০৩ মে ২০১২, শুক্রবার, ০২:০৮:৬ পূর্বাহ্ন


মায়ানমারের অস্থিরতার উত্তাপ বাংলাদেশে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০২-২০২৪
মায়ানমারের অস্থিরতার উত্তাপ বাংলাদেশে মায়ানমার আর্মি


ওয়াশিংটনভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক ‘ইউএস ইনস্টিটিউট অব পিস’ (ইউএসআইপি)-এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে স্টেট ডিপার্টমেন্ট, ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল ও পেন্টাগনের অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলোচনাকালে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বলেন, মিয়ানমার (চলমান অভ্যন্তরিন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ) পরিস্থিতির সহসাই উন্নতি হচ্ছে না। এ কারণে বাংলাদেশ ও ‘সম্ভবত ভারতের জন্যও’ যে শরণার্থী সংকট ও নিরাপত্তা সমস্যা তৈরি হচ্ছে তা সামনে আরও গভীর হতে পারে। হিন্দুস্তান টাইমসের পরিবেশিত ওই রিপোর্ট নিয়ে নতুন করে বাংলাদেশীদের মধ্যে উৎন্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। 

মায়ানমারে দীর্ঘদিন ধরে চলছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। বিশেষ করে রাখাইনে আরকান আর্মি ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে যার আঁচ মিলেছে মায়ানমার বর্ডার সিকিউরিটি ও মায়ানমার আর্মির মোট ৩৩০ জন অস্ত্রসহ ও অস্ত্র ছাড়া বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় গ্রহণের ঘটনায়। বাংলাদেশ এদেরকে সেদেশের জান্তার হাতে তুলে দিয়েছে ইতিমধ্যে। কিন্তু সীমান্তবর্তী দেশের এমন সংঘর্ষ এবং বার কয়েক বাংলাদেশের সীমান্ত পেরিয়ে হেলিকাপ্টার ডুকে পড়া ও গুলি এসে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে পড়া, এতে বাংলাদেশ সীমান্তে উৎকন্ঠা ছড়িয়ে পড়া, স্কুল বন্ধ, গোলায় দুইজনের মত বাংলাদেশী নিহত- সব মিলিয়ে একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলা বাংলাদেশ পোহাচ্ছে। সীমান্তরক্ষীরা সতর্ক অবলম্বন করেছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ধর্য্যরে সঙ্গে সবকিছু মোকাবেলা করার জন্য। কারণ বাংলাদেশ কারোর সঙ্গেই যুদ্ধ চায়না। চায় সর্বত্র শান্তি। 

এরপরপরই ডোনাল্ড লু’র অমন সতর্কবার্তা বাংলাদেশকে যে দীর্ঘদিন অমন উৎকণ্ঠায় কাটাতে হবে তার ইঙ্গিত মিললো। বাংলাদেশ কেনই বা অপরের অভ্যন্তরীণ ঝামেলায় নিজেদের ঘুম হারাম করবে এ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আসলে বাংলাদেশ না চাইলেও ইতিমধ্যে এমন এক ঝামেলার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। রাখাইনের অন্তত ১২ লাখের অধিক রোহিঙ্গা ইতিমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এদের ফিরিয়ে নিতে মায়ানমারের সঙ্গে বহু দেনদরবার করেও কূলকিনারা হচ্ছেনা যে সময় তখন আবারও সেই অঞ্চলে দীর্ঘ অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ! কিভাবে সেভ রাখবে নিজেদের বাংলাদেশ। আবারও রোহিঙ্গার ঢল আসতে পারে সে সম্ভাবনা। যদিও আগভাগেই বাংলাদেশ বলে দিয়েছে, আর সম্ভব নয়। বাংলাদেশ আর কাউকেই গ্রহণ করতে পারবে না। কিন্তু এখন প্রশ্ন, আগেও বাংলাদেশ এ নীতিতে কঠোর ছিল। কিন্তু সে অবস্থানে থাকতে পারেনি বহির্বিশ্বের চাপে, এবারও কী সেরকম পরিস্থিতি এলে উপেক্ষা করা সম্ভব হবে? 

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভায় বলেছেন, “বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক অবস্থানটা আমাদের সঙ্গে শত্রুতার জন্য অনেকের উর্বর ক্ষেত্র। বঙ্গোপসাগর, সেন্টমার্টিনের প্রতি লোভাতুর দৃষ্টি অনেক বাজপাখির রয়েছে। তবে শেখ হাসিনার সরকারের ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতি, আমাদের সাফল্যের দিকে নিয়ে গেছে।”

বাংলাদেশ আগেই বলেছে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ইস্যুতে নাক গলাবে না। বাংলাদেশকে ব্যবহার করে অন্য দেশের উপর আক্রমণ করতেও দেয়া হবে না। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা। এরপর ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্য কিছুটা দুশ্চিন্তার বিষয়। তার আগে দেখে নেয়া যাক কেন অভ্যন্তরীণ সঙ্কট মায়নমারের।

