২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০২:৫২:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


দু’পক্ষের মুলত তিন এজেন্ডা
বিএনপির পর নির্বাচনী মাঠে আওয়ামী লীগ
মাসউদুর রহমান
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৫-২০২২
বিএনপির পর নির্বাচনী মাঠে আওয়ামী লীগ


 দীর্ঘদিন পর রাজনীতির মাঠে অন্য এক উত্তেজনা। ঠিক যেন গণতন্ত্রের একটা হাওয়া ভেতরে ভেতরে বইতে শুরু করেছে। ২০০৭-এর ওয়ান ইলেভেন পর থেকেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুমোট এক পরিবেশ, যা তৈরি করে গেছেন মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দীনরা। তা দীর্ঘদিন ধরেই চললো। মানুষ ভয়েও কিছু বলেনা। মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দীনরা যে ক্ষমতা ব্যবহার এবং একই ধারাতেই ক্ষমতা হস্তান্তর। সেখানে ছিলনা গণতন্ত্র বা সাধারণ মানুষের ইচ্ছার কোনো প্রতিফলন, ছিল বারুদের গন্ধ। সে গন্ধটা মানুষের ভালো লাগেনি। অগত্যা মেনে নিয়ে চুপ সাধারণ মানুষ। ২০১৪, ২০১৮-এর নির্বাচনও একই ধারায়। বিরোধীদলের কার্যক্রম বলতে কিছু নেই। ছিল না তাদের ইচ্ছার স্বাধীনতা। গণতন্ত্রের ভাষা শুধুই মুখে। বাস্তবে একধরনের চাপিয়ে দেয়া। ক্ষমতার দাপটের নিচে পিষ্ট গণতন্ত্র। 

অথচ ১৩ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সারাজীবন যুদ্ধ করেছে মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার রক্ষার। হঠাৎ গণতন্ত্রের সাথে থাকা দলটি কেন এমন হয়ে গেছে, সেটা আজো মানুষ হিসাব কষছে। তাতে যেটা মিলছে সেই পুরোনো কথা। মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দীনের দেয়া ক্ষমতা। যেভাবেই হোক ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া গণতন্ত্রের মাধ্যমেও হলেও সেখানে ছিল অনেক ফাঁকফোকর। মানুষ বুঝেও যেন বোঝেনি। এখন সব ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে, মুখ খুলছে। ক্লিয়ার হচ্ছে। বাতাসে ভাসছে অনেক কথা। 

ক্ষমতার মোহ ত্যাগ ভীষণ কষ্টের। সবাই চায় মানুষের রায় নিয়ে ওই লোভনীয় মসনদে বসতে। কখনো ক্ষমতার মোহে ভুলে যায় সেই সাধারণ মানুষের কথা। কিন্তু বাস্তবে যখন অন্য কোনো পথ থাকেনা, তখনই আবার সাধারণ মানুষের দ্বারস্থ হন তারা। যুগ যুগ ধরেই এ প্র্যাকটিস। ওই ধারাবাহিকতায়  ইদানীংকালে রাজনীতিবিদরা আবার ফিরছে সেই মানুষের দ্বারে। 

মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় শুধু দেশেই যে বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহ যুদ্ধ করছে তা নয়। এটা নিশ্চিত করণে দেশের বাইরে ক্ষমতাসীন দেশসমূহেরও প্রচণ্ড চাপ আর ওই চাপের কাছেই এখন নত বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা। সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত না হলে রেহাই নেই। এটা বুঝেছে যেমন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ,সাথে অন্যরাও। হয়তো বিদেশিদের ইচ্ছার প্রতিফলনটা যাবে কারো না কারো পক্ষে। 

তবে সেখানে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে, এটাই এখন পর্যন্ত গণতন্ত্রের টানেলের শেষপ্রান্তে সামান্য আলো উঁকি দিচ্ছে। কে ক্ষমতায় থাকবে, সেটা ফ্যাক্টর না। তাতে কিছু যায় আসে না। মানুষের অধিকার ফিরুক। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাক। ভোটের অধিকার নিশ্চিত হোক। এটাই আঠারো কোটি মানুষের প্রাণের প্রত্যাশা। 

