২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৩:৪৩:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


মালদ্বীপের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশটিকে সমর্থন দিচ্ছেন শি জিন পিং
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০১-২০২৪
মালদ্বীপের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশটিকে সমর্থন দিচ্ছেন শি জিন পিং


চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং বলেছেন, কৌশলগত ভৌগলিক অবস্থানে থাকা মালদ্বীপের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশটিকে তিনি সমর্থন দিচ্ছেন।
অবকাঠামো থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে উভয় দেশ বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরের পর শি এ কথা বলেছেন। গত বছর সেপ্টেম্বরে নির্বাচিত মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু মূলত চীনপন্থী হিসেবেই পরিচিত। তিনি বেইজিংয়ের সাথে শক্তিশালী সম্পর্ক অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছেন।


ভারতের সাথে কূটনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই মুইজ্জু চীন সফর করছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর এটি তার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর। বুধবার জিনপিংয়ের সাথে তার সাক্ষাৎ হয়। ঐতিহাসিক গ্রেট হলে পৌঁছানোর পর মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানানো হয় তোপধ্বনির মাধ্যমে। দেয়া হয় গার্ড অব অনার। এসময় সাথে ছিলেন দেশটির ফার্স্ট লেডি।

এরপরই তাদের স্বাগত জানান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এরপর বৈঠকে বসেন দুই প্রেসিডেন্ট। সাথে ছিলেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। বৈঠকে বেইজিং এবং মালের সম্পর্ককে ঐতিহাসিক আখ্যা দেন জিনপিং।

চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, শি মুইজ্জুকে বলেছেন নতুন পরিস্থিতিতে অতীত অর্জনের ওপর ভিত্তি করে এগিয়ে যাওয়ার ঐতিহাসিক সুযোগ পেয়েছে দু’দেশ।


চীনের প্রেসিডেন্ট আরো বলেছেন, চীন ও মালদ্বীপ একে অপরের বন্ধু ও সুপ্রতিবেশী। গত পাঁচ দশক ধরে দু’দেশ সবসময় একে অপরকে সম্মান ও সমর্থন করে আসছে। এর পাশাপাশি গেল ১০ বছরে দু’দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। ‘বেল্ট আ্যন্ড রোড’ উদ্যোগের আওতায় চীন ও মালদ্বীপের মধ্যে সহযোগিতা থেকে অনেক সুফলও অর্জিত হয়েছে বলে জানান তিনি।


এসময় মালদ্বীপে বিনিয়োগের জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানান মোহাম্মদ মুইজ্জু। সবচেয়ে বেশি জোর দেন মালদ্বীপের পর্যটন খাতে। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বলেন, বেইজিংয়ের সাথে মালের যে দীর্ঘ সম্পর্ক রয়েছে, তার মর্যাদা রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমাদের যতগুলো প্রতিবেশী রয়েছে, তাদের মধ্যে চীন সবচেয়ে বেশি ঘনিষ্ঠ। দু’দেশের স্বার্থে এই সম্পর্ক আরও জোরদারের চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি। মুইজ্জুর সফরকালে দু’দেশ জলবায়ু, কৃষি ও অবকাঠামো খাতে বেশি কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।


সমুদ্রসম্পদ ও জাহাজ নির্মাণ শিল্প থাকা সত্ত্বেও মালদ্বীপের অর্থনীতি প্রধানত পর্যটন নির্ভর। দেশের মোট প্রবৃদ্ধির ২৮ শতাংশ আসে পর্যটন খাত থেকে। এছাড়া মালদ্বীপের মোট বৈদেশিক মুদ্রার ৬০ শতাংশও এ খাত থেকেই আসে।

শেয়ার করুন