২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৬:৪৭:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


বিএনপি কী আসলেই ভাঙছে নাকি গুজব
মাসউদুর রহমান
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৯-২০২২
বিএনপি কী আসলেই ভাঙছে নাকি গুজব


হঠাৎ করেই বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে উড়ছে নতুন খবর। রীতিমতো চমক জাগানো সেটা। নতুন নেতৃত্বে আসছে আরেক বিএনপি। শোনা যাচ্ছে যেখানে জড়ো হচ্ছে দলটির সাবেক বর্তমান অনেক নেতা। এ নিয়ে বেশ দেনদরবারও চলছে। যার অর্থ বর্তমান বিএনপি ভেঙে যাচ্ছে। টুকরা টুকরা হচ্ছে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের গড়া দলটি। এটা কী আসলে গুজব না সত্যিই। এটা নিয়ে এখন বিভিন্ন মহলে আলোচনা।   

আসলেই কী? 

বিএনপি বর্তমান দলীয় সরকারের অধীনে কোনোভাবেই নির্বাচনে অংশ নেবে না এটা ডিক্লেয়ার করে দিয়েছে। ফলে বর্তমান ইসির অধীনে সেটা তো প্রশ্নই আসে না। পক্ষান্তরে সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের চাপ সরকারের ওপর। কারণ ২০১৪ ও ২০১৮ সনে যে নির্বাচন বাংলাদেশে হয়েছে, সেটা মোটেও গ্রহণযোগ্য মনে করেন না দেশ বিদেশের অনেকেই। মার্কিনযুক্ত নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী বা দাতাদেশসমূহ এক বাক্যে বলে আসছেন- জনগণের প্রতিনিধি জনগণের ভোটেই নির্বাচিত হবে। যেখানে থাকবে সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এটা হতেই হবে। কিন্তু উন্নয়নসহযোগীদের ওই বক্তব্য সরকারের কিছুটা গা-জ্বালা ধরলেও কিছুই যখন করার নেই, তখন একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে চেষ্টা সরকারের, সেটা বহুদিন থেকেই। কিন্তু বিএনপি ও তার সমমনারা যে গো ধরে বসে আছে!

ক’দিন আগেও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘টালবাহানা না করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন’। ‘এদিক সেদিক নজর না দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত হন।’ ‘জনপ্রিয়তা যাচাইয়ে নির্বাচনে আসুন’। সরকারের দায়িত্বশীল কেউ কেউ বলছে, বিএনপি ঠিকই নির্বাচনে আসবে। কেউ আবার বলছেন নির্বাচনে বিএনপিকে আনতেই হবে এমনটা কেন?  

কিন্তু বিএনপি সত্যিই সত্যিই তাদের দাবিতে অনড়। বিএনপির সঙ্গে আছে আরো কিছু দল। ফলে বিদেশিদের এ চাপেও বিএনপির একগুয়েমিতে কিছুটা বিব্রত সরকার। তাছাড়া খুব বেশি সময়ও নেই। ১৫ মাসের মতো বাকি জাতীয় নির্বাচনের। ফলে বিষয়টা দ্রুত সমাধান না হলে ঝামেলা বাড়বে। দিন যতো গড়াবে ততোই বিএনপিসহ অন্যরা আন্দোলন, সভা-সমাবেশ বাড়িয়ে মাঠ দখল করে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুললে শেষের দিকে যেয়ে দাতা দেশসমূহের কথার বাইরে যাবার কোনো উপায় থাকবে না। আর সরাসরি ‘ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন’ হওয়ার অর্থ জনগণের কাছে ক্ষমতা। সরকার যতোই উন্নয়নের কথা বলুক, মানুষ সেটা মেনেও নিচ্ছে। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জ্বালানির আকাশছোঁয়া দামে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির ব্যাপারে মানুষে অসন্তোষ। যদিও এর জন্য করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধও দায়ী। কিন্তু মানুষ অতোশত বুঝতে চায় না। ফলে বর্তমান সরকারের ওপর তাদের কিছুটা বিরক্তি ভাব। 

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্নভাবে চাচ্ছে এ বিরক্তি ভাব দূর করতে। নির্বাচনের আগে সেটা হয়তো দূরীকরণ করতেও পারবেন। চেষ্টা করছেন। কিন্তু যদি না পারেন? ভয়টা এখন সেখানেই। ফলে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে যদি একটা ফাটল ধরানো যায়, সেটা যেভাবেই হোক না কেন, এটাতে লাভবান হওয়া সম্ভব। এমন সুযোগের অপেক্ষায় শুধু ক্ষমতাসীনরাই কেন, সবাই চাইবে- এটাই স্বাভাবিক। রাজনীতির খেলার অংশবিশেষ এটাও।