দীর্ঘদিন থেকেই রাজনীতির মাঠে গুমোট পরিবেশের পর, গত ঈদুল ফিতরের পর অর্থাৎ চলমান এ সময়টাতে ‘কিছু একটা হবে’ এমন আভাস ছিল। বাস্তবেও সেটা হলো। ওই যে সূচনাতেই বলা হলো, ভেতরে ভেতরে গণতন্ত্রের হাওয়া বা সাধারণ মানুষের কাছে অধিকার ফিরে যাওয়া, সেদিকেই যাচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। 

তবে এ প্রক্রিয়ার বাতাস মাত্র বইতে শুরু করেছে। বাস্তবতা অনেক দূরে। নানা জটিলতা, ষড়যন্ত্র,প্রতিকূলতাও থাকবে মনে হচ্ছে। রাজনীতিবিদরা বলছেন। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বলেছেন আওয়ামী লীগের সভায়, ‘তারা সরকার উৎখাত করতে চায়। কিন্তু আমাদের অপরাধ কী? আমাদের ব্যর্থতা কী? এখানে স্পষ্ট হচ্ছে যে তার কাছে ইনফরমেশন রয়েছে একটা মহল সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে। প্রধানমন্ত্রী তো আর এমনিতেই কিছু বলেন না। তথ্যবহুল তার কথা। 

আরেকস্থানে মন্ত্রীরা বলেছেন, দেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।  প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সাদা চামড়া দেখলেই নালিশ জানানোর অভ্যাস কিছু মানুষের। জনগণের সাপোর্ট নেই, বসে থাকে বিদেশিদের সিগন্যালের অপেক্ষায়। তারা এসে ক্ষমতায় যেন বসিয়ে দিয়ে যাবেন। এমন অনেক কথাই ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে অহরহ শোনা যায়। এটাও ঠিক, এবার নির্বাচন ঘীরে চলছে নানা সমীকরণ। র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিভিন্ন তদবির প্রক্রিয়ার পর, ভারতকে সহযোগিতা করার প্রস্তাবনা এ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। এমন অনেক কিছুই সরকার ও বিরোধীদলের অনেকের বিরুদ্ধে। র‌্যাব ও তার সাত কর্মকর্তার ওপর মার্কিন স্যাঙ্কশনও বিরোধীদল,বিরোধীমত,এনজিও,মানবাধিকারকর্মীদের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার ফসল বলেও অভিযোগ সরকার পক্ষের। 

ইতিমধ্যে ১৩ বছরে ক্ষমতার বাইরে থেকে সরকারদলীয় লোকজনের নির্যাতনে ক্ষত-বিক্ষত যারা (বিএনপি) তাদের তো গণতন্ত্রের ভাষা ব্যবহার ভিন্ন উপায় নেই। তবে তারা এবার আর কোনোরকম গোপন সমঝোতায় যাবে না, এটাই এ মুহূর্তে নিশ্চিত করছে কথাবার্তা দিয়ে। যেমনটা মির্জা ফখরুল বিভিন্ন সময়ে বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে দুটি ভোট হয়েছে ২০১৪ ও ২০১৮। তারা কী পারে, সেটা দেখিয়ে দিয়েছে। একটিতে প্রতিপক্ষকে বারুদ ও লাঠির ভয় ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে নির্বাচন সেরে ফেলেছিল। অন্যটি দিনের ভোট রাতে সম্পাদন। 

বিরোধীদলের এমন অভিযোগ তুলে এ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ভিন্ন অংশ নেবেনা সাফ জানিয়ে দিয়েছে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংসদের দীর্ঘ মিটিংয়ের পরও বিরোধী মতের প্রকাশের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো রকম বাধা দেয়া হবে নাসহ যে সকল সহযোগিতামূলক বাক্য উচ্চারণ করেছেন, সেটাকে একটা নতুন ‘ফাঁদ’ বলে মনে করছে বিএনপি। তারা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, ‘আওয়ামী লীগ এ পর্যন্ত যা বলেছে, করে ঠিক তার উল্টো।’ এককথায় সরকার দলের ওপর কোনো বিশ্বাস আশ্বাসে আর আস্থা নেই। 

