন্য বিএনপি- জামাতের প্রয়োজন নেই, আওয়ামী লীগই যথেষ্ট। তারা বলেন, দলের মধ্যে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকতে পারে কিন্তু প্রতিহিংসা নয়। বর্তমানে প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ চায় সাধারণ কর্মী এবং সমর্থকরা।

শেয়ার করুন