২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০৬:৫৭:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


আন্দোলনের মাঠে থাকার আভাস খালেদা জিয়ার
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৪-২০২৩
আন্দোলনের মাঠে থাকার আভাস খালেদা জিয়ার খালেদা জিয়া


রাজনীতির মাঠের আন্দোলনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা সরাসরি নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন। দেশে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবির পক্ষে বিএনপিসহ সবাইকে নিয়েই এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। কিভাবে কখন তিনি মাঠে নামতে যাচ্ছে- সে ব্যাপারে সরাসরি জানা না গেলেও আগামীতে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন যে তার নেতৃত্বেই হতে যাচ্ছে তা পরিস্কার হয়ে উঠছে ক্রমশ। এমনটাই দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে কথা বলে আভাস পাওয়া গেছে।  

খালেদা জিয়ার মাঠে নামার আভাস

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় দুই বছর জেলে ছিলেন। সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে দুটি শর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়েছিল ২০২০ সালের ২৫ মার্চ। তখন দেশে করোনা মহামারি চলছিল। এরপর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাস অন্তর অন্তর তাঁর মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। সে হিসাবে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ গত ২৪ মার্চ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে তাঁর ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার ৬ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। এভাবে খালেদা জিয়ার সাথে দলের শীর্ষ পর্যায়ের অনেকে যখন তখন দেখা করতে পারতেন না। কিন্তু বর্তমানে এই অবস্থাতেই বিএনপি’র চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন বলে ব্যাপক প্রচারণা আছে। এব্যাপারে বিএনপি’র সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছে ইতোমধ্যে মেসেজও চলে গেছে। তবে এব্যাপারে খোলাসা করে কেউ কিছু না বললেও খোদ দলের একেবারে শীর্ষ পর্যায়ের নেতার সর্ববেশ বক্তবেই ফুটে উঠে উঠেছে।

নেতৃত্ব দেয়ার ব্যাপারে ফখরুল যা বললেন..

এবারে ঈদুল ফিতরের দিন রাতে গুলশানের বাসায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাথে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির ৮ সদস্য গুলশানের ‘ফিরোজা‘য় খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাত করতে যান। মহাসচিবের নেতৃত্বে আরো যারা ছিলেন তারা হলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান। এক ঘন্টার অধিক সময় সাক্ষাত শেষে নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বাসার বাইরে এসে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জনগণ যেভাবে কাজ করছে তা অব্যাহত রাখতে বলেছেন খালেদা জিয়া। এরপর তিনি আরো অনেক কথা বলেছেন খালেদা জিয়ার সাথে তাদের সাক্ষাতের ব্যাপারে। তবে বিএনপি মহাসচিব একেবারে শেষে আসল তথ্যটি তুলে ধরেন। তা ছিল মহাসচিব জানান এখন থেকে দলের নেতাদের সাথে ঘন ঘন খালেদা জিয়ার সাথে বৈঠক করবেন। মির্জা ফখরুল জানান, আমরা আশা করি যে, আমরা খুব শিগগিরই তার সঙ্গে আরো ঘন ঘন সাক্ষাত হবে এবং সামনে বেরিয়ে আসবেন। বিশ্লেষকদের মতে, মির্জা ফখরুলের মুখে খালেদা জিয়া সামনে বেরিয়ে আসবেন এমন বক্তব্যটি রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ। 

মির্জা ফখরুল আসলে কি বোঝাতে চান..

