২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৬:৫৫:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


চট্টগ্রাম এসোসিয়েশনের বনভোজন
ফ্লাশিং ম্যাডোস করোনা পার্ক যেন এক খণ্ড চট্টগ্রাম
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৮-২০২৩
ফ্লাশিং ম্যাডোস করোনা পার্ক যেন এক খণ্ড চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম এসোসিয়েশনের বনভোজনের দৃশ্য


গত ৫ আগস্ট শনিবার কুইন্সের ফ্লাশিং ম্যাডোস করোনা পার্কে অনুস্টিত হয়েছে চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন অব নর্থআমেরিকার বার্ষিক বনভোজন, ম্যাডো লেকের পাশ ঘেষে গাছের ছায়া ঢাকা মনোরম পরিবেশে প্রায় ২ সহস্রাধিকচট্টগ্রামবাসীসহ প্রবাসের অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে মনে হয়েছিল এ যেন এক খন্ড চট্টগ্রাম। নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, কানেক্টিকাট এবং পেনসিলবেনিয়াসহ বিভিন্ন স্টেট থেকে অসংখ্য চট্টগ্রামবাসী এই মিলনমেলায় উপস্থিত ছিলেন। চট্টগ্রাম সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য থেকে শুরু করে সংগঠনের সকল স্তরের সাবেক কর্মকর্তা, শুভাকাঙ্খি, সাধারণ চট্টগ্রামবাসীর উপস্থিতিতে বনভোজন স্থল একটি পরিপূর্ণ মিলমেলায় পরিণত হয়েছিল। 

এই বনভোজনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল বনভোজনে অংশ নিতে কোন চাঁদা দিতে হয়নি অর্থাৎ সাধারণ চট্টগ্রামবাসীর জন্য এটি ছিল সম্পূর্ণ একটি ফ্রি বনভোজন। যা প্রবাসে খুবই বিরল। 

ছোট বাচ্চাদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, মহিলাদের পিলো পাসিং এবং পুরুষদের হাঁড়ি ভাঙ্গা প্রতিযোগিতা ছিল অনেক উপভোগ্য। সারাদিন খেলাধুলা, খাওয়া-দাওয়া, ঘুড়ি উড়ানো ছাড়াও আকর্ষণীয় বিষয় ছিল র‌্যাফেল ড্র। মোট সতেরটি আকর্ষণীয় পুরস্কারের এই ড্র অনুষ্ঠানটিতে সকলের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। 

দুপুর ১টা ৩০ মিনিট নাগাদ বিপুল সংখ্যক চট্টগ্রামবাসীর করতালির মধ্যদিয়ে সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে বেলুন উড়িয়ে বনভোজনের উদ্বোধন করা হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের পূর্বে এই বনভোজনকে সফল করার পিছনে যে সকল অনুদান দাতা এতবড় একটি অনুষ্ঠান সফল করার পিছনে অবদান রেখেছেন তাদেরকে সম্মানিত করা হয়েছে। তারা প্রত্যেকে তাদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন এবং সব সময় এই রকম বড় অনুষ্ঠানের পাশে দাঁড়াবেন বলে উল্লেখ করেন। 

সংগঠনের সাবেক এবং বর্তমান কর্মকর্তারা সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য প্রদান করেন। সাবেক কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুর রহিম, সাবেক সভাপতি কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার সৈয়দ এম রেজা, ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক কো-চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের নব নির্বাচিত সদস্য শাহাজাহান সিরাজী, আজীবন সদস্য আবুল কাশেম ভুঁইয়া, সাবেক সভাপতি সরোয়ার জামান চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ রিজভী চৌধুরী, সাবেক উপদেষ্টা জসিম উদ্দীন, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ জাফর, সাবেক নির্বাচন কমিশনার রুহুল আমিন হোসেন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুজিবুল হক, সাবেক নির্বাচন কমিশনার আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, সাবেক কর্মকর্তা কামাল হোসেন মিটু, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মফজল আহমদ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার জয়নাল আবেদিন, সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, আলী আকবর বাপ্পী, সৈয়দ করীম (মানু), মোহাম্মদ শওকত, দিলীপ বডুয়া, সাধন কর প্রমুখ।

উল্ল্যেখ্য সংগঠনের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ট্রাস্টি বোর্ড চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ অসুস্থতার কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি কিন্তু তিনি সকলের কাছে তার সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।

অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি নেতা গিয়াস আহমেদ, ডেমোক্রেট ডিস্ট্রিক্ট  লিডার এট লার্জ এটর্নী মঈন চৌধুরী, নিউইয়র্ক স্টেট এসেম্বলী মেম্বার জেনিফার রাজকুমারের প্রধান সহকারী, বাংলাদেশী লিয়াজন মোহাম্মদ আলী,  কমিউনিটি নেতা হারুন ভুঁইয়া, আশা হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট আকাশ রহমান, সিপিএ শেখ ফরহাদ, কর্নফুলি ট্রাভেলসের সত্বাধিকারি মোহাম্মদ সেলিম হারুন, কর্নফুলী ট্যাক্সের প্রতিনিধি জিনিয়া, এটর্নী রুমা জান্নাতুল, রিয়েলটর সরোয়ার খান বাবু, লায়ন্স ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান জিলানী, রিয়েলটর মাসুদ সিরাজী, সুলতানা ও সমিরুল বাবলু প্রমুখ।

অন্তবর্তীকালীন কমিটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে মনির আহমেদ, মেহবুবর রহমান বাদল, মাকসুদুল হক চৌধুরী, নুরুল আনোয়ার, আহসান হাবীব, আবু তাহের, তারিকুল হায়দার চৌধুরী, সুমন উদ্দীন ও মোহাম্মদ হারুন।

বনভোজন কমিটির আহবায়ক আবুল কাসেম (চট্টলা) ও সদস্য সচিব মীর কাদের রাসেল, প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সেলিম ও সমন্বয়কারী ইকবাল হোসেন ভুইয়া উপস্থিত থেকে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। 

শেয়ার করুন