২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৪:৫৫:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


সংবাদ সম্মেলনে বিদেশি কূটনীতিকদের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী
আমাকে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন শেখাতে হবেনা- শেখ হাসিনা
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-১০-২০২৩
আমাকে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন শেখাতে হবেনা- শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ছবি সংগৃহীত


“তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে কেউই কোন কথা বলেনি। এ ধরনের কোন কথা হয়নি এবং কেউ এ ধরনের কথা আমাকে জিজ্ঞাসাও করেনি।”- কথাগুলো বলেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আজ বিকেলে গণভবনে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ এবং যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর সম্পর্কে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে কেউই কোন কথা বলেননি। এ ধরনের কোন কথা হয়নি এবং কেউ এ ধরনের কথা আমাকে জিজ্ঞাসাও করেনি। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এক অভিজ্ঞতা ২০০৭-০৮ সালে হয়ে গেছে না আমাদের। তারপরেও আবার কেউ তা চাইতে পারে। আর সিষ্টেমটাতো বিএনপিই নষ্ট করে ফেলেছে। কাজেই এরকম কোন কথা হয়নি।


গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে জেইক সুলিভানের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হয়। গত মাসে, তিনি নয়াদিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে সাক্ষাতে ফলপ্রসূ আলোচনা করেন এবং সেলফি তোলেন। প্রধানমন্ত্রী বিএনপি’র আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেন, তাদের যে আন্দোলন সেই আন্দোলনে তো আমরা বাধা দিচ্ছি না। তারা আন্দোলনের নামে লোক সমাগম করে যাচ্ছে, ভাল কথা। এতদিন চুরি চামারি করে যে অবৈধ অর্থ তারা বানিয়েছিল আর যত টাকা মানি লন্ডারিং করেছিল সেগুলোর এখন ব্যবহার হচ্ছে। অন্তত সাধারণ মানুষের হাতে কিছু টাকাতো যাচ্ছে। আমি সেভাবেই বিবেচনা করি। যত আন্দোলন করবে তাতে সাধারণ মানুষের পকেটে কিছু টাকা যাবে। তাই আমি বলেছি কিছু বলার দরকার নেই তারা আন্দোলন করতে থাকুক। কারণ এই টাকাগুলোতো বের হওয়াটাও দরকার।


তিনি আবারও অগ্নিসন্ত্রাস ও মানুষের জানমালের ক্ষতি করার বিষয়ে তথাকথিক আন্দোলনকারিদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যদি মানুষের কোন ক্ষতি করার চেষ্টা করে, ঐ রকম অগ্নিসন্ত্রাস বা নাশকতার প্রচেষ্টা চালায় তাহলে তো ছাড়বোনা। কারণ আমাদের সাথে জনগণ আছে।
তিনি জনগণের ওপর আস্থা রেখে বলেন, আমাদের কিছু করা লাগবেনা। জনগণকে ডাক দিলে তারাই ঠান্ডা করে দিবে। কারণ তারা যখন অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল তখন সাধারণ মানুষই ওদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। এবারও তাই হবে।


এ সময় বিএনপি’র এই অর্থের উৎস সম্পর্কে সাংবাদিকদের খোঁজ নেওয়ারও আহবান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সংবাদ সম্মেলনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং বিএনপি’র আন্দোলন ছাড়াও আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজন, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা, ডেঙ্গু সহ চলমান অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলা, সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন, বিভিন্ন দূতাবাস এবং রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তা প্রদানে সরকারের কার্যকর ভূমিকা সহ আসন্ন দূর্গাপূজাকে সামনে রেখে সাম্প্রদায়িত সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান পুনর্ব্যক্ত করে বিভিন্ন সমকালিন বিষয়ে খোলামেলা সকল প্রশ্নের উত্তর দেন।


তিনি বিদেশি কূটনীতিকদের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এই কথাটা আমি বলেছি তাদেরকে, আমাকে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন শেখাতে হবেনা। কারণ বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রাম আমরা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে করেছি এবং সেটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারপর সেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পেরেছে বলেই জনগণ আমাদের বারবার ভোট দিয়েছে এবং একটানা ক্ষমতায় আছি বলেই আজকে অর্থনৈতিক উন্নতিটা হয়েছে।
‘বিএনপি যা বলে তার সবই মিথ্যা’ অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা যা বলে তার সবই মিথ্যা। মিথ্যা কথায় কেউ কান দেবেন না। মিথ্যা কথায় কেউ বিশ্বাস করবেন না। তাদের জন্মই হয়েছে অবৈধভাবে। আর টিকে আছে মিথ্যার ওপরে। তাদের শেকড় তো নেই। তারা মিথ্যার ওপর নির্ভর করে। এটাই করবে। এটা তাদের অভ্যাস।


