২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৪:০৫:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন
বাংলাদেশে অনলাইনে জঙ্গিগোষ্ঠীর তৎপরতা বেড়েছে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৩-২০২৩
বাংলাদেশে অনলাইনে জঙ্গিগোষ্ঠীর তৎপরতা বেড়েছে


বাংলাদেশে আবারো জঙ্গী তৎপরতার সংবাদ। আর এই সংবাদ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারা জানিয়েছে, বাংলাদেশে বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী নতুন সদস্য ও তহবিল সংগ্রহে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তৎপরতা বাড়িয়েছে। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন ‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম-২০২১’-এর বাংলাদেশ অংশে এসব কথা বলা হয়েছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রশিক্ষণ পাওয়া বাংলাদেশ পুলিশের একটি ইউনিট সন্দেহভাজন জঙ্গিদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে কিছু কিছু হামলা প্রতিরোধ করেছে। তবে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়ে গেছে।

সন্ত্রাসবাদ দমনে মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ইউনিট, পুলিশের স্পেশাল উইপনস অ্যান্ড ট্যাকটিকস (সোয়াত) ইউনিট ও বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটকে প্রশিক্ষণ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এদের বাইরে বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের (এটিটি) বিচারক ও কৌঁসুলিদেরও প্রশিক্ষণ দেয় তারা। আদালতে নথিপত্র ব্যবস্থাপনা, তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা, সন্ত্রাসীদের বিচার করা ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নবিষয়ক মামলা পরিচালনার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণে আদালত কক্ষের নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়ও থাকে। বাংলাদেশের পুলিশ ও বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা সন্ত্রাস দমনে সম্পদ ও জনবলের ঘাটতির কথা উল্লেখ করে আরও প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, জল ও স্থল সীমান্তে টহল দেওয়ার মতো সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে। এ ছাড়া বিমানবন্দরে যাত্রী ও পণ্যবাহী উড়োজাহাজে স্ক্রিনিং করার ক্ষেত্রে উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। এ জন্য দেশটি বিমানবন্দরে আধুনিক যন্ত্রপাতি বসিয়েছে, নজরদারি পদ্ধতি শক্তিশালী করেছে এবং বিমানবন্দরের কর্মীর সংখ্যা বাড়িয়েছে।

বাংলাদেশে এখনো এয়ারলাইনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ততটা শক্তিশালী নয়। তবে বাংলাদেশে সবার জন্য ই-পাসপোর্ট দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে এবং পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোলের সঙ্গে তথ্য ভাগাভাগি করছে।

শেয়ার করুন