৩০ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ০২:২০:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬


আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস
সালেক সুফী
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৪-২০২৪
আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস


আজ ১৭ এপ্রিল ২০২৪। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের আরো একটি অনন্য মাইল ফলক দিন। ৫৩ বছর আগে এই দিনে কুষ্টিয়ার মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা আম বাগানে শপথ গ্রহণ করে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার মাত্র ২২ দিন পরে সরকার গঠন ছিল বিশাল অর্জন। সেই থেকে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ প্রবাসী সরকার শত চ্যালেঞ্জ উপেক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে।
 


সেদিন বাগেরহাটে পবিত্র ষাট গম্বুজ মসজিদের পুকুরপাড়ে বসে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে ধারাবিবরনি নিজ কানে শুনেছি। আমি তখন পুকুর পাড়ে কুমীর গুলোকে খাবার দিচ্ছিলাম। স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ,প্রধানমন্ত্রী সহ চার প্রধান নেতাকে কুচক্রী মোহন ৩ নভেম্বর ১৯৭৫ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মম ভাবে হত্যা করলেও অনেকেই বেঁচে আছেন। আমি অগ্রজ এসপি মাহবুব ভাই, বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন কেবিনেট সেক্রেটারি মরহুম নুরুল কাদেরের সহধর্মিনী রোকেয়া কাদেরের কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিবরণী শুনেছি। প্রবাসী সরকারের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রের কথাও জানা আছে।
 


কেন জানি ঐতিহাসিক অনেক ঘটনা ধামা চাপা দেয়া হয়েছে। স্বাধীনতার পর প্রক্রিয়াশীল চক্র নানা ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাজউদ্দীন সাহেবের দুরুত্ব সৃষ্টি করে জাতির অপুরণীয় ক্ষতি করে. নতুন প্রজন্মের উচিত গবেষণা করে সঠিক ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরা। স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালীন মুজিবনগর সরকার পরিচালনার অনেক মৌলিক তথ্য দেখাত সৌভাগ্য আমার হয়েছে। জানি কিভাবে আওয়ামীলীগ, যুব লীগ ,ছাত্রলীগের এক ধরণের ঈর্ষান্বিত নেতা কিছু সরকারি আমলাদের সাথে মিলে প্রবাসী সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল। সেখান থেকেই স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে জাসদ সৃষ্টি ,গণবাহিনী ,বঙ্গবন্ধু হত্যার নীলনকশা সূচনা হয়. প্রকৃত ইতিহাস অবিকৃত ভাবে তুলে ধরা ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম, ডক্টর তোফিক ই এলাহী চৌধুরী বিবি , এসপি মাহবুব বিবি সহ অন্যানদের জন্য পবিত্র জাতীয় দায়িত্ব। পলাশী থেকে মুজিবনগর গ্রন্থে আংশিক আলোকপাত করা হয়েছে। এটিকে ভিত্তি করে পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস সৃষ্টি অপরিহার্য।

শেয়ার করুন