২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৫:৩৯:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে ফখরুল
দ্যাট ইজ ইমমেটারিয়াল...
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৫-২০২৩
দ্যাট ইজ ইমমেটারিয়াল... সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ক্ষমতাসীন সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, এরা নির্বাচনকালীন সরকার আওয়ামী লীগ কি গঠন করবে না করবে দ্যাট ইজ ইমমেটারিয়াল-সেটা আমাদের কাছে কোনো ব্যাপারই না। আমরা একটা নিরপেক্ষ সরকার চাই। সেই নিরপেক্ষ সরকার অবশ্যই নির্দলীয়ভাবে চাই, সেখানে কোনো দলীয় ব্যাক্তিদেরকে আমরা চাই না। ‘নির্বাচনকালীন সরকার’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর যে বক্তব্য দিয়েছেন তা প্রত্যাখান করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। নির্বাচনকালীন সরকার হলেও বিএনপির সুযোগ নেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এরকম বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে গত ১৬ মে মঙ্গলবার দলের যৌথসভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা যে যুদ্ধ করছি-সংগ্রাম করছি-লড়াই করছি, সেই লড়াইটা হচ্ছে একটা সত্যিকার অর্থেই প্রতিনিধিত্বমূলক একটি সংসদ তৈরি করার জন্য। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে এটা হবে না- আমরা বার বার করে সেটা বলেছি। আমরা বলছি যে, একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এরা নির্বাচনকালীন সরকার আওয়ামী লীগ কি গঠন করবে না করবে-দ্যাট ইজ ইমমেটারিয়াল-সেটা আমাদের কাছে কোনো ব্যাপারই না। আমরা একটা নিরপেক্ষ সরকার চাই। সেই নিরপেক্ষ সরকার অবশ্যই নির্দলীয়ভাবে চাই, সেখানে কোনো দলীয় ব্যাক্তিদেরকে আমরা চাই না।”

নির্বাচনকালীন যে সরকারের কথা প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তাতে সংসদে প্রতিনিধিশীল দলগুলোর সুযোগ আছে, বিএনপির প্রতিনিধি নেই, সুযোগও নেই- প্রধানমন্ত্রীর এরকম বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আপনাদের সংসদ থেকে পদত্যাগ করে বেরিয়ে আসাটা ভুল ছিলো কিনা প্রশ্ন করলে মির্জা ফখরুল বলেন, কখনই না। এটা (সংসদ থেকে পদত্যাগ করে বেরিয়ে আসা) অত্যন্ত সঠিক সিদ্ধান্ত। কারণ এই সংসদ জাতির আশা পুরণে ব্যর্থ হয়েছে তো বটেই, এই সংসদে তো জাতির প্রতিনিধিত্বিই ছিলো না। বিকজ দে আর নট ইলেক্টেড।

১৫ মে সোমবার গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা এইটুকু উদারতা দেখাতে পারি, পার্লামেন্টে সংসদ সদস্য যারা আছে, তাদের মধ্যে কেউ যদি ইচ্ছা পোষণ করে নির্বাচনকালীন সময়ে তারা সরকারে আসতে চায়, সেটা আমাদের মধ্যে আছে। এমনকি ২০১৪ সালে খালেদা জিয়াকেও আমরা আহ্বান করেছিলাম, তারা তো আসেনি। এখন তো তারা নাইও পার্লামেন্টে, কাজেই ওটা নিয়ে চিন্তারও কিছু নেই।’

নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দল ও অঙ্গসংগঠনের এই যৌথসভা হয়। এই সভার সিদ্ধান্ত জানাতে পরে সংবাদ সম্মেলনে আসেন বিএনপি মহাসচিব।

‘ছয় রাষ্ট্রদূতের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহার সরকারের দায়িত্বহীনতা’

মির্জা ফখরুল বলেন, ছয় রাষ্ট্রদূতের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত- এটা আমার কাছে দুইটা জিনিস মনে হয়। একটা হচ্ছে, একটা চরম দায়িত্বহীনতা। কারণ এগুলোর ফলে যে আন্তর্জাতিক একটা সমস্যার সৃষ্টি হবে সেই সমস্যাটা বাংলাদেশের জনগণকেই কিন্তু এটা ভোগ করতে হবে। ফলে এই সিদ্ধান্ত দায়িত্বহীনতা ছাড়া আমি কিছুই মনে করি না। দ্বিতীয়ত হচ্ছে যে আত্মভরিতা-অহংকার কোন জায়গায় গিয়ে পৌঁছাতে পারে যেটা আপনার সবচেয়ে বড় ক্ষতি করতে পারে। সত্যিকথা বলতে কি আমরা বুঝতেই পারছি না-একটা মাত্র কারণ যেটা হতে পারে সেটা হচ্ছে যে, আমার কাছে মনে হয় যেটা আরকি-যে সম্ভবত এবার বিদেশে গিয়ে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ঠিক সেই রকম উপযুক্ত প্রটোকল পাননি যে কারণে হয়ত এটা একটা প্রতিবাদ হিসেবে বা তার প্রতিশোধ হিসেবে আমরা দেখতে পারছি।

তিনি বলেন, এটা তো দীর্ঘকাল ধরে তারা (রাষ্ট্রদূতরা) এই প্রটোকল পেয়ে আসছেন। হঠাৎ করে সেই প্রটোকলকে বাতিল করে দেয়ার অর্থটাই হচ্ছে যে, সামথিং ইজ ভেরি রং উইথ দিজ কান্ট্রিজ। এটা আমাদের আন্তর্জাতিক সম্পর্কে ক্ষেত্রে নিসন্দেহে যাকেই জিজ্ঞাসা করবেন নিসন্দেহে একটা উত্তেজনা সৃষ্টি করবে, একটা সমস্যা সৃষ্টি করবে, একটা সংকট সৃষ্টি করবে এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এটা আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি। এটা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অবশ্যই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।”

‘বিএনপির উদ্বেগ’

সরকারের এই সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি এটাতে উদ্বিগ্ন। কূটনীতির বিষয়ে এটা আরো একঘরে করে তুলবে বাংলাদেশকে আমি মনে করি, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ সমস্যাটা শুধু সরকারের না, সমস্যাটা তো আমাদের বাংলাদেশের জনগণের। কারণ এটার যে আফটার এ্যাফেক্টস সেই আফটার এ্যাফেক্টস বাংলাদেশের মানুষকে ভোগ করতে হবে। আজকে ধরেন যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়ে পাল্টা কোনো ব্যবস্থা নেয় সেটা তো বাংলাদেশের মানুষের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে, যুক্তরাজ্য পাল্টা যদি ব্যবস্থা নেয় সেটা আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। সৌদি আরব যারা সবসময় বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে তারা যদি কোনো ব্যবস্থা নেয় সেটা আমাদের জন্য, এমনকি দেখলাম যে, ভারতও এরমধ্যে রয়েছে, তাদেরকে রাখা হয়েছে, জাপান আছে, অস্ট্রেলিয়া আছে-যারা আমাদের সবচাইতে বড় উন্নয়ন সহযোগী তাদের জন্য এটা করা হয়েছে- আমি মনে করি নিসন্দেহে এটা বড় রকমের পরিবর্তন ঘটবে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সেটা কখনো কোনো শুভ ফল বয়ে আনবে না।

শেয়ার করুন