প্রেক্ষাপট দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন

বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠের সব খেলা এখন আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই। সাধারণ মানুষকে একেক দল বোঝাচ্ছেন একেক ভাবে। বাংলাদেশের মানুষ যথেষ্ট সচেতন। দিনশেষে বাজারের ব্যাগটা হাতে নিয়ে পুরোনো ধারাবাহিক ইনকামের অর্থকড়ি নিয়ে বাজারে যেয়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়ে হিমশিম খেয়ে হতাশ। চাহিদা মোতাবেক পণ্য ক্রয়ে ব্যর্থ হওয়ার মনোকষ্টটা সংসারের লোকজনের কাছে আড়াল করা ভীষণ কষ্ট। কে কী বোঝাবেন আর বুঝে বসে যাবেন, এটা কিন্তু সহজসাধ্য বিষয় নয়। 

তবু রাজনীতিবিদদের কাজই এটা। বলে যাবেন। ক্ষমতায় তো তারাই আসবেন। সেটা যে লেবাসেই হোক না কেন। ফলে ওই রাজনীতি মাঠের দখলটা তাদের দিন শেষে চাই। বিএনপি ও তার সমর্থিত দল যেমনটা ভিনদেশিদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগোচ্ছে। তেমনি ক্ষমতাসীনরাও শেষ মুহূর্তের চেষ্টা করে যাচ্ছেন একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের। যেহেতু বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আইনের দৃষ্টিতে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। এর ব্যাখ্যা যে যেভাবেই করুক, বাস্তবতা এটাই। তাই বিএনপির নেতৃত্বে অন্য যারা রয়েছেন, তাদেরকে বিভিন্নভাবে কবজা করতে পারলেই চলে। কিন্তু সম্প্রতি যে খবরটা দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সভাপতি আব্দুর রহমান- সেটাকে মোটেও উড়িয়ে দেয়া যায় না। নারায়ণগঞ্জে গত ৬ সেপ্টেম্বর এক অনুষ্ঠানে তিনি দাবি করেন বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও কর্নেল অলি আহমেদের নেতৃত্বে আসছে নতুন বিএনপি। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপির অনেক নেতা বৈঠক করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে নির্বাচনে আসবেন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর জামায়াতে ইসলামী দলটিকে তালাক দিয়েছেন।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘একটা খবর হলো- ইতোমধ্যে বিএনপির দুটি উইকেট পড়ে গেছে, তাঁরা হলেন সাবেক বিএনপি নেতা বি. চৌধুরী ও অলি আহমেদ। এবার তাঁরা নতুন বিএনপি নিয়ে আসছেন। আর জামায়াত তাঁদের সঙ্গে আর কোনো আন্দোলনে থাকছে না।’ কিন্তু প্রশ্ন এটা এ রাজনীতিবিদ জানলেন কীভাবে? জেনেও যদি থাকেন, তাহলে কৌশলী হবেন। মাঠে ছড়িয়ে প্রতিপক্ষকে সতর্ক করায় মনোনিবেশ কেন? তবে এটা ঠিক, আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য আব্দুর রহমানের এক কথা ভীষণ তৎপর্যপূর্ণ। এটাকে উড়িয়ে দেয়ার মতো নয়। কারণ ‘আলাদা বিএনপি’র এমন একটা আভাস বেশ ক’মাস ধরেই ভাসছে রাজনীতিতে। 

এর আগেও বিএনপির একটি গ্রুপ সিট ভাগাভাগিতে রাজি হয়ে আসছে এমন খবরও শোনা গেছে। ওই খবর যখন খুব জোরালো, তখন বেগম খালেদা জিয়া হুঁশিয়ারি দিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে বলেন, বিএনপি কোনো সিট ভাগাভাগিতে নেই। তার হুঁশিয়ারির পর থেকে দমন হয়ে যায়। যেহেতু খালেদা জিয়া গৃহবন্দি ও তারেক রহমান বিদেশে। তাই এ সমঝোতাতে বিএনপির একটি গ্রুপ সক্রিয় বলে বিভিন্ন সূত্র আকার-ইঙ্গিতে প্রকাশও করছেন। 

জেলা-উপজেলাসহ তৃণমূলে বিএনপির ক্ষোভ যেখানে শুরু 

বিএনপি তাদের তৃণমূল থেকে শুরু করে অনেক স্থানেই নেতৃত্ব ঢেলে সাজানো ও বিভিন্ন পুরোনো কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি গঠনকালে অনেক নিষ্ক্রিয় নেতাকে বাদ দেয়া হয়। এ নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি অস্বাভাবিক নয়। যারা ইতিপূর্বে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ছিলেন, এমপি ছিলেন। এলাকায় তাদের বেশ দাপট এখনো। কিন্তু নতুন করে সাজানো কমিটিতে বাদ পড়েছেন বা দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকায় বিভিন্ন কারণে কিছুটা নিষ্ক্রিয় অথবা ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জের কথা চিন্তা করে দলকে আরো গতিশীল করতে যেখানে উদ্যোমী প্রয়োজন, ঠিক তেমন নেতৃত্বের সঙ্গে মেলানো যায় না, এমন অনেকেই সময়ের কারণে নেতৃত্বে উপেক্ষিত। কিন্তু দলে তার গুরুত্বটা ঠিকই রয়েছে। তবুও একটা দায়িত্ব বা একই এলাকায় অন্য কাউকে যদি কেন্দ্র থেকে কিছুটা গুরুত্ব বেশি দেয়া হয়, সেখানে কিছুটা সন্দেহও চলে আসে। যদিও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ একঝাঁক শীর্ষ নেতৃত্ব দারুণভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ক্রমশ জোরদার করছেন আন্দোলন। এ সময় ঐক্যবদ্ধ বিএনপিই সর্বত্র। তবুও পর্দার আড়ালে কিছু কলকাঠি নড়বে এটা অস্বাভাবিক কিছু না। 

