৩০ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ৬:৪৯:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে এবার বন্দুকধারীর গুলিতে তিন আইনশৃংলাবাহিনীর সদস্য নিহত ‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ


উদীচীর চ্যালেঞ্জে মর্মাহত সরকার
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৪-২০২৪
উদীচীর চ্যালেঞ্জে মর্মাহত সরকার উদীচীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান


জননিরাপত্তার স্বার্থে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দেয়া নির্দেশনা- অমান্য করার দুঃসাহস দেখাল উদীচী শিল্পগোষ্ঠী। পয়েলা বৈশাখ বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে এমন দুঃসাহস দেখানো নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করছে সুধীজন। এটা যে এমনি এমনি হয়েছে তাও না। ঘটা করে পূর্বপ্লাণ করেই এ আইনশৃংখলা বাহিনীর নির্দেশনাকে উপেক্ষা করা ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ওই সিদ্ধান্তকে হটকারী এবং উদ্দেশ্যমূলক বলে এক ধরনের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে সরকারকে।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই নয়, বহু আগ থেকেই আইনশৃংখলাবাহিনীর একটি নির্দেশনা রয়েছে, কোথাও অনুষ্ঠান বা রাজনৈতিক প্রগ্রাম করতে হলে আইনশৃংখলাবাহিনীর অনুমতি প্রয়োজন। কারণ প্রতিটা অনুষ্ঠানের জননিরাপত্তাদানের একটা বিষয় রয়েছে। দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি, এমনকি টানা চারবার সরকার গঠন করা দল আওয়ামী লীগও আইনশৃংখলাবাহিনীর অনুমতি ব্যাতিরেকে কোনো অনুষ্ঠান করার চিন্তা করে না। সংশ্লিষ্ট আইনশৃংলাবাহিনীর দ্বারস্ত হন অনুমতি লাভে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বা তাদের প্রতিনিধিগণ। সেখানে উদীচী কেন এমন রীতি ভাঙতে চায় এবং ঘটা করে অনুষ্ঠান করে নাটিকা করে রীতি ভাঙলো সেটা রহস্যজনক। এমন দুঃসাহসের নেপথ্যে কী সেটা নিয়েও জনমনে আলোচনা। 

এটা নিয়ে সরকারও বিব্রত। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। 

ঘটনার সূত্রপাত

সাম্প্রতিককালের ন্যায় এবারও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়, নিরাপত্তার স্বার্থে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা। এর কারণ সর্বপর্যায়ে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর অনুষ্ঠান শেষ করার লক্ষ্যে আইনশৃংখলাবাহিনীর যে প্লান সেটা সুচারুভাবে সম্পাদন। কিন্তু উদীচী শিল্প গোষ্ঠী এ নিয়ম তো মানেইনি বরং এটাকে হঠকারী সিদ্ধান্ত বলে বক্তব্য দিয়েছে। এবং বর্ষবরণের জন্য সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় মানেনি বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। বেঁধে দেওয়া সময়ের পরও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছে সংগঠনটি। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা 

পয়লা বৈশাখকে কেন্দ্র করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, রাজধানীর রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল, রবীন্দ্র সরোবরসহ বর্ষবরণের অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে শেষ করতে হবে। অপরদিকে গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, বর্ষবরণের সব আয়োজন বিকেল পাঁচটার মধ্যে শেষ করা হবে। এটাই ছিল নির্দেশনা। 

উদীচীর নিন্দা 

পয়লা বৈশাখ বাংলা বর্ষবরণ আয়োজনের সময় সংকোচনের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। উদীচীর নেতারা বলেছেন, সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত অযাচিত, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নয়। তাই এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন তারা। 