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা এবার ঈদের আগে বিএনপি’র চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাক্ষাতের মাত্র কয়েকদিন আগে দলের মহাসচিবের সাথে কয়েকদিন আগে রাতে আচমকা বৈঠক হয়। বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের আমন্ত্রণে তার বাসায় গিয়েছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ গত ১৬ এপ্রিল দুপুর ১২টায়। ওইদিন বারিধারায় রাষ্ট্রদূতের বাসায় অন্তত ঘণ্টাখানেক অবস্থান করেন তারা। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে নেতারা কোনও মন্তব্য না করেই ঔদিন রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সে বৈঠকের ব্যাপারেও গণমাধ্যমকে অন্ধকারে রাখেন বিএনপি নেতারা। তবে বিভিন্ন সূত্রে খবর নিয়ে জানা গেছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই বাংলাদেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে শতভাগ গ্যারান্টার হতে চায় আমেরিকা- এমন মেসেজটি দলের চেয়ারপারসনকে দেয়া হয়। তবে এর পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপাসনের নি:শর্ত মুক্তি দিয়ে তাকে মাঠে রাজনৈতিক মাঠে নামানোর বিষয়টি নিয়েও কূটনৈতিক মহলে আলোচিত হচ্ছে বলে খালেদাকে অবহিত করা হয়। শোনা গেছে, ক্ষমতাসীন মহল থেকে বলা হয়েছে যে দেশে একটি সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আয়োজন হবে অথচ মাঠে প্রধান বিরোধী দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া থাকবেন শর্তসাপেক্ষে বন্দী-এটা মেনে নেয়া যায়। ক্ষমতাসীনদের কূটনৈতিক চ্যানেলে এমন বার্তাই দেয়া হয়েছে হয়েছে যে এধরনের বৈরি অবস্থা রেখে মাঠের প্রধান বিরোধী দলকে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে রাজি করানো যাবে না। আর এভাবে বিএনপিসহ তাদের নেতৃত্ব থাকা সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে না এলে তা দেশে বিদেশে কারো কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না । এর পাশাপাশি সরকার ও রাষ্ট্রের জন্য মঙ্গল হবে না। 

সরকারের অবস্থান কি?

এদিকে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপি’কে নির্বাচনে আনতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো যারা ভূমিকা রাখছে তাদের সাথে সুসর্ম্পক রেখেই কাজ করে যেতে আগের চেয়ে বেশি ইচ্ছুক তারা। ধারণা করা হচ্ছে কূটনৈতিক চ্যানেল থেকে আসা বিভিন্ন পরামর্শ বা দাবি ক্ষমতাসীনরা কৌশলে মেনেই নিচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম এবং দৃশ্যমান হতে পারে রাজনৈতিক মাঠে খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব দেয়ার বিষয়টি। এমন আভাসই দিয়েছেন খোদ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেই ফেলেছেন যে, আমরা আশা করি যে, আমরা খুব শিগগিরই তার সঙ্গে আরো ঘন ঘন সাক্ষাত হবে এবং সামনে বেরিয়ে আসবেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন এটা না হলে মির্জা ফখরুল এমনভাবে বলতেন না। তবে সরকারের অবস্থান কি হবে সেক্ষেত্রে, তা মোটামুটি একপ্রকার ফয়সালা হয়ে গেছেই বলে মনে করেন অনেকে। কেনোনা দেশে অবস্থানকারী বিএনপি’র চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন কি-না সেব্যাপারে বেশ কয়েকদিন আগে বির্তক উঠে। এই বির্তকেই খোদ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন যে, নির্বাহী আদেশে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দন্ডাদেশ স্থগিত করে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তার রাজনীতি করা নিয়ে কোনো শর্ত দেওয়া হয়নি। চিকিৎসা করার জন্য তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। আর তার এখনকার শারীরিক অবস্থা রাজনীতি করার মতো নয়। আপনাদের আমি আইনগত বাধা কোথায় সেটা আগেও বলেছি। উনি নির্বাচন করতে পারবেন না। কারণ, উনি দন্ডিত। রাজনীতি করতে পারবেন না, এ রকম কথা তো কোথাও নেই। অপরদিকে সরকারের আরেক প্রভাবশালি মন্ত্রী কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, নির্বাহী আদেশে দন্ড স্থগিত থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে বাধা নেই। 

শর্মিলা কী বার্তা আনলেন...

এবারের ঈদে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি ও তার দুই মেয়ে জাহিয়া ও জাফিয়াকে এবার ফিরোজায় ঈদ করেছেন। তাদের আসা কি কেবল ঈদ করা না লন্ডন থেকে কোনো বার্তা নিয়ে এনেছেন শর্মিলা রহমান সিঁথি? 

