২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৬:২৩:৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু
পাঁচটি ফোবানা সম্মেলন নিয়ে প্রবাসীরা ক্ষুব্ধ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৮-২০২৩
পাঁচটি ফোবানা সম্মেলন নিয়ে প্রবাসীরা ক্ষুব্ধ ফোবানা সম্মেলন নিয়ে বক্তব্য রাখছেন গিয়াস আহমেদ


ফোবানা নামের সংগঠনটি নর্থ আমেরিকা তথা, যুক্তরাষ্ট্রে এখন বিভক্তের মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। সংগঠনটি হওয়ার কথা ছিল প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির ঐক্য ও সংহতির প্রতীক। তা এখন অনৈক্য ও বিভক্তির মডেল। ভাঙতে ভাঙতে তা এসে দাঁড়ালো পাঁচ টুকরোতে। ২০২৩ সালের আগে ছিল ছিল তিন ভাগে বিভক্ত। এখন তা পাঁচটি অংশে বিভক্ত। এসব ফোবানা সম্মেলন আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে আমেরিকা ও কানাডার বিভিন্ন শহরে। এই বিভক্তি নিয়ে কমিউনিটি ক্ষুব্ধ। তাদের ক্ষোভের কারণ হলো বিভক্তি। ফোবানা সম্মেলন নিয়ে এতো বিভক্তি কেন? শুধু নেতৃত্বের কারণেই এই বিভক্তি। এভাবে আর কত দিন চলবে? ফোবানা নিয়ে এভাবে সার্কাস আর কত দিন চলবে? ঐক্যের কথা বলে অনৈক্যের এই খেলা বন্ধ হবে কবে? তারা আরো বলেন, ফোবানা এখন প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য লজ্জার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ফোবানা সম্মেলনেই একসময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি, উপন্যাসিক, নামকরা শিল্পী এবং প্রবাসের মূলধারা রাজনীতিবিদরা অংশ নিতেন। এখন ফোবানা সম্মেলন তামাশায় পরিণত হয়েছে। এই বিভক্তি খেলা বন্ধ করতে হবে, তা না হলে একসময় প্রবাসী বাংলাদেশিরা মুখ ফিরিয়ে নেবেন। এখনো সময় আছে নেতৃত্ব নিয়ে কোন্দল বন্ধ করে, একই ছাতার নিচে আসার।

এবার পাঁচটি ফোবানা সম্মেলনের মধ্যে গিয়াস আহমেদের নেতৃত্বাধীন কমিটি এবং শাহ নেওয়াজের নেতৃত্বাধীন কমিটির ফোবানা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে কানাডার টরন্টোতে। কানাডার মন্ট্রিয়েল, আমেরিকার ডালাসে এবং শরাফত হোসেন বাবুর নেতৃত্বে ওয়াশিংটনে আরেকটি ফোবানা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

