২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ১১:০২:২৯ পূর্বাহ্ন


সিটি নির্বাচনে অংশ না নিয়েও বিএনপি’র বাজিমাত
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০৬-২০২৩
সিটি নির্বাচনে অংশ না নিয়েও বিএনপি’র বাজিমাত


বরিশাল ও খুলনায় গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে সরকার। এ নির্বাচনে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগের পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল করীমের ওপর হামলার ঘটনায় পুরো পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে টার্ন নিয়েছে। বলা চলে রাজনীতিতে এটা একটা ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি করেছে। আর এমন পরিস্থিতিকে মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি মহাখুশী তারা বেশ স্বচ্ছন্দ বোধ করছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করেও দলটি রাজনীতিতে বাজিমাত করেছে বলে তাদের নেতাকর্মীরা মনে করছেন। কেননা শেষ মেষ বিএনপি’র পথেই আসতে হলো ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে। তাদেরকেও বলতে হচ্ছে এসরকারের অধীনে আর নির্বাচন না। অন্যদিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অঙ্গনে এধরনের ঘটনায় সরকারের বিরুদ্ধে বড়ো ধরনের আঘাত। কেননা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন ধরনের চাপ পদক্ষেপে সরকার এমনিতেই কাহিল। 

বরিশাল ও খুলনায় কি কি ঘটেছে

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে ভোটের বড় ব্যবধান গড়ে খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার দুই প্রার্থী। খুলনায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন তালুকদার আব্দুল খালেক। অপরদিকে বরিশালে মেয়র হয়েছেন আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত। একদিকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তারা, অন্যদিকে বরিশাল সিটির নির্বাচনে দলের মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলার প্রেক্ষাপটে ইসলামী আন্দোলন সিলেট ও রাজশাহীর নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। বিপরীত দিকে বিএনপিবিহীন দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সহজ জয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উৎসব-উল্লাসে মেতে ওঠেন। তারা ফুল দিয়ে বরণ করেন নবনির্বাচিত দুই মেয়রকে।

আবারো সমালোচিত হলো ইসি

বিএনপিবিহীন দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সহজ জয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উৎসব-উল্লাসে মেতে উঠলেও মারাত্মক সমালোচনার মুখে পড়েছেন খোদ নির্বাচন কমিশন। বিশেষ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের একটি বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোচনা জন্ম দেয়। কেননা বরিশাল সিটি নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের (হাতপাখা) মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীমের ওপর হামলা ও রক্তাক্ত হওয়ার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, রক্তাক্তের ব্যাপারটি আপেক্ষিক। উনি কি ইন্তেকাল করেছেন? আমরা উনার রক্তক্ষরণ দেখিনি। আমরা শুনেছি হাতপাখার প্রার্থীকে পেছন থেকে একজন ঘুষি মেরেছে। তার এমন বক্তব্য যেমন তোলপাড় হয়েছে তেমনি নির্বাচনের পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়েও নানান ধরনের অভিযোগ দেশে-বিদেশে আকাশ বাতাশ ভারী করে তুলেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে,  হামলা, মারধর, কেন্দ্রে ভোটার যেতে বাধা আর ধীরগতির ভোট গ্রহণেরই অভিযোগ ছিল বরিশালের সিটি নির্বাচনে অংশ নেয়া ৩ প্রার্থীর। এমন অভিযোগও উঠেছে ভোটার উপস্থিতি কমানোর চেষ্টা। আর অভিযোগের তীর ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে। সবচেয়ে বড়ো ঘটনা হলো বরিশালে সকাল ও দুপুরে দুই দফা হামলার শিকার হয়েছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি ফয়জুল করীম। অভিযোগ করেন, লাঙ্গলের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপসও। ভোটকেন্দ্রে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ এনেছেন ইকবাল হোসেন তাপস। এমনকি স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রূপনও অভিযোগ করেছেন যে তাকে এবং তার এজেন্টদের হয়রানি, কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া ও ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। আবার অভিযোগ ছিল ভোটকেন্দ্রে শান্ত পরিবেশ দেখানো হলেও  কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো হয়। বলা হয়, মুখ দেখে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে দেয় নৌকার কর্মীরা। বলা হয় যে সরকারের ক্ষমতার অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির কর্মী-সমর্থকরা প্রতিবাদ করলে উলটো তাদের ওপর চড়াও হয়েছে পুলিশ। এছাড়া প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে অভিযোগ যে তারা প্রকাশ্যে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর প্রতি পক্ষপাতিত্ব করেছে। ফলে বরিশাল ও খুলনায় গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসির আশ্বাস ভেস্তে গেছে বলেই মনে করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রতি দেয়া সাংবিধানিক নির্দেশ একপ্রকার কাজে লাগেনি বলেই তারা  মনে করেন। 

আগে সমালোচিত এখন আলোচিত-প্রশংসিত

এ ধরনের নির্বাচনী পরিস্থিতির পরে কার্যত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি ফয়জুল করীম থমকে যান। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী এই প্রতিবেদককে জানান যে, এমন ঘটনায় বলা চলে হতভম্ব হয়ে পড়েন তিনি। তার বেলায় এমনটা ঘটবে ঘুণাক্ষরে ভাবেনি এই পীর সাহেব। আর এজন্য কালবিলম্ব না করেই প্রতিবাদে ফেটে পড়ে তার দলের সমর্থকরা। এর পাশাপাশি এই পীরের সর্বস্তরের মুরিদরা। এমন পরিস্থিতি সামলাতে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের (হাতপাখা) প্রতীকের মেয়র প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের গায়ে যে হাত তুলেছে, তাকে শাস্তি পেতেই হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এর প্রতিবাদে বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে  ১২ জুন সোমবার বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বিএনপি’র পথেই এলো ইসলামী আন্দোলনের

