০৬ মে ২০১২, সোমবার, ০২:৫৯:১৬ পূর্বাহ্ন


যুক্তরাষ্ট্রের রিপোর্ট নির্মমতা ও অবিচারের বহিঃপ্রকাশ : রিজভী
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৪-২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের রিপোর্ট নির্মমতা ও অবিচারের বহিঃপ্রকাশ : রিজভী রুহুল কবীর রিজভী


যুক্তরাষ্ট্রে সদ্য প্রকাশিত মানবাধিকার প্রতিবেদনে ‘বাংলাদেশে সরকারের অবিচার-নির্মমতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন রুহুল কবির রিজভী। গত ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বার বার আপনাদের (গণমাধ্যম) কাছে যে কথাগুলো বলে আসছি, এই সরকারের দমন-পীড়ন, নির্মমতা-নির্দয়তা, গুম-খুনের রক্তাক্ত যে আলপনা তিনি (শেখ হাসিনা) এঁকেছেন দেড় দশক ধরে আমরা সেটা বার বার বলেছি। এটা এখন বস্তাবন্দি করে চেপে রাখার কোন সুযোগ নেই। গোটা গণতান্ত্রিক বিশ্বে শেখ হাসিনার এই অবিচার-অন্যায়-রক্তপাতের বিষয়গুলো আস্তে আস্তে বের হচ্ছে এবং গোটা পৃথিবীতে এটা নিয়ে ধিক্কার উঠেছে।’ 

রিজভী বলেন, রিপোর্টে বাংলাদেশের গুম, খুন, গুপ্তহত্যা, কারানির্যাতনসহ ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সেখানে আরও বলা হয়েছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনে নাগরিকদের অধিকার হরণ করা হয়েছে। বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন অবনতিশীল মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বলা হয়েছে। রিপোর্টে একটা অবধারিত সত্য কথা উঠে এসেছে- সেটা হচ্ছে দৃশ্যমান ঘটনা, অবিচার, কি নির্মমতা সেটা আজকে বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশের প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্টের ব্রিফিংয়ে মি. গিলক্রিস্ট বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলেছেন। তিনি বলেছেন, এই পলিটিক্যাল প্লাই টু রিমুভ দি লিডার অব দি অপজিশন ফর্ম দি ইলেক্টরাল প্রসেস। বেগম খালেদা জিয়া যাতে ইলেক্টোরাল প্রেসেসে নির্বাচনে অংশ করতে না পারেন এই কারণে এই ষড়যন্ত্র- এই প্লাইটা করা হয়েছে এমনকি এজ মাল্টিপল করাপশন চার্জেস এগেনেস্ট প্রাইমিনিসটার ওয়ার ব্রট বাই দি প্রসিকিউটার।” তিনি বলেন, ‘এই যে এক-এগারোতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে ৪টি মামলা দিয়েছিলো আর শেখ হাসিনার নামে ১৫টি মামলা। কিন্তু ক্ষমতার জোর এতবেশি সেখানে আইন-কানুন-আদালত কোনো কিছুর প্রয়োজন হয় না। শেখ হাসিনার ভয়ে কম্পমান আইন-আদালত-প্রশাসন তারা উনি যা বলেছেন তাই হয়েছে। দেশনেত্রীর নামে মিথ্যা মামলাগুলোকে তারা আইনি প্রক্রিয়ায় সাজা দিয়েছে। আর শেখ হাসিনার নামে যে ১৫টি মামলা সেটা একেবারে তার হুমকির কালবৈশাখীর ঝড়ে সেটা আকাশে কর্পূরের মতো মিলিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা এই বিষয়গুলো অনেকবার বলেছি- সেটা এবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। জনগণ এটা বিশ্বাস করতো বেগম খালেদা জিয়া সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার, বেগম খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার বিদ্বেষের শিকার, শেখ হাসিনার অশুয়ার সেটা এখন গণতান্ত্রিক বিশ্ব যারা খুব অবজেক্টলি পর্যবেক্ষণ করছেন তারা সেগুলো তুলে ধরছেন।” 

উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল সোমবার যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ২০২৩ সালে মানবাধিকার পরিস্থিতির বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

শেয়ার করুন