একটি সূত্র জানায়, চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শর্মিলা রহমানের বাংলাদেশে আগমনকে কোনোভাবে হালকাভাবে নেয়ার অবকাশ নেই বলেই অনেকে মনে করেন। ধারণা করা হচ্ছে, লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথিকে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বিচক্ষণ বলে মনে করেন। শর্মিলা রহমান সিঁথির ব্যাপারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ারও একই রকম আস্থা। দেশের আন্দোলন নিয়ে লন্ডন থেকে দল পরিচালনার ব্যাপারে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সাথে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কোনো ধরনের দূরত্ব যেনো তৈরি না হয় সেক্ষেত্রে বিচক্ষণ ভূমিকা রাখার ব্যাপারে শর্মিলা রহমান সিঁথির ওপর উভয়ই আস্থাশীল। আর এজন্য এবারে ঈদের দিন রাতে গুলশানের বাসায় খালেদা জিয়ার সাথে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সাক্ষাতে এমন একটি প্রসঙ্গ এলে তিনি (খালেদা জিয়া) কিছু বক্তব্য দেন। খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবদলকে নিয়ে বিএনপি যেভাবে কাজ করছে তা অব্যাহত রাখতে হবে। 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও এমনটাই বলেছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন দেশবাসীর উদ্দেশে কী বার্তা দিয়েছেন, এমন প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বার্তা হচ্ছে দেশবাসী যেন ভালো থাকে। গণতন্ত্রের জন্য তারা যেভাবে কাজ করছে সেই কাজ যেন অব্যাহত থাকে।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করলেন বিএনপির দুই নেতা

গত ২৩ এপ্রিল রোববার রাতে পৃথক পৃথকভাবে গুলশানের বাসভবনে দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করেছেন বিএনপির দুই প্রজন্মের দুই নেতা। একজন মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখা বীরউত্তম শাহজাহান ওমর। অপরজন মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের নেতা ও গেরিলা যোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন। যদিও তাদের সাক্ষাতের বিষয়ে বলা হয়েছে যে দুই নেতা ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে ও স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে দলের চেয়ারপারসনের কাছে গিয়েছিলেন। তবে এটিও ইঙ্গিতপূর্ণ এই অর্থে যে সামনে দলের আরো অনেকের জন্য খালেদার সাক্ষাত উন্মুক্ত হচ্ছে ।

অন্যদিকে বিএনপি নেতা মঈন খানের বাসায় বিদেশী কূটনৈতিক নৈশ্যভোজে যাওয়ার বিষয়টি এখন আলোচনায়।

শেষ কথা..

খালেদা জিয়া আবার রাজনীতিতে ফিরে আসবেন বা মাঠে বক্তৃতা করবেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিত জনতার কাতারে চলে আসবেন- বিষয়টা একেবারের হুবহু সরকার এভাবেই মেনে নেবেন বা নিচ্ছেন এমনটা নয় বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন। তবে এটাও ঠিক যে কয়েকমাস আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিএনপি’র শীর্ষ নেতাদেরই সাক্ষাতে অনেক কাঠ-ঘড় পোড়াতে হয়েছে। অথচ গত ১৬ এপ্রিল দুপুর ১২টায় বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের আমন্ত্রণে তার বাসায় গিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা বৈঠক করেই ওইদিন রাতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করেন। সরকারের অনুমতি ছাড়াও এটা যে কোনোভাবেই সম্ভব না তা সহজেই বোধগম্য। অন্যদিকে সরকারের পক্ষ থেকে এতো দ্রুত এসব ক্ষেত্রে অনুমতি পাওয়াটাও ইঙ্গিতপূর্ণ। কুটনৈতিক চাপে পড়ে সরকার এমনটা করছে কি-না তা-ও বিবেচ্য বিষয়। আর সে কারণেই দেশে একটি অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কুটনৈতিক চাপে পড়ে বিএনপি’র চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে প্রকাশ্যে রাজনীতি করতে দেয়া হলেও কারো কাছে তা বিচিত্র বলে মনে হবে না। নির্বাচনী পরিবেশ রক্ষার তাগিদে শেষমেষ সরকার আন্তর্জাতিক চাপে হয়ত এমনটা করছে কি-না সময় তা বলে দেবে। তবে আপাতত ধারণা করা যায় যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া হয়তবা সহসাই দাবি আদায়ে বিএনপি’র ভাষায় গণতন্ত্র রক্ষাসহ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি মাঠে নামছেন।

শেয়ার করুন