০১ মে ২০১২, বুধবার, ০১:৫৬:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে এবার বন্দুকধারীর গুলিতে তিন আইনশৃংলাবাহিনীর সদস্য নিহত ‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ


‘কারোর হাতে আলাদিনের চেরাগ কারোর হাতে রংচটা থালা’
বিশেষ প্রিতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০২-২০২৪
‘কারোর হাতে আলাদিনের চেরাগ কারোর হাতে রংচটা থালা’ বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ সমাবেশ


বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, লুটপাট বন্ধের হাত থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম জোরদার করতে হবে। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে অথচ কিছু মানুষ অর্থের পাহাড় গড়ছে। ক্ষমতা আর ক্ষমতাসীনদের আনুকূল্য ছাড়া সৎ আয়ে এভাবে টাকার পাহাড় গড়া সম্ভব না। 

নেতৃবৃন্দ বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেছে এস আলম গ্রুপসহ কারো কারোর হাতে আলাদিনের চেরাগ আবার উৎপাদনের সাথে জড়িত শ্রমজীবী কারো কারোর হাতে রংচটা খালি। নেতৃবৃন্দ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে সার্বজনীন রেশন ব্যবস্থা ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু, দক্ষ ও দুর্নীতিমুক্তভাবে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিত্যপণ্যের বাফার স্টক গড়ে তোলা ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের চক্র ভেঙে মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। 

নেতৃবৃন্দ প্রকৃত উৎপাদক কৃষকের পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে ও উৎপাদন ব্যয় কমাতে কম মূল্যে কৃষি উপকরণ সরবরাহের দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, উৎপাদন ও ক্রেতার স্বার্থ-সংরক্ষণ করতে সারাদেশে ‘উৎপাদক ও ক্রেতা’ সমবায় চালু, সহজ ও চাঁদাবাজমুক্ত পরিবহন ব্যবস্থা চালু করতে হবে। নেতৃবৃন্দ আলাদিনের চেরাগ পাওয়া এস আলম গ্রুপসহ বিভিন্ন গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা অর্থপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগ আমলে নিয়ে সর্বপর্যায়ে অনুসন্ধান ও দ্রুত রিপোর্ট প্রকাশের দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ খেলাপি ঋণ আদায় করে ও বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত এনে জনস্বার্থে কাজে লাগানো এবং ঘটনার নেপথ্যের হোতাদের খুঁজে বের করারও দাবি জানান। 

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধ, বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ, সিন্ডিকেট চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, সারাদেশে সার্বজনীন রেশন ব্যবস্থা চালু, জাতীয় ন্যূনতম মজুরিসহ সবার কাজের নিশ্চয়তা, দুর্নীতি-লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, খেলাপি ঋণ-পাচারের টাকা আদায়সহ ফ্যাসিবাদি দুঃশাসনের অবসানের দাবিতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাসদ (মার্কসবাদী)’র সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)’র খালেকুজ্জামান লিপন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহিদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী। সমাবেশ পরিচালনা করেন সিপিবি’র কেন্দ্রীয় নেতা কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন। 

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, এই দুঃশাসনের হটানো ছাড়া মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। 

নেতৃবৃন্দ দেশের পাটকলসহ রাষ্ট্রীয় খাতকে বেসরকারি মালিকানায় দেওয়ার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, এর মধ্যে দিয়ে সরকারি সম্পদ ভাগবাটোয়ারার ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে। এ খাতে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তদের অদক্ষতা, ভুলনীতি ও দুর্নীতির খেসারত শ্রমিক ও জনগণের কাঁধে চাপানো হয়। এর দায় দায়িত্বপ্রাপ্তদের নিতে হবে। 

নেতৃবৃন্দ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অর্থনীতির ধারার দেশ চালাতে হবে। বামপন্থীরা ক্ষমতায় গেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অর্থনৈতিক ধারায় দেশ চালাবে, যা সংবিধানে এখনো লিপিবদ্ধ আছে। সমাবেশে শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাব, তোপখানা রোড, পল্টন, দৈনিক বাংলা, বক্স কালভার্ট রোড, বিজয়নগর হয়ে পুরানো পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।

শেয়ার করুন