মায়ানমারের অভ্যন্তরীণ সঙ্কট 

মায়ানমারের অভ্যন্তরীণ সঙ্কট বহুদিনের। জান্তার বিরুদ্ধে স্বাধীনতাকামী আরকান আর্মিসহ ভাতৃত্ব সংগঠনসমূহের সশস্ত্র সংঘর্ষ দীর্ঘদিনের। কিন্তু ইদানিং সে সংঘর্ষ ব্যাপকমাত্রায় শুরু হয়েছে। এক এক করে মায়ানমারের সামরিক বাহিনী ও বর্ডারগার্ড হটিয়ে সীমান্ত চৌকি দখল নিচ্ছে আরাকান আর্মি। দুই পক্ষে ব্যাপক সংঘর্ষ। এমনকি আরাকান আর্মি এখন ব্যাপক শক্তিশালী, না হলে দুর্ধর্ষ মায়ানমার আর্মিদের রুখে দেয়ার ক্ষমতা তারা কিভাবে দেখায়। পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে রাখাইন রাজ্য স্বাধীন হয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। পরিস্থিতি সেদিকেই গড়াচ্ছে। যদিও মায়ানমার জান্তা সরকার সে সুযোগ দিতে চাইবে না। সর্বস্ব দিয়ে হলেও সেটা ঠেকাবে। এতেই ডোনাল্ড লু’র সতর্কতা যে এ অস্থিরতা দীর্ঘদিন চলতে পারে। এবং এটাও ঠিক এতে সাধারন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে সবচে বেশি। 

কার কার স্বার্থ জড়িয়ে 

রাখাইন রাজ্যে ও উপকূল ও ওই অঞ্চলের সাগরে ব্যাপক তেল গ্যাস ছাড়াও প্রাকৃতিক সম্পদসমৃদ্ধ। ফলে এগুলোর দিকে ললুপ দৃষ্টি চীন ও ভারতের। বিভিন্নভাবে সখ্যতা গড়ে মায়ানমার জান্তার সঙ্গে চুক্তি করে এসব সম্পদ আহরণে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে চীন ও ভারত। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করেছে ওই দুই দেশ। এখানে তুলনামূলক চীনের স্বার্থ বেশি। ভারতও কম যায় না। ফলে এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা না হলে দুই দেশেরই স্বার্থ উদ্ধার হুমকির মুখে। কিন্তু কিভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে সেটাই এখন অনিশ্চয়তা। কৌশলগত কারনে দুটি দেশকেই জান্তা ও আরাকান আর্মির সঙ্গে হয়তো সখ্যতার রাখতে হচ্ছে উপরে উপরে। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে দুই দেশই স্বার্থ উদ্ধারের চুক্তি করেছে জান্তা নিয়ন্ত্রিত সরকারের সঙ্গেই। ফলে এখানে ভবিষ্যত কী হবে সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ঘুম হারাম দুই দেশেরও। বাংলাদেশে ওই দেশের অশান্তির আগুনে পুড়ছে এমনি এমনিতেই। কিন্তু এখানে বড় একটা প্রশ্ন দাঁড়িয়ে গেছে আরাকান আর্মি (এ এ) তারাই বা এত শক্তি কোথায় পেল। কার শক্তিতে ব্যাপক ক্ষমতাধর হয়ে উঠলো। 

আরকান আর্মির সফলতা দাবি 

মায়নমারের একটি পত্রিকা (ইরাবতি) আরকান আর্মির বিবৃতির সূত্র ধরে রিপোর্ট করেছে যে, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চল থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নিচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। একই সঙ্গে রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে বেসামরিক জনগণের ওপর হামলা জোরদার করছে তারা। মিয়ানমারের সর্বপশ্চিমের এই রাজ্য হারাতে চলেছে বুঝতে পেরে তারা এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে। মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত আরাকান আর্মি (এএ) এমন দাবি করেছে। রোববার রাখাইনের মিয়েবন শহরে দুটি তল্লাশিচৌকি থেকে সেনাদের হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়ার পর আরাকান আর্মি এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতির বরাতে ওই পত্রিকার তার (ইরাবতি) রিপোর্টে বলা হয়, নিরাপত্তার জন্য উত্তর থেকে দক্ষিণ রাখাইনে সৈন্য সরিয়ে নিচ্ছে জান্তা সরকার। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, জান্তার সৈন্য বাহিনী মনে করে এই পরিস্থিতিতে প্রতিরোধ করতে গেলে তাদের চূড়ান্ত পরাজিত বরণ করতে হবে। ফলে যেসব শহর বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে বা দখলে নেয়ার টার্গেট করেছে সেগুলোর তল্লাশিচৌকি ও ঘাঁটি পুড়িয়ে দিয়ে তারা সেনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। 

বাংলাদেশের সংসদে আলোচনা

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলের উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা নিয়ে যে সংকট, মিয়ানমার সমস্যা, রাখাইনের যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি থ্যিংট্যাংক আলোচনার করার সময় বলেছেন, যে পরিস্থিতি এখন মিয়ানমারে আছে এই পরিস্থিতির কারণে বিশেষ করে রাখাইনের সঙ্গে যে যুদ্ধ চলছে এর কারণে আমাদের দেশের নিরাপত্তা, আমাদের এবং ভারতের দুইটা দেশেই নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। 