৩১ মার্চ রোববার উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কয়েক বছর ধরেই বর্ষবরণ উৎসবকে নির্দিষ্ট সময়ের ঘেরাটোপে বেঁধে দেওয়ার একতরফা পদক্ষেপ নিয়ে আসছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও সারা দেশে পয়লা বৈশাখের সব উন্মুক্ত অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে শেষ করার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত প্রকৃতপক্ষে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির কাছে নির্জলা আত্মসমর্পণ ছাড়া কিছুই নয়। উদীচী মনে করে, এর মাধ্যমে পক্ষান্তরে আবহমান বাংলার সংস্কৃতিবিরোধী শক্তিকেই আশকারা দেওয়া হচ্ছে।’ 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পয়লা বৈশাখ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব। ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি নির্বিশেষে সব মানুষের মিলিত এই উৎসব এ ভূখণ্ডের চিরায়ত ঐতিহ্য, মূল্যবোধ ও জাতীয় চেতনা বিকাশে অনন্য ভূমিকা পালন করে। এ উৎসবের সময় নিয়ন্ত্রণ করা হলে অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ চেতনাসম্পন্ন মানুষকে ঘরে বন্দী করতে যে মৌলবাদী অপতৎপরতা চলছে, তাকেই সহায়তা করা হবে। 

তারা বলেছেন, পয়লা বৈশাখ নববর্ষ অনুষ্ঠান আয়োজনে এবং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার অবাধ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা সরকারের দায়িত্ব। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন উদীচী নেতারা।

বেঁকে বসলো উদীচী 

সময় সংকোচনের এমন নিয়ম ভাঙ্গতে পূর্বপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যায় উদীচী। এমনকি শেষ পর্যন্ত নিয়ম তো ভঙ্গ করেই, এবং সেটা ঘটা করে জানান দিয়ে। উদীচী ব্যানারে লিপিবদ্ধ করে ‘বর্ষবরণ মানে না শৃঙ্খলা’। এমন শিরোনামে সন্ধ্যায় শাহবাগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। সন্ধ্যা ছয়টায় শুরু হওয়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ হয় সন্ধ্যা সাতটার দিকে। তবে অতিরিক্ত সময়ে অনুষ্ঠান করায় আইনশৃংখলাবাহিনী কোনো বাধা দেয়নি। শাহবাগে উক্ত অনুষ্ঠানের সূচনা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। শুরুতেই সময় সংকোচনসহ দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একটি নাটিকা পরিবেশন করেন উদীচীর শিল্পীরা। এরপর একক সংগীত পরিবেশন করেন হাবিবুল আলম, হরেকৃষ্ণ দেবনাথ ও সাজেদা বেগম। 

উদীচীর নেতৃবৃন্দ যা বললেন 

উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করতে যেয়ে বলেন, কয়েক বছর ধরেই বর্ষবরণ উৎসবকে নির্দিষ্ট সময়ের ঘেরাটোপে বেঁধে দেওয়ার একতরফা পদক্ষেপ নিয়ে আসছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও সারা দেশে আয়োজিত পয়লা বৈশাখের সব উন্মুক্ত অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে শেষ করার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু উদীচী মনে করে, এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ হঠকারী সিদ্ধান্ত, যা সাম্প্রদায়িক অপশক্তির কাছে নির্জলা আত্মসমর্পণ ছাড়া কিছুই নয়। এর মাধ্যমে পক্ষান্তরে আবহমান বাংলার সংস্কৃতিবিরোধী অন্ধকারের শক্তিকেই আশকারা দেওয়া হচ্ছে। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উদীচীর সহসভাপতি হাবিবুল আলম। তিনি বলেন, পয়লা বৈশাখ আবহমান বাংলার এক অনন্য অসাম্প্রদায়িক উৎসব। এ উৎসবকে অযথা সীমিত করার অপচেষ্টা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। উদীচীর সম্পাদকম-লীর সদস্য আরিফ নূর অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। 

