২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ১০:২৮:৪৭ অপরাহ্ন


শাহিনবাগে পিটার হাসের সঙ্গে ঘটনা প্রসঙ্গ
সরকারের উচ্চ পর্যায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-১২-২০২২
সরকারের উচ্চ পর্যায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ


ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে রীতিমত তোলপাড়। কেউ বলছেন তার পক্ষে, কেউ বিপক্ষে। এতে জাড়িয়ে গেছে রাজনীতিবিদ,সুশীল সমাজও। তবে সর্বশেষ এ ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছেন খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনে মার্কিণ পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে উপ প্রধান মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, ‘নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা একটি সভা আগেভাগে শেষ করেছেন। এ বিষয়ে আমরা আমাদের উদ্বেগের কথা বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে জানিয়েছি।’


তিনি অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র তার মূল্যবোধের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং বৈশ্বিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির পূর্বশর্ত হিসেবে মানবাধিকারের বিষয়ে শ্রদ্ধাশীল। আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি মুখ্য বিষয় হিসেবে বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে আমরা মানবাধিকারের প্রসঙ্গ তুলি। এ ছাড়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, নাগরিক সমাজের কথা বলার সুযোগ এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়গুরোও তোলা হয়।’ 

যেভাবে ঘটনার সূত্রপাত- 

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস গত বুধবার সকালে রাজধানীর তেজগাওস্থ শাহীনবাগের এলাকায় দীর্ঘদিন পূর্বে বিএনপির নিখোঁজ নেতা সাজেদুল ইসলামের বাসায় যান। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সময় বাসার বাইরে একদল লোক তাঁকে ঘিরে ধরার চেষ্টা করেন। তিনি নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় সেখান থেকে বেরিয়ে যান। 

বিকেলে এ বিষয়ে মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র সাংবাদিক জানান, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থাকায় বৈঠক শেষ না করেই সাজেদুলদের বাসা থেকে চলে আসেন পিটার হাস। বিষয়টি তাঁরা সরকারের উচ্চপর্যায়ে জানিয়েছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের বৈঠক 

শাহীনবাগ থেকে বের হয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত  পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করে যাবতীয় অবস্থা জানান। সেখানে তিনি ঘটনার বিবরণ দেন বলে জানা গেছে। মন্ত্রীও তাকে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলে আশ্বস্থ করার চেষ্টা করেন। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী যা বলেছেন- 

পরবর্তিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত জরুরি ভিত্তিতে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বললেন যে, তিনি এক বাসায় গিয়েছিলেন, আর সেখানে যখন গিয়েছেন, কিন্তু বাইরে বহুলোক ছিল। তারা উনাকে কিছু বলতে চাচ্ছিলেন। উনার সিকিউরিটির লোকেরা উনাকে তাড়াতাড়ি সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। তারা বলেন যে ‘‘ওরা আপনার গাড়ি ব্লক করে দেবে’’।


সেই নিরাপত্তা অনিশ্চয়তা থেকে তিনি তখন তাড়াতাড়ি সেখান থেকে চলে গেছেন। এবং এতে তিনি খুব অসন্তুষ্ট হয়েছেন।’  পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি উনাকে (রাষ্ট্রদূত) বললাম যে আপনার নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব আমাদের। আপনার ওপর বা আপনার লোকের ওপর কেউ আক্রমণ করেছে? উনি বললেন যে, ‘‘না’’। তবে উনি বললেন যে, উনার গাড়িতে হয়ত দাগ লেগেছে। তবে এটা শিওর না। আমি বললাম, আপনার লোকদের নিরাপত্তা আমি দেব। আপনি যদি অধিকতর নিরাপত্তা চান আমরা দেব।’


 


শেয়ার করুন