এবার নির্বাচন ঘিরে বিদেশিদের যেমনটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান প্রমুখ দেশের কঠিন শর্ত সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন। বিএনপিকেও নির্বাচনে অংশ নেয়ার পরিবেশ দিতে হবে, নির্বাচনে এনে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব বা চাপটা ক্ষমতাসীনদের ওপর। এ চাপটাই এখন গলার ফাঁস ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। এর নেপথ্যে কাজ করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নিজের নির্বাচনি অঙ্গীকার অনুসারেই বিশ্বের অন্যান্য গণতন্ত্রবিহীন দেশসহ বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা তার প্লানের অংশ। এতে সাপোর্ট দিচ্ছে উপরোল্লিখিত দেশ। 

এ ধারাবাহিকতায় মানবাধিকার প্রশ্নে র‌্যাব ও তার সাত কর্মকর্তার ওপর স্যাঙ্কশন, যা এ মুহূর্তে বাংলাদেশে- প্রচণ্ডরূপে প্রভাব বিস্তার করছে। এককথায় বলেও দেয়া যায় ওই এক স্যাঙ্কশনেই বাংলাদেশে একটি স্বচ্ছ নির্বাচনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। কারণ বাইডেনের গণতন্ত্রের পথে না গেলে মুহূর্তে আরো স্যাঙ্কশন যে এসে পড়বে না বাংলাদেশের আরো কারো কারো ওপর তার আভাস তো বাতাসে বাতাসে উড়ছে! 

সবে সমাপ্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংসদের যে সভা অনুষ্ঠিত হলো দীর্ঘসময় ধরে। মূলত সেখানে বিভিন্ন আলোচনাতেই এগুলো স্পষ্ট। বিভিন্নস্থানে পাওয়া তথ্য মোতাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেই দিয়েছেন, অতীতের মত নির্বাচন তো আর নয়ই, সাথে বিএনপিসহ অন্যদলও থাকবে নির্বাচনের মাঠে। ফলে তৃণমূলে জনপ্রিয়তা অর্জন করে মানুষের ভালবাসা নিয়ে ভোটে জয় করে আসতে হবে প্রার্থীদের। এটাই তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন সবাইকে। যেতে বলেছেন তৃণমূলে, মানুষের কাছে। সেটা এখন থেকেই। ওটাই হলো ওই সভার মূল ম্যাসেজ।  

তবে এরপরও আওয়ামী লীগের দুটি এজেন্ডা বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করবেন বলেও ওই বৈঠকের আলোচনাতে স্পষ্ট হয়েছে। একটি সব ধরনের ছাড় দিয়ে হলেও বিএনপিকে নির্বাচনে আনা। কিন্তু বিএনপির দাবি মোতাবেক পদত্যাগ না করে ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের এজেন্ডা। ক্ষমতায় থেকেই নির্বাচন অনুষ্ঠান করার প্ল্যান এবং এটাই বাস্তবায়নে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করবেন তারা। দ্বিতীয়টি ইভিএমে ভোট। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেই দিয়েছেন, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, ছবি যুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স- এগুলো তার আন্দোলনের ফসল ও তিনি এগুলো বাস্তবায়ন করেছেন। আরেকটি তিনি বাস্তবায়ন করবেন সেটা ইভিএম বা ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে এটাও তার প্ল্যানের অংশবিশেষ।

যদিও ভোটের এ সিস্টেম নিয়ে গোটা বিশ্বে যতই বিতর্ক থাকুক না কেন, বাংলাদেশে দ্বাদশ নির্বাচনটা ওভাবেই সারতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করবে ক্ষমতাসীনরা। এটা তাদের দুই এজেন্ডার অন্যটি। 

