২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৯:০০:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


রহস্যজনক আচরণ জামায়াতের
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০১-২০২৩
রহস্যজনক আচরণ জামায়াতের


জামায়াতে ইসলামীর আচরণে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা রহস্যের সৃষ্টি করেছে। দলটি বিএনপি’র সাথে যুগপৎ কর্মসূচি দিয়েও শেষ-মেষ কেনো পিছুটান দিয়েছে?  আবার কেনোই বা কোনো বাধা ছাড়াই মিছিল মিটিং করছে? এসব নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা রহস্যের শেষ নেই। অনেকের মতে, জামায়াতে ইসলামী দলটি আসলে সরকারের সাথেই সব ধরনের যোগাযোগ রেখেই বিএনপি’র সাথে দ্যুতিয়ালি করছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।  

হঠাৎ জামায়াতে ইসলামীর আন্দোলনে ডাক..

দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জনগণের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে নানা ইস্যুতে আন্দোলন করে যাচ্ছে। এসব আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে দলটির হাজার হাজার নেতাকর্মী এখন জেলে। বিএনপি’র মতেই দলের লাখ লাখ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে দেয়া হয়েছে মামলা। প্রতি মাসেই এসব নেতাকর্মীদের মামলার হাজিরা দিতে প্রাণ ওষ্ঠাগত বলে জানা গেছে দলের নেতাকর্মীর কাছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে, বর্তমানে ৩৭টি মামলা রয়েছে।


এর মধ্যে ৩৫টি মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন। বাকি দুটো মামলায় তার সাজা হয়েছে। এর মধ্যে তিনি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজা ভোগ করছেন। ১৩টি মামলা হয়েছে ২০০৭ এবং ২০০৮ সালে ১/১১ এর সরকারের শাসনকালে। এসব মামলার মধ্যে রয়েছে পাঁচটি দুর্নীতি মামলা, চারটি মানহানির মামলা ও একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা। বাকি মামলাগুলো হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার অভিযোগে। অন্যদিকে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে গত ১০ বছরে ৯২টি মামলা হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। 


আর এসব মামলা হামলা মাথায় নিয়েই বিএনপি গতবছরের শুরু থেকে বলা যায় বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে কোমড় বেধে মাঠে নেমেছে। এবারের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার আগে বিএনপি’র বিভিন্ন দল মতের সাথে কথা বলে নিয়েছে। বিএনপি যখন নিজে এবং বিভিন্ন দল মত নিয়ে মাঠে নেমেছে তখন জামায়াতে ইসলামীর কোনো খবরই ছিল না, নিরব থেকেছে দলটি।  এসময় বেশ কয়েকবার গুঞ্জন উঠে যে দলটি সরকারের সাথে গোপন আঁতাতে আছে। 


জামায়াতে ইসলামীর নিজেরা ছাড়াও তাদের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান যে সবের ওপরে তারা নির্ভর করে দল চালায় সেগুলোতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে নিয়ে ভালোভাবেই রাজনীতি করে যাচ্ছে। ফলে তারা বিএনপি’র বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা হামলা মামলার শিকার হলেও টু-শব্দটি করেনি। এমনকি বিএনপি গতবছরে আন্দোলন করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী নিহত হলেও জামায়াত সহানুভুতি জানিয়ে বিবৃতি বা পাশেও দাঁড়ায়নি। আর এই জামায়াতে ইসলামী হঠ্যাৎ করেই সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি’র সাথে যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা দিল কেনো?


তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত বছরের ডিসেম্বরে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জনগণের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ১০ দফা দাবির ভিত্তিতে দেশব্যাপী যুগপৎ গণআন্দোলন গড়ে তুলতে রাজধানী ঢাকার একটি স্থানীয় মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে দেশবাসীর উদ্দেশে কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। 

ডা. শফিকুর রহমানের এমন আচমকা ঘোষণা শুধু ঘোষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীতে যুগপৎ আন্দোলনের গণমিছিলে বিএনপির পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীরও বড় ধরনের শো-ডাউনের প্রস্তুতি রেখেছিল। দলটির ঢাকা ও ঢাকার আশেপাশের জেলার নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি মিটিং ও বিভিন্ন জেলা-মহানগরের নেতাকর্মীদের ঢাকামুখী হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। ওইদিনে রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষও বাধে।  মালিবাগ, পল্টন ও মতিঝিল এলাকায় এসব সংঘর্ষের পর পুলিশ কয়েকজনকে আটকও করেছিল। এসব সংঘর্ষে কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে দাবি পুলিশের। 



বিএনপি-জামায়াত গোপন ঐক্যের গুঞ্জন..

