২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০২:৫১:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


দেশকে রুকাইয়া চমক
আমার কাছে শুধু গল্পটাই বড়
আলমগীর কবির
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-১১-২০২২
আমার কাছে শুধু গল্পটাই বড় রুকাইয়া জাহান চমক


রুকাইয়া জাহান চমক ২০১৭ সালে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছিলেন। এর পর আলোচনায় আসেন ধারাবাহিক নাটক ‘হাউস নং ৯৬’-এ অভিনয় করে। সম্প্রতি যুক্ত হয়েছেন জয় বাংলা ধ্বনি নামের একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রে। এতে তার বিপরীতে রয়েছেন চিত্রনায়ক নিরব। এই চমক কিন্তু ডাক্তারও। এমবিবিএস কোর্স শেষ করেছেন একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে। এসব নিয়ে তিনি কথা বলেছেন নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাতকার নিয়েছেন আলমগীর কবির 

প্রশ্ন: পড়াশোনা করেছেন মেডিকেল কলেজে। এখন আপনাকে নিয়মিত অভিনয়ে দেখ যায়। ভবিষৎ পরিকল্পনাটা কি?

রুকাইয়া জাহান চমক: পড়াশোনার সাথে আমার বর্তমান ফোকাস লাইনটার মিল পাচ্ছেন না বলেই হয়তো এই প্রশ্ন। আসলে আমি ছোট বেলা থেকে সংস্কৃতিক পরিবেশে বড় হয়েছি। ছোট বেলা থেকেই নাচ শিখতাম। অভিনয় তো নাচের অংশই। ভালো নাচের কারণে তখন থেকেই এলাকায় আমার বেশ পরিচিতি ছিল। 

প্রশ্ন: সংস্কৃতিক দিকটাই যদি ফোকাস পয়েন্টে রাখবেন তাহলে মেডিকেলে কেন ভর্তি হয়েছিলেন?

রুকাইয়া জাহান চমক: মা-বাবার ইচ্ছা ছিল আমাকে মেডিকেলে পড়াবে। ডাক্তার বানাবে। পরে আমি মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশে নাম লেখাই। যত দূর এগিয়েছিলাম, চাইলেই অভিনয় করতে পারতাম। কিন্তু পড়ালেখার কারণে তখন কিছুই করিনি। এখন এমবিবিএস শেষ। এখন থেকে আমি নিয়মিত অভিনয় করব, নিজের ইচ্ছা পূরণ করব।

প্রশ্ন: গত দুই বছর ধরে নিয়মিত অভিনয় করছেন। এই সময়ে অভিনীত কাজের সংখ্যা কত? 

রুকাইয়া জাহান চমক: এখন পর্যন্ত ১০০-এর বেশি নাটক করেছি। এই সময়ে দর্শক ও পরিচালকদের এত ভালোবাসা পেয়েছি, প্রত্যাশা করিনি। ভাবিনি, সবাই এত দ্রুত আপন করে নেবেন।

প্রশ্ন: এখন পর্যন্ত কোন কাজটিকে আপনি সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রাখবেন? 

রুকাইয়া জাহান চমক: অবশ্যই ‘মহানগর’। অভিনয় জীবনের শুরুতে মহানগর-এর মতো কাজের অংশ হওয়ায় আমাকে কষ্টটাও ওভাবে করতে হয়নি। মহানগর মুক্তির পরই সবাই আমাকে দ্রুত গ্রহণ করেছেন। শুধু বাংলাদেশ নয়, কলকাতা থেকেও অনেকে এই সিরিজের কথা বলেন। কলকাতার মানুষও আমাকে মহানগর দিয়ে চেনেন, নাটক দিয়ে নয়।

প্রশ্ন: কিন্তু ‘মহানগর’-এ তো আপনার উপস্থিতি অনেক কম ছিল।

রুকাইয়া জাহান চমক: অভিনয়শিল্পীদের নিজেকে প্রমাণের জন্য একটামাত্র দৃশ্যই যথেষ্ট। সেখানে তো আমার ১০-১২টা দৃশ্য ছিল। আমার মনে হয়, সঠিকভাবে অভিনয় করতে পারলে, একটা দৃশ্যই সবার মনে গেঁথে যায়। সবাই মনে রাখেন। তারচেয়ে বড় কথা কাজটি করে আমিও তৃপ্ত। 

প্রশ্ন: ছোট পর্দা থেকে হঠাৎ সিনেমায় কেন এলেন?