কিন্তু নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) এর নির্দেশ বাস্তবায়নের আগেই যা হবার তা-ই ঘটে গেছে। তা হলো এই ধরনের ঘটনা সরকারের ইমেজের ওপর প্রচণ্ড ধাক্কা দেয়। প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে এই ইসির অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারটি। আগামী ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে দেয় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। অন্যদিকে বর্তমান সরকারকে ‘জালিম’ আখ্যা দিয়ে এই সরকারের পতন না ঘটিয়ে ঘরে ফিরবেন না বলে ঘোষণা দিয়ে দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করীম। সিটি ভোটের দিন দুপুরে হামলার শিকার হওয়ার পর সাংবাদিকদের দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি। তার  এমন ঘোষণায় বিভিন্নভাবে তাকে প্রশংসিত করা হয়। যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ মন্তব্য করে পীর সাহেব এবার ঠিক পথে এসেছেন। বুঝেছেন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে কি হয়? উল্লেখ্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিটি নির্বাচনে অংশ নেয়ার কারণে দলটিকে ও তার শীর্ষ নেতাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক সমালোচনা শুনতে হয়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতারা তখন বলেছিলেন তারা সরকারের পরীরক্ষা নিতেই এই সিটি নির্বাচন অংশ নিয়েছেন। 

পাশে দাঁড়ালো বিএনপি

সিটি নির্বাচনে এমন পরিস্থিতি বিশেষ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের (হাতপাখা) প্রতীকের মেয়র প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের গায়ে যে হাত তোলার ঘটনায় বিএনপি’র মহাসচিব দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানান। ফয়জুল করীমের ওপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ফয়জুল করীমের ওপর হামলার ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো নিশিরাতের বর্তমান অবৈধ সরকারের অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন কখনোই সম্ভব নয়। এদের আমলে দেশে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। প্রকাশ্য দিবালোকে প্রশাসনের নাকের ডগায় একজন ধর্মীয় নেতা ও মেয়র প্রার্থীর ওপর সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনা কাপুরুষোচিত ও ন্যাক্কারজনক। এছাড়া হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা অ্যাডভোকেট হাসনান কাইয়ুম, গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া, সদস্য সচিব নুরুল হক নূর ও লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। 

শেষ কথা..

বরিশাল ও খুলনায় গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে দেশের গণমাধ্যমগুলিতে যখন বিভিন্ন নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ হচ্ছিল ঠিক তখনই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার উদ্বেগের খবরও চলে আসে। একটি ছিল খালেদা জিয়ার মুক্তি দিতে ইউরোপীয় পালামেন্টের চিঠি। এতে দেখা যায় ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয় সদস্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেলকে বাংলাদেশের বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তারা জোসেপ বোরেলকে বলেছেন, বাংলাদেশে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সাধারণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে অবদান রাখতে অনুরোধ করছি এবং মানবাধিকার লংঘনের অবসান ঘটাতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ (বিএনপি) অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ত করে চলমান সংকটের টেকসই ও গণতান্ত্রিক সমাধান খুঁজে বের করতে আহ্বান জানাচ্ছি। আরেকটি খবর ছিল হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)’র। এরা বলেছে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনের জন্য জাতিসংঘের উদ্বেগ প্রকাশ করা উচিত। জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জিন পিয়েরে ল্যাক্রোইক্সের আসন্ন বাংলাদেশ সফরে এ উদ্বেগ জানাতে আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটি। বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের যাচাই-বাছাই বাড়াতেও জাতিসংঘের কাছে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। জানা গেছে, জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা-বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জিন পিয়েরের আগামী ২৫ জুন বাংলাদেশ সফরে আসার কথা রয়েছে। তার সফরের প্রাক্কালে এ বিবৃতি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। গত ১২ জুন সোমবার বিবৃতিতে এইচআরডব্লিউ বলেছে, জাতিসংঘের শান্তি-রক্ষাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারির সফর এমন সময়ে হতে যাচ্ছে, যখন বিরোধী রাজনীতিক, প্রতিবাদকারী ও গুমের শিকার মানুষদের পরিবার এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ওপর বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী, বিশেষ করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) দীর্ঘ দিন ধরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন, দেশে রাজনৈতিক অঙ্গনে সরকারের বিরুদ্ধে যখন ভোট নিয়ে নানান ধরনের বক্তব্য বিবৃতি আসছে, সেই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এধরনের খবর সরকারের জন্য বিরাট আঘাত বা ধাক্কা। তবে সার্বিক পরিস্থিতি যে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি’র অনুকূলেই যাচ্ছে, এর পাশাপাশি ভোটে না অংশ নিয়েও যে দলটি রাজনৈতিক অঙ্গনে বাজিমাত করেছে তা আর বলা অপেক্ষা রাখে না বলেই পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন। আর এসময়ে এদের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রার্থীরা কি ধরনের নাজেহাল বা বিরূপ পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন সে ব্যাপারটি ফুটে উঠায় সরকার অনেক বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে বলে কেউ কেউ মনে করেন। এতে করে তারা মনে করেন সার্বিক পরিস্থিতিতে সরকারে বিরুদ্ধে বাইরের থেকে আরো চাপ বাড়বে।

শেয়ার করুন