মূলত দলবঞ্চিতরাই নতুন কিছুর ব্যাপারে কিছুটা আগ্রহী। কারণ আবার কবে ক্ষমতায় আসবে বিএনপি। তার আগে যদি কোনো লিয়াজোঁর মাধ্যমে ক্ষমতা বা সংসদ সদস্য বা গুরুত্বপূর্ণ কোনো কিছু পাওয়া যায়, তাহলে সেটা বড় প্রাপ্তি। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব যেহেতু সাজাপ্রাপ্ত, এ দল আবার কবে ক্ষমতায় আসবে এ সন্দেহের দানাও বেশ বেঁধেছে অনেকের মধ্যে। এলেও সেখানে গুরুত্বপূর্ণ কোনো পদ পাওয়া যাবে কি-না সেটা নিয়েও তো সন্দেহ। সব মিলিয়ে কিছুটা অধৈর্য হওয়া কিছু নেতা এমন কিছুর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বি. চৌধুরী বিএনপি ফেলে আগেই চলে গেছেন। বিকল্পধারা করে সেটাতে হালে পানি না পেলেও সরকারের সুবিধাভোগী। কর্নেল অলির দল এলডিপি। কর্নেল অলি অবশ্য আব্দুর রহমানের বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছেন। 

তবে এটাও ঠিক, রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই। আজ এমন, কাল অমন। বাংলাদেশে ডিগবাজির পলিটিক্সের ইতিহাস বহু রয়েছে। বড় বড় নেতাদের ইতিহাস ঘাঁটলে ডিগবাজির ঘটনা বেরিয়ে আসবে। তাছাড়া একটি সরকারের শেষ মুহূর্ত বা দেশের একটা ক্রাইসিস মুহূর্তে এমন কিছু লোকের পদচারণা মুখরিত বিভিন্ন অঞ্চল। ওয়ান-ইলেভেনেও আওয়ামী লীগ বিএনপির বিরুদ্ধে সংস্কারবাদী নামে গ্রুপ তৈরি হয়েছিল। এদের কেউ কেউ নাকে ক্ষত দিয়ে আবার মূলধারার সঙ্গে ফিরে এসেছেন। কেউ কেউ আসতে পারেননি। কেউ কেউ এলেও দায়িত্ব পাননি। কেউ আবার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পেয়েছেন। 

কিন্তু দিনশেষে তার পলিটিক্যাল ইতিহাসে কিন্তু এসব কৃতিকলাপ খুব সুন্দরভাবে লিপিবদ্ধ রয়ে গেছে। 

দেশ ও জনগণের জন্য যাদের রাজনীতিটা উৎসর্গ, তারা এসবে যান না। যাদের রাজনীতির সঙ্গে পেটনীতিটাও রয়েছে, তারা এসবে যুগ যুগ ধরেই মনোযোগ দেন সুবিধার ঘ্রাণ পেলেই। এগুলো ছিল, থাকবে। তবে দিনশেষে আওয়ামী লীগ বা বিএনপির মূলধারাই টিকে থাকবে। কারণ ওই প্রথমে যে মানুষগুলোর কথা বলা হয়েছিল। তারাই তো সবকিছুর নিয়ন্ত্রক। এটাই তো বাস্তবতা। ফলে তাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা সেই মূলধারারই। যতোই আড়ালে-আবডালে বা দেশ ও দেশের বাইরে মিটিং-সভা করে আলাদা প্ল্যাটফর্ম হোক না কেন, সাধারণ মানুষ এগুলো খুব ভালোই বোঝেন। ইতিমধ্যে বিএনপি জোটের কেউ কেউ এমন একটা গ্রুপের এমন অপতৎপরতার সঙ্গে জড়িতদের ব্যাপারে উৎকণ্ঠাও প্রকাশ করেছেন, বিস্মিত হয়েছেন। যদিও বলেছেন তারা আকারে ইঙ্গিতে। প্রয়োজনে সরাসরি বলবেন এটাও জানান দিয়েছেন। 

এসব খবর জানেন বহির্বিশ্বের লোকজনও। যারা প্রতিনিয়ত দেশের জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এর মধ্যে অন্যতম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েই ক্ষমতায় এসেছেন। বিশ্বের যেসব দেশে গণতন্ত্র নেই, সেখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাকরণ। এ জন্যই তিনি ক্ষমতায় বসেই করেছিলেন গণতান্ত্রিক সম্মেলন। যেখানে আমন্ত্রণ পায়নি বাংলাদেশ। ফলে চোখটা আছে তার অন্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রতিও। 

বাংলাদেশের মানুষও চায় একটা সঠিক গণতন্ত্রমনা দেশ হয়ে উঠুক এ প্রত্যাশা সবার।

শেয়ার করুন