রুকাইয়া জাহান চমক: আমি তো মিডিয়াতে মাত্র দুই বছর। আর এটা আমার প্রথম সিনেমা নয়, এর আগে আরেকটি সিনেমায় কাজ করেছি, সেটি মুক্তি অপেক্ষায় রয়েছে। আর সিনেমায় আসার কারণ হলো, এখানে কাজের স্থায়িত্ব পাওয়া যায়। নাটক ওয়েব সিরিজ যতই ভালো হোক না কেন নির্দিষ্ট সময়ের পর দর্শকের কাছে তার আর কোনো আবেদন থাকে না। 

প্রশ্ন: তারমানে পরিকল্পনা করেই সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন?

রুকাইয়া জাহান চমক: নাহ, কোনো পরিকল্পনা করে নয়, এটা ছোট পর্দা বা বড় পর্দা ভেবেও নয়, এটা একটা ভালো গল্প, ভালো প্লট তাই এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছি।

প্রশ্ন: জয় বাংলা ধ্বনির জন্য আলাদা কোনো প্রস্তুতি?

রুকাইয়া জাহান চমক: অবশ্যই, আমি মুক্তিযুদ্ধের অনেক সিনেমা দেখেছি। আর ছোটবেলা থেকে যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের গল্প পড়ে, মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা দেখে বড় হয়েছি, এটা সাহায্য করেছে সেক্ষেত্রে। আর খুব অল্প সময়ের ভেতরে অনেক বেশি প্রস্তুতির সুযোগ পাইনি, তবে ভালোই যাচ্ছে।

প্রশ্ন: ছোট পর্দা ছেড়ে কি সিনেমাতেই নিয়মিত হচ্ছেন।

রুকাইয়া জাহান চমক: হ্যাঁ, অবশ্যই এটা বলতে পারেন। ব্যাক টু ব্যাক আরও দুটি সিনেমা করার কথা রয়েছে এই বছরের শেষের দিকে। তবে ছোট পর্দাতেও অবশ্যই দেখা যাবে। ছোট পর্দা বা বড় পর্দা বলে আমার কাছে কিছু নেই। আমার কাছে শুধু গল্পটাই বড়। আমি গল্প হিসেবে একটা প্রজেক্ট দেখি। আমি আলাদা করে কখনও এটা নির্ধারণ করি না।

প্রশ্ন: চমক নামটি নিজের দেওয়া নাকি পরিবার থেকে রেখেছে?

রুকাইয়া জাহান চমক: আমার বড় মামা জন্মের পর বলেছিলেন, এই মেয়ে চমক দেখাবে। তাই চমক নামটা তিনিই রেখেছেন। সত্যি বলতে কি, আমার জন্ম হয়েছিল সোনার চামচ মুখে দিয়ে। আমার জন্মের পর নানাভাই হাসপাতালে সোনার চামচ এনে মুখে মধু দিয়েছিলেন (হাসি)। মানুষ বলে না, ‘সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম হয়েছে’, আমার ক্ষেত্রে সত্যি সত্যিই তা হয়েছিল। আমার মায়ের বংশের প্রথম নাতনি ছিলাম তো, তাই সবার ভীষণ আদরের ছিলাম।

প্রশ্ন: আপনার জন্ম হয়েছে কোথায়?

রুকাইয়া জাহান চমক: আম্মু যখন প্রেগন্যান্ট, তখন নানাভাইয়ের বরিশালের বাড়িতে চলে যান। বরিশাল সদর হাসপাতালে আমার জন্ম। তবে আমার বেড়ে ওঠা ও পড়াশোনা ঢাকায়। শুরুতে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে ছিলাম। ক্লাস সেভেনে শিফট হয়ে উত্তরায় চলে আসি। এর পর থেকে সেখানেই আছি।

শেয়ার করুন