গিয়াস আহমেদের সংবাদ সম্মেলন

ফোবানা সম্মেলনের সর্বশেষ প্রস্তুতি, আলী ইমাম ও শাহ নেওয়াজের নেতৃত্বাধীন ফোবানা নিয়ে গত ২৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ জানাতে গত ২৮ আগস্ট সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান গিয়াস আহমেদ, ডা. মাসুদুর রহমান, আবু জোবায়ের দারা, আসেফ বারী টুটুল, খন্দকার ফরহাদ, মোহাম্মদ মহসীন, আজাদ হোসেন, কাজী তোয়ায়েল ইসলাম, মফিজুর রহমান রুমি, রিয়াজ রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে গিয়াস আহমেদ বলেন, গত ২৩ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করে আলী ইমাম, শাহ নেওয়াজ এবং মোহাম্মদ হোসেন খানরা মিথ্যাচার করেছেন। গিয়াস আহমেদ বলেন, ১৯৮৮ সাল থেকে আসরা কমিউনিটি এবং ফোবানার সঙ্গে জড়িত। অনেকে তখন কমিউনিটিতেও ছিলেন না। গত বছরের আগের বছর ওয়াশিংটন ফোবানা সম্মেলন আমরা দিতে না করেছিলাম, কিন্তু তারা দিয়ে সেখান থেকে অপমান হয়ে এসেছেন। সেই সম্মেলনে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার কথা ছিল। মোহাম্মদ হোসেন খানরা পুরো কমিটি না করে ১৩ সদস্যের কমিটি করেছিলেন এবং বলেছিলেন নিউইয়র্কে এসে পরবর্তী নাম সংযোজন করবেন। কিন্তু ওয়াশিংটন থেকে আসার পর তিনি কোনো মিটিংই করেননি। তিনি বলেন, গত বছরের মন্ট্রিয়েল সম্মেলনে আমাকে চেয়ারম্যান করা হয়। সম্মেলনে আমাদের লোকজনই বেশি ছিলেন। তারপরও সমঝোতার খাতিরে শাহ নেওয়াজকে সদস্য সচিব করা হয় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পরবর্তীতে বছর শাহ নেওয়াজকে চেয়ারম্যান করা হবে। আমরা সবাই সেখানে স্বাক্ষর করি। আলী ইমাম সাইন করেছেন, আমি সাইন করেছি, তৌফিক এজাজ সাইন করেন, আবু জোবায়ের দারা সাইন করেন। এখন তারা বলছেন, আমরা কমিটি করতে ব্যর্থ হয়েছি। তিনি একটি পত্রিকার কাটিং দেখিয়ে বলেন, আলী ইমামের নেতৃত্বে সভা হয় এবং ৯ জনকে কো-অপ করা হয়। সেই কমিটির কেউ জানেন না, আমি ইমামকে কীভাবে চেয়ারম্যান করা হলো? চেয়ারম্যান হিসেবে আমিও জানি না। তাছাড়া আমি তাকে ফোন বা মেসেজ করিনি বলে যে তথ্য দিয়েছেন তা-ও সত্য নয়। আমি তাকে বারবার ফোন করেছি এবং মেসেজ করেছি। আমি কাজ করিনি, এটা কীভাবে বলেন? আমরা মিটিং করে কানেকটিকাটে সম্মেলন দিই, গঠনতন্ত্র তৈরি করি, কমিটি করার জন্য একাধিক বৈঠক করেছি। কমিটি করতে গিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ নিয়ে আমাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। সেই বিরোধও শেষ হয় শাহ নেওয়াজের অনুষ্ঠানে আমরা যখন যোগ দিই। তিনি বলেছিলেন আমিই চেয়ারম্যান। পরবর্তীতে আমরা সঙ্গে যোগ না করলে তিনি অবৈধ চেয়ারম্যান নিয়োগ করেন আর স্ট্রিয়ারিং কমিটির অধিকাংশ সদস্য আমাদের সঙ্গে তিনি বা তারা কীভাবে সিদ্ধান্ত নেন? কীভাবে আলী ইমামকে নিয়োগ দেন? এটা আসলে পুকুর চুরি নয়, সাগর চুরি।

ডা. মাসুদুর রহমান বলেন, ফোবানা স্ট্রিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান গিয়াস আহমেদ। তারা এখন মিথ্যাচার করছে। কারণ সব সিদ্ধান্তে তাদের স্বাক্ষর রয়েছে। মিথ্যাচার যারা করে তাদের সঙ্গে থাকা যায় না।

আবু জোবায়ের দারা বলেন, আমি এখনো সমঝোতার পক্ষে। আমরা সবাই বন্ধু মানুষ, কারো বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাই। সবচেয়ে বড় কথা হলো আমি দলাদলি পছন্দ করি না। তিনি বলেন, আমাদের ফোবানা সম্মেলনের উদ্বোধন হবে হোটেল অপিটোরিয়ামে, হবে সেমিনার। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দিনে স্ট্রিট ফেয়ার হবে। আশা করছি, ১৫ হাজার মানুষ হবে। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সত্যের পক্ষে থাকেন, আমরা যদি সত্য না হয়ে থাকি, আমাদের দিক ত্যাগ করেন। এখন পাঁচটি ফোবানা হচ্ছে, আগামী দিনে ঘরে ঘরে ফোবানা হবে।

শেয়ার করুন