০৪ মে ২০১২, শনিবার, ০২:৪৪:২০ পূর্বাহ্ন


প্রধান অতিথি ইউএনও আছড়ে ভাঙ্গলেন ট্রফি
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৯-২০২২
প্রধান অতিথি ইউএনও আছড়ে ভাঙ্গলেন ট্রফি নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলাম ও ভাইরাল হওয়া ট্রফি ভাংগার দৃশ্য/ছবি সংগৃহীত


সাফ নারী ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফুটবলাঙ্গনে চলছে উৎসব। দীর্ঘদিন পর সাফল্যহীন বাংলাদেশ ফুটবলে এতবড় সাফল্য উদযাপন করছে যেন গোটা বাংলাদেশ। নারী ফুটবল দলকে অর্থ পুরুস্কারও দিচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। সর্বশেষ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক কোটি টাকা দেয়ার ঘোষনাও দেয়। ফুটবল নিয়ে বাধভাঙ্গা উৎসব। বিমানবন্দর থেকে ছাদ খোলা বাসে রাজধানী বিভিন্নস্থান ঘুরিয়ে ফুটবল ফেডারেশনে নিয়ে যাওয়া। যুব ও ক্রীড়াপ্রতিমন্ত্রী নিজেই উপস্থিত ছিলেন বিমান বন্দরে। প্রধানমন্ত্রীও অভিনন্দন জানিয়েছেন দলকে।  

ফুটবলের এমন উৎসবের মুহুর্তে বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে খেলোয়াড় ও দর্শকদের সামনে ট্রফি ভেঙেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলাম। এ ঘটনার একটি ভিডিও এখণ  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। সেখানে দেখা যায়, ইউএনও নিজ হাতে একটি একটি করে ট্রফি আছড়ে টেবিলের উপরই ভাঙ্গছেন। 

জানা গেছে, গত শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের মাংতাই হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আবাসিক স্বাধীন যুব সমাজের উদ্যোগে জুনিয়র একাদশ বনাম রেপারপাড়া বাজার একাদশ ফুটবল টিমের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহরুবা ইসলাম। সমাপনী খেলায় ৭০ মিনিট অনুষ্টিত হওয়ারপরও খেলা ড্র । যেহেতু ফাইনাল তাই নিয়মানুসারে টাইব্রেকারের আয়োজন করে ম্যাচ রেফারীগন।  এতে ৪টা টাইব্রেকারে আবাসিক জুনিয়র দলের ৩টা গোল হয় এবং টাইব্রেকারে রেপার পাড়া একাদশের গোল হয় একটি। খেলার নিয়ম অনুযায়ী আবাসিক জুনিয়র একাদশ চ্যাম্পিয়ন এবং রেপার পাড়া একাদশ রানার্স আপ হয়। মাঠের ঘটনা এখানেই শেষ। এবার পুরুস্কার প্রদান পর্ব।  

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহরুবা ইসলাম বলেন, ‘খেলায় হার জিত থাকবে। এতে কারও মন খারাপের কারণ নেই।’ তিনি উপস্থিত জনসাধারণের কাছে খেলার ফলাফলে সন্তুষ্ট কিনা জানতে চাইলে কয়েকজন খেলার ‘ফলাফল মানি না’ বলাতে ইউএনও ক্ষিপ্ত হন। এরপর তিনি খেলার চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স আপ ট্রফি ভেঙে ফেলেন। গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হয় এবং সমালোচনার ঝড় উঠে। 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেরুবা ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণের সময় হঠাৎ একজন এসে বললেন- তিন গোল চার গোল তারা মানেন না। তখন আমি বললাম- খেলা আবার হবে কি না। তখন এটা নিয়ে পেছন থেকে খুব আওয়াজ শুরু হলো। কয়েকজন বললো- তারা ট্রফি নেবে না, এ ট্রফি যতদিন থাকবে একটা আক্রোশ থাকবে। তারা বলল- ট্রফি ভেঙে ফেলা হোক। পরে আমি বললাম- তাহলে ঠিক আছে আপনারা মেডেলগুলো নিন। তারা সেগুলোও নেবেন না এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। ওরাই বলছে- ট্রফিটা ভেঙে ফেলা হোক। তাই ভেঙে ফেলা হয়েছে।

এ নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। 


শেয়ার করুন