জি-২০ সম্মেলন থেকে ‘প্রধানমন্ত্রী খালি হাতে ফিরেছেন’-বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধান বলেন, বিএনপির এই অভিযোগের কোনও উত্তর দিতে চাই না। আমি শুধু দেশবাসীকে বলতে চাই বিএনপির নেতারা একটি মাইক হাতে কীভাবে মিথ্যা কথা বলে সেটা সবাই জেনে নেন। মিথ্যা বলাটা তাদের অভ্যাস আর সব কিছুকে খাটো করে দেখার চেষ্টা, এই বিষয়ে যেন দেশবাসী সচেতন থাকে। তারা যা বলে তার সবই মিথ্যা। মিথ্যা কথায় কেউ কান দেবেন না। মিথ্যা কথায় কেউ বিশ্বাস করবেন না-দেশবাসীর কাছে এটা আমাদের আহ্বান।


সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের সম্পাদকবৃন্দ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা ছাড়াও সরকারের মন্ত্রীসভার সদস্য, সংসদ সদস্যবৃন্দ এবং প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন । এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ সময় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্লাহ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।


করোনা পরবর্তী সময়ে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং পাল্টা-পাল্টি স্যাংশনে সারাবিশে^র মন্দাভাবের উল্লেখ করে সাম্প্রতিক বিভিন্ন দেশ সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত খাদ্য মন্দা। এটা কেউ বলবে কেউ বলবে না। আমি নিজেই তো কয়েকটা দেশ দেখলাম। সেখানে যে কী অবস্থা আমরা জানি। এক পিস মাছ কিনতে বা দুই টুকরো মুরগি কিনতে কত শত টাকা খরচ হয় সেটা তো আমরা নিজে দেখে আসছি। কিন্তু আমরা মানুষের পাশে আছি। যাতে মানুষের কষ্ট না হয়। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ চলছে, প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে গেল। পরিবহন খরচ বেড়ে গেল। আমরা তো তাও খেয়ে পরে আছি। একবার আমেরিকায় বা ইংল্যান্ডে যান, বিভিন্ন দেশে যান, দেখুন সেখানকার মানুষের কী অবস্থা! ওই একটা টমেটো কয়শ’ টাকা দিয়ে কিনতে হয়। একটা রুটি কত দিয়ে কিনতে হয়। সেখানে নির্দিষ্ট করে দেয়া আছে। বেশি জিনিস কিনতে পারবে না। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ শুনলে এখন সবাই আলাদা মর্যাদা নিয়ে তাকায়, উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দেখে। যেটা আগে ছিলনা। আর এটা এমনিতেই হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকারে আছে বলেই যথাযথ পদক্ষেপের ফলে সম্ভব হয়েছে।


রিজার্ভ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার সময় আমদানি বন্ধ ছিল, যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ ছিল। তখন তো রিজার্ভ বেড়েছিল। এরপর যখন সব খুলে গেল, সবকিছু আমদানি শুরু হলো। তখন রিজার্ভ কমবে, এটা তো স্বাভাবিক ব্যাপার। আমরা ২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করি, তখন রিজার্ভ ১ বিলিয়নও ছিল না। ছিল শূন্য দশমিক সাত বিলিয়ন। আমি যখন ’৯৬ সালে সরকার গঠন করি তখন রিজার্ভ ছিল বিলিয়নের নিচে। যেটুকু বেড়েছে, আমাদের সরকারই বাড়িয়েছে।


