বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয় সম্পাদক শিল্পী বেবি নাজনীনের মমতাময় মা আদিবা মনসুর অতি সম্প্রতি ইন্তেকাল করেছেন। তার মায়ের রুহের মাগফেরাত কামনা করে গত ১৩ মে সন্ধ্যায় উডসাইডের কুইন্স প্যালেসে এক বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। শিল্পী বেবি নাজনীনের আয়োজনে এই দোয়া মাহফিলে শিল্পী বেবি নাজনীন ছাড়াও বক্তব্য রাখেন তার বোন লিলি সাবরিন এবং তার পুত্র সন্তান মহারাজ অমিতাব সাঈদ।
বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ইমাম মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ। দোয়া পূর্বে তিনি বাবা মার হক এবং সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় তিনি বলেন, যাদের বাবা মা এখনো জীবিত আছে তাদের অন্যের কাছে গিয়ে দোয়া চাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। তিনি কোরআন হাদিসের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, আমাদের ধর্মে বলা হয়েছে একমাত্র মায়ের পায়ের নিচেই সন্তানের বেহেস্ত। অন্য কারো পায়ের নিচে নয়। সুতরাং যাদের বাবা মা এখনো বেঁচে আছেন তাদের খেদমত করুন।
অনুষ্ঠানে বেবি নাজনীন তার মায়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, আপনারা জানেন তিনি ছিলেন ক্যান্সার আক্রান্ত। তার পরেই তিনি আমাদের সাহস দিতে। মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলতেন। তিনি জানেন আমি শিল্পী মানুষ এবং রাজনীতি প্রিয়। তাই তিনি আমাকে কোথাও যেতে বারণ করতেন না। কিন্তু দু:খের বিষয় হলো রাজনীতির কারণেই তাঁর মৃত্যুর সময় আমি পাশে থাকতে পারিনি। আমি গিয়েছিলাম জাপানে একটি অনুষ্ঠান করতে। আমি জাপানে নামার পর কেউ আমাকে কিছু বলেনি, সবার মনে যেন কেমন ছিলো। পরে অবশ্য আমি ট্যাক্সড পেয়ে জানতে পারি। তিনি অনুষ্ঠান সফল করার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
লিলি সাবরিন বলেন, আমার মা ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। একদিন তিনি আমাকে চুল আচরাতে বললেন, চুল আচরাতে গিয়ে আমি দেখি চিরুনীতে অর্ধেক চুল চলে এসেছে। এটা দেখে আমি কাঁদছিলাম। তিনি আমাকে সান্ত¦না দিয়ে বললেন, তুমি কাঁদছো কেন? এটাতো জানা কথা। তার কথা শুনে আমি বাকরুদ্ধ হয়েগিয়েছিলাম। আপনারা আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন।
মহারাজ অমিতাব সাঈদ বলেন, আমার নানী ছোট বেলায় আমাকে খুব আদর করতেন। তার ¯েœহ এবং আদরে আমি বড় হয়েছি। তার এভাবে চলে যাওয়া আমি কোনভাবেই মেনে নিতে পারছি না। দেশে গেলেই তার সাথে আমার দেখা হতো। এবার আমি কার সাথে দেখা করবো। আপনারা সবাই আমার নানীর জন্য দোয়া করবেন।
দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সবেক সভাপতি আব্দুল মালেক, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ স¤্রাট, জিল্লুর রহমান জিল্লু, মিজানুর রহমান মিল্টন ভুইয়া, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, সাবেক সহ সভাপতি শরাফত হোসেন বাবু, কোষাধ্যক্ষ জসীম ভুইয়া, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মাওলানা অলিউল্যাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, নিউইয়র্ক মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি আহবাব চৌধুরী খোকন, সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজম, এবাদ চৌধুরী, মোশাররফ হোসেন খোকন, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক, যুব দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জতিক বিষয়ক সম্পাদক আবু সাঈদ আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সাইফুর খান হারুণ, বারী হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট আসেফ বারী টুটুল, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিলাল চৌধুরী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মিসবাউজ্জামান, জাহাঙ্গীর হোসাইন, দেওয়ান কাওছার, গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট শাহ নেওয়াজ, বাংলা সিডিপ্যাপের সভাপতি ড. আবু জাফর মাহমুদ, বিশিষ্ট রিয়েল এ্যাস্টেট বিজনেসম্যান নূরুল আজিম, বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী রানো নেওয়াজ, রিজিয়া পারভীন, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি নার্গিস আহমেদ, বিএনপি নেতা খলকুর রহমান, রিয়াজ মাহমুদ, উত্তম বণিক, গিয়াস উদ্দিন, সৈয়দা মাহমুদা শিরিন, গোলাম রহমান, নিশান রহিম, আবুল কালাম, শো টাইম মিউজিকের সভাপতি আলমগীর খান আলম, যুব দল নেতা মিজানুর রহমান মিজান, আতিকুল হক আহাদ, নাসির আলী খান পল, বক্সার সেলিম, শাহাদাত হোসেন রাজু প্রমুখ।
এই অনুষ্ঠানে কম্যুনিটির সর্বস্তরের শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। কুইন্স প্যালেসের পুরো অডিটোরিয়াম ছিলো কানায় কানায় পূর্ণ।