৩০ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ০৩:০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬


সভাপতি থেকে সরিয়ে দেয়া হলো শ্রাবনকে
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৮-২০২৩
সভাপতি থেকে সরিয়ে দেয়া হলো শ্রাবনকে কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন ও রাশেদ ইকবাল খান


সভাপতির পদ থেকে কার্যত সরিয়ে দেয়া হয়েছে ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবনকে। দায়িত্বে অবহেলার জন্য তার বিরুদ্ধে ওই শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। যদিও আপাতত এটা এভাবে প্রকাশ করেনি বিএনপি। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) রাতে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন অসুস্থতার জন্য তার স্থানে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে রাশেদ ইকবাল খানকে। রাশেদ ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি। বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, পরবর্তি নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।  

তবে দলের অন্য এক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশদ্বারে বিএনপির যে অবস্থান কর্মসূচি ছিল, সেটাতে রওনকের যে দায়িত্ব ছিল সেটা পূরনে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তার মুভমেন্টে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সন্তুষ্ট নয়। সে অভিযোগেই তাকে ওই পদ থেকে আপাতত সরিয়ে দেয়া হয়েছে।

সূত্রে আরো জানা গেছে, যে অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে শ্রাবনকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে, আসলে তিনি অসুস্থ নন। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশকালেও তিনি বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে সেটা তিনি নিজে ঘুণাক্ষরেও জানতেন না। এ সিদ্ধান্তের ফলে আপাতত তিনি আর সভাপতি পদে নেই।  

তবে গত ২৯ জুলাইয়ে বিএনপির ওই কর্মসূচি আপাতত দৃষ্টিতে সফল দেখালেও বিএনপি যেভাবে প্রত্যাশা করেছিল সেভাবে হয়নি। এ নিয়ে চলছে আত্মসমালোচনা। এ জন্য দলের শীর্ষ নেতৃত্ব অসন্তুষ্ট অনেকের উপরই। কেননা ২৯ জুলাইয়ের অবস্থান কর্মসূচি ছিল নিছক একটা ‘টেস্ট কেস’। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির পর পুলিশের আচরণ, প্রশাসনের মনোভাব, সর্বপরি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দৃষ্টিভঙ্গি পরখ করাই ছিল মূল লক্ষ্য। পরিস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় যুবলীগ তাদের শান্তি কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয় আগের রাতে। 

ওই দিনের ঘটনায় পুলিশের আচরণে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন থেকে শুরু করে অনেকেই বিবৃতি দিয়েছে। বিএনপি সবকিছুতেই মূল্যায়ণ করছে পরবর্তি এক দফা আন্দোলনের ক্ষেত্রে। এটা নিয়ে দলের অভ্যন্তরে নতুন করে লক্ষ্যস্থির ও আন্দোলন কার্যকর করার বিভিন্ন পন্থা নিয়ে আলোচনাও হচ্ছে বলে জানা গেছে। 

ইতিমধ্যে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বলেছেন, এক দফা আন্দোলনে নতুন কর্মসূচি নিয়ে সহসাই মাঠে নামবে বিএনপি।

শেয়ার করুন