এ ধরনের ঘটনায় গুঞ্জন উঠে যে দলটি বিএনপি’র সাথে আসলে গোপন আঁতাত ঠিকই আছে। রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় ৩০ ডিসেম্বর শুক্রবার জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। মালিবাগ, পল্টন ও মতিঝিল এলাকায় এসব সংঘর্ষের পর পুলিশ কয়েকজনকে আটকও করেছে। এসব সংঘর্ষে কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে দাবি পুলিশের। জামায়াতে ইসলামীর এমন আন্তরিকতায় বিএনপি’র সাথে জোট বাধতে আসা উদার গণতান্ত্রিক বাম প্রগতিশীল দলগুলি নানানভাবে সমালোচিত হওয়ার আশঙ্কায় পড়ে। তাদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দেয় বিএনপি আসলেই জামায়াতে ইসলামীর সাথে গোপন যোগাযোগ রয়েছে। কেননা বিএনপি’র সাথে যুগপৎ আন্দোলনে রাজি হওয়া দলগুলির শর্তই ছিল একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধীকারী দলটির সাথে তাদেরকে (বিএনপি’কে) দূরে থাকতে হবে।


বিএনপি এব্যাপারে একশতভাগই গারান্টিই দেয় যে তারা স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতে ইসলামীর সাথে কোনো ধরনের যোগাযোগ করবে না, বৈঠকেও বসবে না। কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণায় বিএনপি’র পাশাপাশি তাদের সাথে জোট করতে এসে বিপাকে পড়ে বাম উদার গণতান্ত্রিক দলগুলি। এমনকি সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বলতে শোনা যায় বিএনপি-জামায়াতের ঐক্য অবিচ্ছেদ্য। তাদের এই ঐক্য ভাঙার নয়। ঐক্য আছে এবং থাকবে। ফলে বিএনপি পড়ে যায় একধরনের বেকায়দায়। 



জামায়াতে ইসলামীর যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা নেপথ্যে..

তবে জামায়াতে ইসলামীর যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা নেপথ্যে বিভিন্ন ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে বেশ কয়েকটি সূত্র থেকে। একটি সূত্র জানায় জামায়াতে ইসলামী আসলে বর্তমানে সরকারের সাথে বেশ কয়েকটি ইস্যুতে ঐক্যমত হয়েছে। তারা সরকারের সাথে প্রকাশ্যে না থাকার ভান করবে। তাতে তাদেরই সব ধরনের পারপাস সার্ভ করে যাবে। জামায়াতে ইসলামীর যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা নেপথ্যে সব গুরুতর কৌশলটি হচ্ছে দলটি (জামায়াত) বিএনপি’র যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনের প্রধান শরিক (বিএনপি) কে বেকায়দায় ফেলতে চেয়েছে। যেনো রাজনৈতিক মাঠে গুঞ্জন উঠে জামায়াতে ইসলামীর সাথে বিএনপি গোপন যোগাযোগ আছে। এতে বিএনপি’র সাথে ঐক করতে আসা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিগুলি দূরে সরে যাবে। ফলে একদিকে সরকারেরও আস্থাভাজন খাকবে, নিজেদের দল গুছাতে থাকবে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে সচল রাখতে পারবে। এসব কৌশলেই জামায়াতে ইসলামীর যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা দেয় বলে জানা গেছে। 

অন্যদিকে ডা. শফিকুর রহমানের গ্রেফতারের ব্যাপারটি নিয়েও নানান ধরনের গুঞ্জন রয়েছে। বলা হয় যে ডা. শফিকুর রহমানের গ্রেফতারে সরকার দেখতে চেয়েছে বিএনপি কি প্রতিক্রিয়া দেখায়। বিএনপি ডা. শফিকুর রহমানের মুক্তি দাবি করলেই সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপি বড়ো ধরনের প্রশ্নের মুখে পড়তো। আর সরকার চেয়েছে যেনো বিএনপি ডা. শফিকুর রহমানের মুক্তি দাবি করে। কিন্তু বিএনপি নিরবতায় সরকারের সে পরিকল্পনায় ছেদ পড়ে। তবে এক্ষেত্রে সরকার লাভবান হয়েছে জামায়াতে ইসলামীকে বোঝাতে সফল হয়েছে এই বলে যে, বিএনপি তাদের (জামায়াতে ইসলামীর) প্রতি সহানুভতিশীল না।  



১১ জানুয়ারি নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ঘোড়া যুক্তি.....ও শেষ কথা

সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করাসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকে ১১জানুয়ারি পালিত হয়েছে গণঅবস্থান কর্মসূচি। এটা যুগপৎ আন্দোলনের অংশ বিশেষ। কিন্তু রহস্যজনকভাবে ওই কর্মসূচিতে জামায়াতে ইসলামী ছিল না। নিরব থেকেছে এ দলটি। উল্টা ওই কর্মসূচিতে অংশ না নিয়ে জামায়াত ভিন্ন একটা কর্মসূচি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন করে। এ উপলক্ষে ঢাকায় আলোচনা সভাও করে দলটি। এর আগে গত ডিসেম্বরে বিএনপি সমমনা দলগুলোর সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলেনর কর্মসূচি ঘোষণা করে।


এর অংশ হিসেবে প্রথম কর্মসূচি ছিল ৩০ ডিসেম্বরের গণমিছিল। ওই দিন জামায়াতও ঢাকায় একই কর্মসূচি পালন করে। সেদিন রাজধানীর পল্টন, মালিবাগসহ কয়েকটি এলাকায় জামায়াতের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এরপর বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচির দিনে প্রকাশ্য কোনো কর্মসূচি না দিয়ে সভার আয়োজন করে জামায়াত। এ ব্যাপারে জামায়াত বিএনপি’র শীর্ষ পর্যায়ে বলেছেন যে, ৩০ ডিসেম্বরের গণমিছিলের মতো গণঅবস্থান কর্মসূচি তারা পালন করতে গিয়ে পুলিশের অনুমতি না পেলেও যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে জামায়াত মাঠে নামলে মৌচাকে পুলিশের বাধায় পড়ে। সেখানে দলটির অর্ধশত নেতাকর্মী আহত ও গ্রেপ্তার হন। এতে এলডিপিসহ কয়েকটি দল জামায়াতের মিছিলের বাধার নিন্দা করলেও, বিএনপি নীরব ছিল, যা নিয়ে জামায়াতে অসন্তোষ দেখা দেয়। 

 

এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁর মুক্তি দাবি করে বক্তব্য দেয়নি বিএনপি, তা নিয়েও জামায়াতের ক্ষোভ রয়েছে। তবে আসল কারণটি ছিল সরকারের যোগসাজোশই এসব হয়েছে বলে বিএনপি’র পক্ষ থেকে কেউ কেউ এই প্রতিবেদকের সাথে একান্তে আলাপে জানিয়েছে। তাদের মতে, গত ৩০ ডিসেম্বরের মৌচাকের সংঘর্ষের পর ডিএমপি কমিশনার কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিলেও জামায়াত এর জবাবে বিবৃতিতে জানায়, পুলিশের ওপর আস্থা রয়েছে, শত্রুতা নেই।


বিএনপি’র একজন নেতা এই প্রতিবেদককে বলেন, জামায়াত বিএনপি’কে বির্তকিত করতেই এসব নাটক করছে। তারা কোনোভাবেই বিএনপি’র কর্মসূচিতে থাকবে না। তা-ই যদি হতো তাহলে এই জামায়াত ১১ জানুয়ারি রাজপথে নামলোই না পুলিশী হামলা মামলার ভয়ে। কিন্তু বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদের নামে রাজধানীর মিরপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গত ১৪ জানুয়ারি। ওই দিন সকালে ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াত এ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি মিরপুর ১ নং থেকে শুরু হয়ে শাহ আলী অতিক্রম প্রদক্ষিণ করে গাবতলীতে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।


এসময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই দেশ ও জাতির এই ক্রান্তিকালে সম্পূর্ণ অবিবেচনাপ্রসূত ও অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করে গণবিরোধী ও আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ 



 প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এধরনের কর্মসূচি জামায়াত কি করে পালন করার সুযোগ পেলো। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামী সব সময়ই বিতর্কিত থাকে যে তারা সময় মতো খোলস বদলাতে পারে। জামায়াতে ইসলামী মনে করে এই সময়ে দলটি ক্ষমতাসীনদের সাথে বোঝাপড়া করে থাকাটই নিরাপদ। এই জন্যই তারা এমন আচরণ করছে। সামনে দিকে হয়তো এই জামায়াতে ইসলামী- দলটি সরকারের আরো কতো কাছাকাছি চলে যাবে তা শুধু সময়েরই ব্যাপার মাত্র। কারণ জামায়াতে ইসলামীর কাছে মনে হচ্ছে এটাই তাদের বিশাল রাজনৈতিক কৌশল।

শেয়ার করুন