২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৯:৩৩:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


জে ওয়ান ড্রাইভার্স ট্রেনিং স্কুল নিউইয়র্কে নম্বর ওয়ান
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০১-২০২৪
জে ওয়ান ড্রাইভার্স ট্রেনিং স্কুল নিউইয়র্কে নম্বর ওয়ান জে ওয়ান ড্রাইভার্স ট্রেনিং স্কুলে ক্লাস নেওয়ার দৃশ্য


নিউইয়র্কে বাংলাদেশি মালিকানাধীন একমাত্র ড্রাইভার্স ট্রেনিং স্কুল জে ওয়ান ড্রাইভার্স ট্রেনিং। গর্বের বিষয় হলো বাঙালি মালিকানাধীন এই প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই টিএলসি স্কুলগুলোর মধ্যে নম্বর ওয়ান প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বেশি দিন আগের কথা নয় মাত্র কয়েক বছর আগে অর্থাৎ ২০১৭ সালে জে ওয়ান ড্রাইভার্স ট্রেনিং স্কুলটি চালু হয়েছিল। জ্যামাইকায় বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যামাইকার ৮৭-১২, ১৭৫ স্ট্রিট থেকেই যাত্রা শুরু। দুই বাংলাদেশি আতিকুর রহমান এবং আলী করিম এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট আতিকুর রহমান জানান, বাংলাদেশিদের সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে আমরা জে ওয়ান প্রতিষ্ঠা করি। আমরা দেখেছি নিউইয়র্কে বাংলাদেশিদের একটি বৃহৎ অংশ টিএলসির লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালান। আবার যারা নতুন আসছেন তাদের একটি অংশও গাড়ি চালান। অন্যদিকে নতুন প্রজন্মের অনেকেই লেখাপাড়ার পাশাপাশি এই কাজটি করেন। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর গাড়ি চালানোর অবশ্য যথেষ্ট কারণও রয়েছে। গাড়ি চালিয়ে যে পরিমাণ অর্থ আয় করা সম্ভব, অন্য কোনো কাজে তা সম্ভব নয়। যারা পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকেন, তারা গাড়ি চালিয়ে বেশ স্বচ্ছন্দে জীবনযাপন করতে পারেন, যা অন্য কোনো কাজে সম্ভব নয়। আমরা দেখলাম যে, এই বৃহৎ অংশের বাংলাদেশিদের সহযোগিতা বা সাপোর্ট দেওয়ার মতো কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। যেই চিন্তা সেই কাজ। আমরা যাত্রা শুরু করলাম। আমাদের যাত্রাটি যে খুব একটা ভালো ছিল তা অবশ্য বলা যাবে না। প্রথমদিকে স্টুডেন্ট পাচ্ছিলাম না। তিন সপ্তাহ পরে মাত্র ৪/৫ জন ছাত্র নিয়ে আমরা শুরু করলাম। আমি এবং আলী করিম দুই জনই এখান থেকে মাস্টার্স করা। আলী করিম এই ধরনের অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিউইয়র্কে এলসি অনুমোদিত স্কুলের সংখ্যা সাতটি। যার মধ্যে আমরা একটি। জ্যামাইকায় যখন ভালো করছিলাম, আমাদের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। জ্যাকসন হাইটস হচ্ছে ড্রাইভার্স কমিউনিটি। বাঙালিদের পাশাপাশি এখানে অন্যান্য কমিউনিটির লোকজনও রয়েছে। টার্গেট করি জ্যাকসন হাইটস। ২০২২ সালে ৭৪-০৯ ৩৭ অ্যাভিনিউয়ে আমরা আমাদের দ্বিতীয় শাখা শুরু করি। আপনারা জানেন মহামারি পেনডামিকের সময় প্রায় সব স্কুল বন্ধ ছিল, কিন্তু আমাদের স্কুল বন্ধ ছিল না। যদি সেই সময় কাজ করার লোক ছিল না। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের দুই প্রতিষ্ঠান থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার স্টুডেন্ট লাইসেন্স পেয়েছে। লাইসেন্স রিনিউয়ালসহ এই সংখ্যা হবে প্রায় ৩০ হাজার। আতিকুর রহমান বলেন, জ্যাকসন হাইটসে আমাদের এখন পাঁচটি ক্লাসরুম রয়েছে, ভবিষ্যতে আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিটি ক্লাসেই স্টুডেন্ট ভর্তি। বাংলা এবং ইংরেজির ক্লাস রুমে কোনো চেয়ার খালি ছিল না। জ্যামাইকায় তিনটি ক্লাসরুম রয়েছে। তাদের প্রতিষ্ঠানে চারটি ভাষায় ট্রেনিং দেওয়া হয়। যার মধ্যে ইংরেজি, বাংলা, স্প্যানিশ ও রাশিয়ান ভাষা। আগামী দিনে আরবি, উর্দু এবং চাইনিজ ভাষা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। আরবি ভাষা নিয়ে বর্তমানে কাজ চলছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে টিএলটি অনুমোদিত নিউইয়র্কে আটটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে জে ওয়ান ড্রাইভার্স ট্রেনিং স্কুল নম্বর ওয়ান প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের এখানে সপ্তাহে সাতদিনই ক্লাসের সুবিধা আছে। তিনি আরো বলেন, ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে আমরা প্রতিটি ভাষার ছাত্রছাত্রীদের জন্য (টিএলসি অনুমোদিত) আলাদা বই রয়েছে। বাংলাদেশিদের জন্য বাংলা ভাষার বই, যা টিএলসি অনুমোদিত। আমাদের এখানে রয়েছে চারটি ভাষার বই। এখন পরীক্ষা বাংলাতেও দেওয়া যায়। সব মিলিয়ে ৮০টি প্রশ্ন থাকে পরীক্ষায়। এর মধ্যে ৫৬টি উত্তর সঠিক হলেই পাস। আর ফি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফি টিএলসির নির্ধারিত। তবে আমাদের এখানে সুবিধা হলো একজন ছাত্রছাত্রী যতোদিন পর্যন্ত পাস না করবে, ততোদিন পর্যন্ত আমরা তাদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে থাকি। একবার ফি দিলেই হবে। এটাই আমাদের বিশেষত্ব। তিনি বলেন, আমাদের কাজ হলো বাংলাদেশি কমিউনিটিকে সেবা বা সার্ভিস প্রদান করা। ট্রেনিং শেষে আমরা প্রাক-প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা নিয়ে থাকি। এর মধ্যে ২০০ প্রশ্ন থাকে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের যে বইগুলো রয়েছে, সেগুলো ভালোভাবে পড়লে এবং আমাদের শিক্ষকদের ইনস্ট্রাকশন ভালোভাবে ফলো করলে যে কেউ অতিসহজে পাস করতে পারবেন। সোজাকথা, আমাদের প্রতিষ্ঠানে এলে একবার ফি দিয়ে পাস করেই বের হবেন, এটা গ্যারান্টি দিয়ে থাকি। কেউ একবার, হয়তো কেউ দ্বিতীয়বারে আবার কারো তৃতীয়বার পরীক্ষা দিতে হয়। পাস না করা পর্যন্ত ট্রেনিং নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এখানে টিএলসি সংক্রান্ত সব ধরনের ট্রেনিং দেওয়া হয়। আতিকুর রহমান, আলী করিম ছাড়াও এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রয়েছেন সিনিয়র ইনস্ট্রাকটর হিসেবে এমডি আব্দুর রশিদ। মোটামুটি বলা যায়, জে ওয়ান ড্রাইভার্স ট্রেনিং সেন্টারে ইতিমধ্যেই বাঙালিদের গর্বের এবং আস্থার প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

শেয়ার করুন