এই ব্যাপারে আমাদের আরও পদক্ষেপ নেয়া উচিত। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক যে সব গোষ্ঠী আছে, যারা এখানে আছেন। বিশেষ করে ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চায়না এদের সঙ্গে আমার মনে হয় এ বিষয়টা উপস্থাপন করা উচিত। এখানে যেটা দেখা যাচ্ছে রাখইনরা তাদের যুদ্ধ আমাদের সীমান্তের উপর তারা ফোকাস করেছে। এইটার একটা কারণ হলো যে সীমান্ত চৌকিগুলো আছে, এইগুলো বিচ্ছিন্নভাবে আছে, খুব সহজে তারা দখল করতে পারে। আরেকটা জিনিস হচ্ছে যে তাদের এই যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বাংলাদেশ যদি এর সঙ্গে জড়িয়ে যায় সেইখানে রাখাইনরা এইটার একটা এ্যাডভানটেস নেয়ার চেষ্টা করতে পারে।

কেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগাম সতর্কবার্তা 

দুইবছর পূর্তি অনুষ্ঠান হলো স্টেট ডিপার্টমেন্টের ইন্দো প্যাসেফিকের কৌশলের। দীর্ঘদিন থেকেই এ ইন্দোপ্যাসেফিকে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপানকে নিয়ে। বাংলাদেশ এর সঙ্গে যুক্ত হোক এ প্রত্যাশা মার্কিনীদের বহুদিনের। কিন্তু বাংলাদেশ সায় দিচ্ছে না। সর্বশেষ, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর নতুন সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সুসম্পর্ক অব্যাহত রাখা এর সঙ্গে ইন্দো-প্যাসেফিক ও বাংলাদেশের সঙ্গে আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় এক যোগে কাজ করার জোয়ে বাইডেনের যে প্রত্যাশা জানিয়ে চিঠি দিয়েছে, সে ব্যাপারটাও অবগত। কিন্তু পরাশক্তির সঙ্গে সখ্যতা না করে কিভাবে টিকে থাকা সম্ভব। তাছাড়া ১২ লাখের অধিক রোহিঙ্গার ভরন পোষণই বা বাংলাদেশ কিভাবে অভ্যন্তরীণ সম্পদ দ্বারা সামাল দেবে। বিভিন্নকারণেই বাংলাদেশও এ সব নীতি কঠোররতা দেখাতে পারে না। এছাড়াও ভূ-রাজনীতির আরো অনেক খেলা তো রয়েই গেছে। 

সবশেষ 

সত্যিকার অর্থেই শান্তি প্রিয় বাংলাদেশ একটা অযাচিত ঝামেলার মধ্যে পড়ে গেছে। সীমান্তবর্তী দেশ, স্বাভাবিক সেখানে অশান্তির আগুনের ছোঁয়া সীমান্তের এ পাড় স্পর্শ করবে এটা এড়ানো সম্ভব না। কিন্তু নিজের খেয়ে বনের মহিষ কেন তাড়া করতে হবে এটাও বড় প্রশ্ন। বাংলাদেশের যেখানে অপরের সম্পদের দিকে লোভাতুর দৃষ্টিদানে পছন্দ করেই না সেখানে কেনই বা অন্যের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে সময়, অর্থ বিনষ্ট করবে। এখানে চীন, ভারত না যুক্তরাষ্ট্র বা অন্যদের স্বার্থ লুকিয়ে ওগুলো নিয়ে মাথা ঘামায় না বাংলাদেশ- সেটাই নীতিতে বলছে। কিন্তু এটাও ঠিক, চাইলেই সবকিছু এড়ানো যেমন যায় না, তেমনি এড়ানো সম্ভবপরও না। ১২ লাখের অধিক রোহিঙ্গাকে ফেরৎ না পাঠাতে পারলে এমনিতেই এক অশান্তি। ফলে সেটা ফেরৎ পাঠাতে হলে জান্তা ও আরকান আর্মির দুই পক্ষের সঙ্গেই সুসম্পর্কের প্রয়োজন। তাছাড়া কে জয়ী হবে কে টিকবে সেটা তো আগাম বুঝা যাচ্ছে না। যেই টিকে যাবে রাখাইনে। তার সঙ্গে সমঝোতা করে রোহিঙ্গাদের তুলে তো দিতে হবে। তাছাড়া এই এক রাখাইন নিয়ে পরাশক্তিদের যে মহড়া সেটার আঁচ বাংলাদেশে এসে লাগুক এ প্রত্যাশা বাংলাদেশের মানুষের নয়। তবু এমনি মুহূর্তে সবকিছু বাংলাদেশের মনমত হবে এমনটাও না। ফলে বাড়তি সঙ্কটের আগুনে পুড়তে হচ্ছে বাংলাদেশকে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

শেয়ার করুন