২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৯:২০:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


দেশকে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম
উন্নয়নে মানুষের ক্ষিধা মেটেনি
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-১১-২০২৩
উন্নয়নে মানুষের ক্ষিধা মেটেনি সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম


বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (বীর প্রতীক) বলেছেন, এসব উন্নয়নের কারণে মানুষের পেটের ক্ষিধা মিটেনি। বাংলাদেশে নিত্য প্রয়োজনীয় মূল্য যেভাবে বাড়ছে সেব্যাপারে তারা কেউ মুখ খুলছে না, খালি উন্নয়নগুলি দেখাচ্ছে। আমেরিকা থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সাথে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ। 

দেশ : দেশে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একদিকে বিএনপিসহ সমমনারা আন্দোলন করে যাচ্ছে, দিচ্ছে একের পর এক বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি। কিন্তু ক্ষমতাসীন সরকার বিএনপি’র দাবি বা আন্দোলনকে কোনোভাবেই গুরুত্ব দিচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আবারো একতরফা নির্বাচন করে ফেলবে। এব্যাপারে আপনার মন্তব্য বা বক্তব্য কি?

সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম : বর্তমান রাজনৈতিক সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এমন সংঘাতময় পরিস্থিতি থেকে বের হওয়া খুবই কঠিন। ২৮ অক্টোবরে একদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার রাজধানীতে সমাবশে করার অনুমতি দিয়েছে। অন্যদিকে তারা বিশাল উস্কানিমূলক ফাঁদ পেতে রেখেছিল যেনো বিএনপি’কে তাতে আটকাতে পারে। অন্যদিকে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনকে প্রচার করা হচ্ছে যে এরা সারাদেশে জ্বালাও পোড়াও আন্দোলন করে যাচ্ছে। মিথ্যা মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে এদের বিরুদ্ধে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমাদের মূল্যায়ন হচ্ছে এসব জ্বালাও পোড়াও সরকার এবং সরকারের বাহিনীগুলি করছে। সরকারের সঙ্গে আছে এমন রাজনৈতিক দল করছে। কিন্তু বিভিন্ন ক্ষেত্রে কিছু লোক এবং সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি বলে যাচ্ছে এসব জ্বালাও পোড়াও বিএনপি জামায়াতের লোকজন করে যাচ্ছে। আমি এধরনের মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানাই। এর পাশাপাশি আমি বিশ্বাস করি সরকারের এমন মিথ্যাচার দমনপীড়ন শুরু করেছে এটা চূড়ান্ত আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে। এবং শেষ পর্যায় হলেও সরকার মেনে নেবে যে দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রয়োজন। আমরা সেই আশায় আছি। 

যে সমস্ত গণতান্ত্রিক দেশ যারা বাংলাদেশ ও দেশটির গণতন্ত্রকে ভালোবাসে তাদের অভিমত এবং কার্যক্রম আমাদের সমস্যা সমাধানে একটি বড়ো উপাত্ত। সরকার এবং সরকারের রাজনৈতিক দল এবং আমলাতন্ত্রের মধ্যে সেসকল ব্যক্তিবর্গ আছেন যারা সহমর্মী, শান্তিপ্রিয়.যারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রে বিশ্বাসী তাদের অভিমত আমাদের জন্য দ্বিতীয় উপাত্ত। এছাড়া নির্যাতন নিপীড়ন মামলা মোকাদ্দমা হুলিয়া মাথায় নিয়ে যারা আন্দোলন করে যাচ্ছেন তারা তাদের ধৈষ্য এবং সাহস আমাদের জন্য তৃতীয় উপাত্ত। এ তিনটি উপাত্তের বিনিময়ে আমরা মূল লক্ষ্যতে পৌঁছাতে পারবো বলে বিশ্বাস করি। 

দেশ: আপনি মনে করে পশ্চিমারা সমর্থন দিয়েছে বা তাদের সমর্থনের আশায় রয়েছেন আপনারা। পুরো দেশবাসি কি আছে বিরোধী দল বা আপনাদের সাথে?

সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম : বাংলাদেশের চারভাগের তিনভাগের মতো লোক বিশ্বাস করে যে এই সরকারা ইচ্ছাকৃতভাবে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করেছে। এবং বাংলাদেশর মানুষ বিশ্বাস করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায় সরকার না এলে তারা সরকার গঠনে নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে পারবে না। ভোটদানের আনন্দ বা সুযোগ পাবে না। এটা দেশের চারভাগের মধ্যে তিনভাগ মানুষ বিশ্বাস করে। কিন্তু সকল নিরস্ত্র নিরীহ লোক রাজপথে নামে না। এটাও মাথায় নিতে হবে। 

দেশ: না-কি বিষয়টি এরকম যে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জনগণ ভাবছে অন্যরা ক্ষমতায় এসে আর কি দেবে? তাদের শাসনামলওতো দেশবাসি দেখেছে...। একারণে বিএনপিসহ সমমনাদের ডাকে রাজপথে মানুষ নেমে আসছে না যা এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে দেখা গেছে..

সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম : বাংলাদেশে কিছু ভৌত কাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। এধরনের কিছু উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নির্বাচনের আগে প্রকাশ্যে উন্মুক্ত করা হচ্ছে। যাতে মানুষের চোখে ভাসে। কিন্তু এসব উন্নয়নের কারণে মানুষের পেটের ক্ষিধা মিটেনি। কিন্তু বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় মূল্য যেভাবে বাড়ছে সেব্যাপারে কিন্তু কেউ মুখ খুলছে না। তারা খালি উন্নয়নগুলি দেখাচ্ছে। অনেক ভৌত উন্নয়ন হয়েছে। এটাও বাস্তব।

শেয়ার করুন