কিন্তু বিএনপি দুটিই বিষয়ই সরাসরি প্রত্যাখান করেছে। মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠেনা। ইভিএম তো পরের কথা।’ এর আগে ইভিএমের কঠোর সমালোচনাও করেছে বিএনপি। একই ধারায় বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ড.জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘ইভিএম তো ভানুমতির খেল। যেখানেই চাপ দেবেন ভোট পড়বে প্রোগ্রাম যেখানে সেট করা থাকবে সেখানে। মানেই নৌকা হলে নৌকা। অন্যকোথাও হলে সেখানে। এটাতে সাধারণ মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে না। ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে ইভিএম নিয়ন্ত্রকের। এবং সে নিয়ন্ত্রণটা যার হাতে থাকবে তার।

ঈদে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা দেখা ও বৈঠক করার সুযোগ পেয়েছিলেন গুলশানের ফিরোজায়। সেটাও অনেকটাই সন্তোষজনক আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠক ছিল প্রাণবন্ত। হাসিমুখে বেড়িয়েছেন নেতারা, সেখান থেকে। কিন্তু বিস্তারিত কী সেটা জানা সম্ভবপর হয়নি। শুধু বলছেন, দীর্ঘদিন পর ম্যাডামের সাথে দেখা ও কথা বলা এটাই ছিল বড় প্রাপ্তি। উনি অনেক কিছু বলেছেন, যার মূলে ছিল, সকলে যেন ঐক্যবদ্ধ থেকে এগিয়ে যায়। মানে দলের শৃঙ্খলা ও ঐক্যটা ধরে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। 

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংসদও যে বৈঠক করে সেটা দীর্ঘদিন পর। এখানেও মূলত প্রায় দেড় বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আগামী নির্বাচনটা কঠিন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে ধরে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনেরই আভাস এ পর্যন্ত মিললো, ঈদের পরপরের দুই পক্ষের কার্যক্রমে। 

তবে ভেতরে ভেতরে চলবে অনেক দেনদরবার এটাও স্বাভাবিক। কোনোভাবেই ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতা ছাড়তে চাইবেন না। ক্ষমতায় থেকে কীভাবেই সম্ভব সকল ছাড় দিয়ে হলেও টিকে যাওয়া যায়, সে চেষ্টা করা অস্বাভাবিক কিছু না। এতে যে ধরনের লবিং প্রয়োজন সেটা করতে পিছপা হবে না। তবে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা।  বিএনপি ও তার সমমানের দলের জন্য অফার,টফার আসবে হয়তো আসছেও। প্রধানমন্ত্রী বলেও ফেলেছেন-বিএনপির আন্দোলন মানে দরকষাকষি। কিন্তু পেছনের কথা মনে করলে সেটাতে দলের নেতারা যে গলে যাবেন সেটাও না। কারণ ২০১৪ সনেও এমন এক আশ্বাসের ঘটনা ছিল। ২০১৮ সনেও ছিল ভাগাভাগি বা সমঝোতার কিছু আলামত। যা পরবর্তিতে নেতারাই জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগ কোনো আশ্বাসই পূরণ করেনি। তাই আস্থা নেই তাদের ওপর।

ফলে সামনে একটা কঠিন পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে বলেই মনে হচ্ছে। সেটা মাঠের আন্দোলন। বিএনপি হয়তো এক্ষুনি মাঠে নেমে শক্তির অপচয়টা করতে চায় না। সময়মত কঠোরতর হবেন তারা। সরকারও নিজেদের ঘর গোছানো ও নির্বাচনের প্রস্তুতিটা শুরু করে দিয়েছেন। সামনে তাদের জাতীয় সম্মেলন। সেটা ঘিরেও অনেক প্ল্যান বাতলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বা দলের সভাপতি। 

দিনশেষে যে পরিস্থিতি হোক, একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হলেও নির্বাচন তো হবে। ফলে নির্বাচন করতে কিভাবে ঘর গোছাতে হবে, ভোটারদের মন জয় করতে হবে, সে সমীকরণের দিকনির্দেশনা দেয়া হয়ে গেছে। তার আগে ভালো কোনো পরিস্থিতির অবতারণা ঘটাতে পারলে তো ভালোই। না হয় মাঠ যাতে বেদখল হয়ে যায় সেটাতে তো তীক্ষè দৃষ্টি দিতে হবে, এটাই তো স্বাভাবিক।


শেয়ার করুন