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত 

জননিরাপত্তার স্বার্থে সরকারের জারি করা নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ও নেতিবাচক বিবৃতি দেওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে পহেলা বৈশাখে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ও এ বিষয়ে বিবৃতি দেওয়া প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, সরকারের নিরাপত্তাবিষয়ক সংস্থা পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যে নির্দেশনা জারি করেছিল সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান করা ছিল হঠকারী ও দুঃখজনক। তাদের এই আচরণে সরকার খুবই ব্যথিত ও মর্মাহত। তিনি আরও বলেন, পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলে এবং যশোরের উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং অনেকে পঙ্গু হয়েছে। হলি আর্টিজান, শোলাকিয়া ময়দান ও সিলেটে ঈদের জামাতের জঙ্গি হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে পুলিশের কয়েকজন সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং জনগণের জীবন বাঁচিয়েছেন। প্রতিটি অনুষ্ঠানে সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সবসময় সতর্ক থাকায় নিকট অতীতে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি হামলা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে পারেনি। এই বিষয়ে সরকার সবার সহযোগিতা কামনা করে। 

তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৯৩ সালে ১৪০০ বঙ্গাব্দে, বাংলা শতবর্ষ বরণ করার সময় বেগম খালেদা জিয়া সরকার বাধা দিয়েছিল। তাদের বাধা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল নিরাপত্তাজনিত নয় বরং বাঙালির সার্বজনীন, অসাম্প্রদায়িক এই উৎসবকে নিরুৎসাহিত করা। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সব সংগঠনসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা আমরা সবাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেছিলাম। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের কর্তব্য। আশা করব এক্ষেত্রে সবাই সবসময় সহযোগিতা করবেন যাতে আনন্দের অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়। 

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যে অনুষ্ঠান উদীচী করেছে সেখানে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটত তার দায়-দায়িত্ব কে নিত এ প্রশ্ন রেখে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা মনে করি নিয়ম বা নির্দেশ না মেনে অনুষ্ঠান যারা করবেন তাদেরই সেই দায়-দায়িত্ব নিতে হবে। 

সবশেষ

সরকার বিরোধী দলের অনেক অনুষ্ঠান জননিরাপত্তার স্বার্থে করতে না দেয়ার ঢের উদহারণ রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে এমন বহু অনুষ্ঠান অনুমতি চেয়েও পায়নি সরকার বিরোধী দল। বিএনপির বিভাগীয় সম্মেলনের শেষটি যেটা ঢাকায় কেন্ত্রীয় কার্যালয়ের সম্মুখে (পল্টন) অনুষ্ঠানের জন্য অনুমতি চাইলে আইনশৃংখলাবাহিনী সেটা শেষ পর্যন্ত দেয়নি। বিএনপিকে গোলাপবাগ মাঠে অনুমতি দেয়। অনুমতি না পেয়ে ঢাকার প্রবেশদ্বারে বিএনপির অবস্থান ধর্মঘট পুলিশ বেড়ধক লাঠিপেটা করে পণ্ড করে দেয়। বিএনপির নেতাকর্মীদের পিটিয়ে আহত করে এবং অনেকজনকে আটক করে নিয়ে যায়। 

ফলে বেশ ক’বছর ধরেই আইনশৃংলাবাহিনীর অনুমোদন নিয়ে অনুষ্ঠান করার রীতি বেশ প্রশংসা কুড়ায়। এতে করে আগে যেসব জঙ্গি হামলা হয়ে থাকতো সেগুলোও ব্যাপক হারে হ্রাস পায়। এ ক্ষেত্রে আইনশৃংখলাবাহিনীর প্রশংসাও করেন অনেকেই। এমনি মুহূর্তে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় তথা সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে উদীচীর অনুষ্ঠান করা কী বার্তা দিল সেটা এখন সবার মুখে মুখে। একই সঙ্গে এ নির্দেশনা ভাঙতে যে অনুষ্ঠানের শিরোনাম ‘বর্ষবরণ মানে না শৃঙ্খলা’ ছাড়াও উদীচীর নেতৃবৃন্দের সরকারকে উদ্দেশ্য করে যেসব বক্তব্য দিয়েছেন সেটা ব্যাপক রহস্যের জন্ম দিয়েছে।

শেয়ার করুন