০১ মে ২০১২, বুধবার, ০২:২৬:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে এবার বন্দুকধারীর গুলিতে তিন আইনশৃংলাবাহিনীর সদস্য নিহত ‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ


জাসাসের অনুষ্ঠানে এম এ মালেক
কোবরা সাপকে বিশ্বাস করা যায় হাসিনাকে বিশ্বাস করা যায় না
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৯-২০২৩
কোবরা সাপকে বিশ্বাস করা যায় হাসিনাকে বিশ্বাস করা যায় না এম এ মালেককে ফুলেল শুভেচ্ছা


কোবরা সাপকে বিশ্বাস করা যায়, কিন্তু শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করা যায় না। আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান আমাকে চায়ের নিমন্ত্রণ করেন। তিনি যখন আমাকে এই প্রস্তাব দেন তখন আমি ওনাকে বলেছি, আমার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ, তাকে বিদেশে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেন, তাহলে আমি আপনার নেত্রী চায়ের আমন্ত্রণ গ্রহণ করবো। যুক্তরাষ্ট্র জাসাস আয়োজিত এক সংবর্ধনা সভায় যুক্তরাজ্য বিএনপির আহ্বায়ক এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এম এ মালেক এ সব কথা বলেন।

গত ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে এই সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার সায়েম রহমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর সরওয়ার্দীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম এ মালেক। প্রধান বক্তা ছিলেন জাসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক চিত্র নায়ক হেলাল খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য আব্দুল লতিফ সম্রাট, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য এবং মূলধারার রাজনীতিবিদ গিয়াস আহমেদ। অন্যদের মধ্যে অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন মিশিগান বিএনপির আহ্বায়ক দেওয়ান আকমল চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি নিয়াজ আহমেদ জুয়েল, যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি আলহাজ বাবর উদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম, কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম এ মালেক বলেন, বিক্ষোভ সমাবেশে আপনাদের আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য শোনানোর ইচ্ছা ছিল কিন্তু পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। তবে তারেক রহমান আপনাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমি এ দল করি। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সঙ্গে স্কাউট এবং তরুণ সংঘ করার কারণে তার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে না পারলে বাংলাদেশে আর কোনোদিন গণতন্ত্র ফিরে আসবে না। এজন্য আমাদের ইমানের সঙ্গে আন্দোলন করতে হবে। তবে সাবধান দলের মধ্যে ঘাপটি মারা দালাল রয়েছে। এরা দিনে বিএনপি করে এবং রাতে আওয়ামী লীগ করে। তিনি বলেন, এই ষড়যন্ত্র ১/১১ থেকে শুরু হয়েছে। আমাদের দলেও সংস্কারবাদী ছিল, এর মধ্যে কেউ কেউ বেরিয়ে গেছেন। এই খেলায় ভারত ছিল বিপজ্জনক খেলোয়াড়। তাদের নেতৃত্বে এবং শেখ হাসিনার সহযোগিতায় বিডিআর ম্যাচাকার করা হয়। যা শাকিলের ছেলে লন্ডনে বলেছিলেন। তিনি আরো বলেন, কোবরা সাপকে বিশ্বাস করা যায়, কিন্তু শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করা যায় না। আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান আমাকে চায়ের নিমন্ত্রণ করেন। তিনি যখন আমাকে এই প্রস্তাব দেন, তখন আমি ওনাকে বলেছি, আমার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ, তাকে বিদেশে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেন, তাহলে আমি আপনার নেত্রীর চায়ের আমন্ত্রণ গ্রহণ করবো।

অনুষ্ঠানে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সায়েম রহমান অনুষ্ঠানকে সফল এবং সার্থক করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

শেয়ার করুন