প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, রিজার্ভ বেশি রাখা বেশি প্রয়োজন, নাকি দেশের মানুষের ভালো, মানুষের জন্য কাজ করা বেশি প্রয়োজন?
তাঁর সরকার বিদ্যুতের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিপুল পরিমান ভর্তুকি কমিয়ে আনার চিন্তা-ভাবনা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদ্যুত ব্যবহার করতেছে সবাই, ভর্তুকির সুযোগ নিচ্ছে অর্থশালী বড়লোকরা। এখন একটা স্লট ঠিক করব কতটুকু সাধারণ মানুষ ব্যবহার করে। তাদের জন্য আলাদা দাম। তার থেকে বেশি যারা করবে তাদের জন্য আলাদা দাম। ইতোমধ্যে আমি নির্দেশ দিয়েছি ওইভাবে একটা স্লট করতে।
তিনি বলেন, সব গুছিয়ে দেওয়ার পর এখন ইলেকশনের কথা, ভোটের কথা, অর্থনীতির পাকা পাকা কথা শুনতে হয়। আমি এসব শুনতে রাজি না। শেখ হাসিনা বলেন, আমার ৭৭ বছর বয়স। ১৫ বছর বয়স থেকে মিছিল করি। এ পর্যন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। বাবা-মা-ভাই সহ পরিবারের সবাইকে হারিয়েছি। আমি এখানে কিছু পেতেও আসিনি, নিতেও আসিনি। আমি এসেছি দেশের মানুষকে দিতে।

আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কী কী অগ্রাধিকার পাবে এমন প্রশ্নে জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের কাছে যাদের গ্রহণযোগ্যতা আছে, সেটাই আমরা বিবেচনায় দেখব, বিবেচনা করব। প্রতি ছয় মাস পর পর আমি কিন্তু সার্ভে করি। কারো পজিশন খারাপ হলে সরাসরি মুখের ওপর বলে দিই। আমরা এ ব্যাপারে সচেতন বলেই নির্বাচনে জনগণের আস্থা পাই, ভোট পাই এবং নির্বাচনে জয়ী হই।


ডেঙ্গু সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু নিজের ঘরবাড়ি না, ছাদ থেকে শুরু করে আশেপাশের অঞ্চল পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। প্রত্যেকটা এলাকাভিত্তিক সবাই যদি একটু উদ্যোগ নেয় তাহলে ডেঙ্গুর প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটা হলো বাস্তবতা। তিনি বলেন, আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে অবশ্যই প্রচেষ্টা আছে, প্রচেষ্টা চলছে। গবেষণাও চলছে। ইতোমধ্যে শুনলাম জাপান নাকি একটা টিকা আবিষ্কার করেছে। এগুলোতো আসলে সময়সাপেক্ষ।


দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি দেশবাসীকে এইটুকু বলব, সবাই নিজের ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখেন। মশারি টানিয়ে ঘুমান। খালি ওষুধ দিয়ে দিয়ে হবে না। ডেঙ্গু মোকাবিলায় কলকাতার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু কলকাতার কথা বলছেন, হ্যাঁ তাদের অভিজ্ঞতাটা আমরা নেব, তারা কীভাবে করলো সেটা। তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এ ব্যাপারে আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যথেষ্ট সচেতন। আমাদের আসলে জাতিগতভাবে একটু সচেতনতা নিজেদের মধ্যে সৃষ্টি করা দরকার। এটা খুব দুঃখজনক এত মানুষ ডেঙ্গুতে মারা যাচ্ছে। তবে আমাদের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় সব তো করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী গণমাধ্যমের মালিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ড সম্পর্কে বলেন, শুধু নিজেরা পয়সা কামালে হবে না, যাদেরকে দিয়ে কাজ করাবেন তাদের (সাংবাদিকদের) ভালো-মন্দ তো দেখতে হবে। ওয়েজবোর্ড আমরা দিয়েছি, এটা কার্যকর করার দায়িত্ব মালিকদের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আপনাদের জন্য সার্ভিস দিয়ে থাকে, কাজ করে। তাদের ভালো-মন্দ আপনাদের তো দেখতে হবে।
তিনি বলেন, মালিকদের আবার কমিটি আছে, তারা আবার সিদ্ধান্ত নেয়। আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে যতটুকু মেসেজ দেওয়ার আমরা দেব। এখানে মালিকদের যা করার তা করা উচিত। তিনি আরও বলেন, আমি ’৯৬ সালে সরকারে এসে আজকের টেলিভিশন রেডিওসহ সব বেসরকারি খাত উন্মুক্ত করে দেই। উন্মুক্ত করেছি বলেই শুধু সাংবাদিক না, শিল্পী, সাহিত্যিক, টেকনিশিয়ানসহ অনেকেই কাজের সুযোগ পেয়েছে। একটা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।


প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে অংশগ্রহণের জন্য ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ নিউইয়র্কে যান। সেখানে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবস্থান করেন। ২৩ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ও ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত যুক্তরাজ্য সফর শেষে গত বুধবার দেশে ফিরে আসেন। তথ্যসূত্র: বাসস।
 

শেয়ার করুন